ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টেস্টে খুব বেশি রক্ষণাত্মক মানসিকতা থাকা উচিত নয়: তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২০:৪১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
টেস্টে খুব বেশি রক্ষণাত্মক মানসিকতা থাকা উচিত নয়: তামিম

যে কোনো ম্যাচে ভালো শুরু হচ্ছে ইনিংস গড়ার ভিত্তি। অথচ বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেয়েছিল তিন বছর আগে। ২০১৭ সালে গলে সৌম্য সরকার ও তামিমের জুটি ছিল ১১৮ রানের। সেই জুটি আজ আবার মাঠে নেমেছিল ইনিংস শুরু করতে। অথচ তাদের লড়াই ১ রানেই শেষ। 

চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংসে ব্যর্থতার পর ঢাকা টেস্টে দেখা গেছে তামিমের ব্যাটে রান। অথচ সঙ্গী রানের খাতা খোলার আগেই আউট। তবে এদিন ভিন্ন তামিমকেই দেখা গেছে। আগ্রাসী মনোভাবে ২২ গজে ব্যাটিং করেছেন। তবে দল যখন খাদের কিনারায় তখন নিজের উইকেট ছুঁড়ে আসেন। আলগা শটে উইকেট উপহার দেন প্রতিপক্ষকে। 

শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে নিজের ইনিংস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অনেকটাই আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এই অভিজ্ঞ ওপেনার। আউট হওয়ার বলে ভুল শট খেলার কথা বললেও তামিম মনে করেন, টেস্টে খুব রক্ষণাত্মক থাকা উচিত নয়। প্রতি আক্রমণে স্কোরবোর্ডের দিকেও নজর রাখতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৪০৯ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১০৫ রান তুলেছে। তামিম ৫২ বলে ৪৪ রান করে আউট হয়েছেন। আলজারি জোসেফের বল মিড উইকেট দিয়ে ফ্লিক করতে গিয়ে মোয়েসলের হাতে ক্যাচ দেন।

নিজের ইনিংস নিয়ে তামিম দিন শেষে বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে, টেস্টে খুব বেশি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় যাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি আগ্রাসী শট খেলে আউট না হন, বলের মেধা অনুযায়ী খেলেন, তাহলে এটা (ব্যাটিং) ঠিক আছে। দূর্ভাগ্যবশত আমি যে বলে আউট হলাম, সেটা ঠিক ছিল না।’ 

নিজের শহরে তামিমের ব্যাট থেকে দুই ইনিংসে আসে ৯, ০ রান। এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে কাছে গিয়েও পাননি হাফ সেঞ্চুরির দেখা। আউট হয়েছেন ৪৪ রানে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এগিয়ে এসে কর্নওয়ালের মাথার ওপর ছক্কা হাঁকান। এরপর কভার ড্রাইভে জোসেফ ও গ্যাব্রিয়েলকেও বাউন্ডারিতে পাঠান চোখের পলকে। সঙ্গে এক-দুই রানে এগিয়ে যায় ইনিংস। মুমিনুলের সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা ভালোভাবে সামলে নিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দলপতি আউট হওয়ার পরপরই তামিম ফেরেন সাজঘরে।  

নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় তামিম আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমি একটু আক্রমণাত্বক খেলেছি। আমি ছাড়া কেউ এমন খেলেছে বলে মনে হয় না আমার। আক্রমণাত্বক না, আমার কাছে মনে হয়েছে আমার উদ্দেশ্য অনেক ভালো ছিল। আউট হওয়ার বলটা ছাড়া ও-রকম কোনো ভুল শটও খেলিনি। একটা হয়তো স্লিপের পাশ দিয়ে গিয়েছিল। তবে মারার বল হলে আমি চেষ্টা করেছি মেরে রান তুলে নেয়ার।’ 

তামিমের মতোই আলগা শটে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। শান্ত অফস্টাম্পের এক হাত বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন গালিতে। মুমিনুলের বলটা হঠাৎ লাফিয়ে উঠায় টাইমিংয়ে গড়বড় হয়। তামিম নিজেও আউট হন ভুল শটে। তামিমের মতে, দিন শেষে আরও ২ উইকেট কম পড়লে বাংলাদেশ ভালোভাবেই লড়াইয়ে থাকতো। 

তার ভাষ্য, ‘উইকেট অসম্ভব ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামি তখনও অনেক ভালো ছিল। তেমন কিছু হচ্ছিল না উইকেটে। যে ৪ টা উইকেট পড়েছে, কোনোটা যে খুব ভালো বলে বা উইকেটের কারণে পড়েছে, তা নয়। আপনি যদি দেখেন, ৪টা ই ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিল। আজ যদি আমাদের ২টা উইকেট কম পড়ত এবং এ রানটা থাকত, তাহলে আমাদের অবস্থান আরও ভালো হতো। আমরা যদি কালকে বড় জুটি করতে পারি...১০০-১৫০ রানের জুটি গড়তে পারি, তাহলে আবার ম্যাচে ফিরতে পারব।’

ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়