ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘চিন্তাও করিনি শেষ দিকে ম্যাচটা হেরে যাবো’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২৩:২৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কাইল মায়ার্স এমন কিছু করবেন কে ভেবেছিল? ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর এনক্রুমাহ বোনারের সঙ্গে তার দুইশ ছাড়ানো জুটি সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিলো। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে চমকে দিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও যে হারতে হবে, তা ছিল কল্পনাতীত। স্বাগতিক অধিনায়ক মুমিনুল হকও তা নির্দ্বিধায় স্বীকার করলেন।

বোনার আর মায়ার্সের চতুর্থ উইকেটে ছিল ২১৬ রানের জুটি। পরে ডশুয়া ডা সিলভার সঙ্গে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের শতরানের জুটিতে শেষ সেশনে অসহায় হয়ে পড়ে জয়ের প্রত্যাশায় দিন শুরু করা বাংলাদেশ। ৩৯৪ রান যে এভাবে ক্যারিবিয়ানরা তাড়া করে সাফল্য পাবে তা অপ্রত্যাশিত। টেস্ট ক্যারিয়ারে রেকর্ড গড়া দশম সেঞ্চুরি বৃথা গেলো মুমিনুলের। এমন ম্যাচ বাংলাদেশের হাতছাড়া হওয়াটা প্রত্যাশার বাইরে ছিল কি না প্রশ্নে অধিনায়কের উত্তর, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। আসলেই অবিশ্বাস্য। কিন্তু এটাই গোল বলের খেলা। ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য অনেক কিছুই হয়ে যায়। প্রত্যাশায় ছিল না এমন কিছু হবে। আমার কাছে মনে হয় বোলাররা ভালো জায়গায় বল করতে পারেনি। ওদের দুই ব্যাটসম্যান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’

হারের প্রতিক্রিয়ায় মুমিনুল বলেছেন, ‘গত চার দিন আমরা দাপট দেখিয়েছি। আজ শেষের দিকে ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি চিন্তাও করিনি শেষদিকে ম্যাচটা হেরে যাবো।’ হারের কারণ ব্যাখ্যা করলেন তিনি এভাবে, ‘যখন দল হারবে, তখন নির্দিষ্ট করে কাউকে দোষারোপ করতে পারবেন না। দল হারা মানে সবাই হেরে যাওয়া, দল জেতা মানে সবার জয়। আমার কাছে এমন কিছু (পরাজয়ের নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে) বোধগম্য নয়। দল যখন হেরেছে, সবাই একসঙ্গে হেরেছি।’

সাকিব আল হাসান চোটের কারণে শেষ তিন দিন মাঠেই নামতে পারেননি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার থাকলে ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারতো মনে করেন মুমিনুল, ‘হ্যাঁ, বলতে পারেন (সাকিবের অভাব)। সাকিব ভাই থাকলে বোলিং অনেক গোছানো হতো। যেহেতু সিনিয়র বোলার, সিনিয়র ব্যাটসম্যান, সবাইকে আগলে রাখতে পারতেন। তার অভাব বোধ করেছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে।’

তাই বলে অন্য বোলারদের খাটো করে দেখছেন না স্বাগতিক অধিনায়ক, ‘সাকিব ভাই না থাকলেও অন্য স্পিনাররা ভালো করেছে। তাইজুল, নাঈম, মিরাজ ভালো খেলেছে। যে বোলিং বিভাগ ছিল, তারা একটু ভালো লেন্থে বল করলে তাদেরও ম্যাচ জেতানোর যোগ্যতা ছিল। আমরা একটু দুর্ভাগা ছিলাম, ভালো জায়গায় বল করতে পারিনি।’

২১০ রানে অপরাজিত থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জেতানো মায়ার্সকে নিয়ে মুমিনুলের মূল্যায়ন, ‘অসাধারণ ব্যাটিং করেছে সে। সহজ না তো! দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ৪০০ রান তাড়া করা, সেখানে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে ২০০ রান করা। অসাধারণ।’

ঢাকা টেস্টের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি শুরু হবে চট্টগ্রাম থেকেই, বললেন অধিনায়ক, ‘ম্যাচ হারলে তো ঘুরে দাড়ানোর জন্য পরিকল্পনা করতেই হবে। সেটা ব্যাটিং বলেন কিংবা ফিল্ডিংয়ের কথাই বলেন।’

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়