ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ছয় বলে ৬ ছক্কার গল্প

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৪ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১১:৪৩, ৪ মার্চ ২০২১
ছয় বলে ৬ ছক্কার গল্প

ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কার খবর প্রায় শোনা যায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই অনন্য কীর্তির দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হলো ১৪ বছর! দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো অ্যান্টিগায় কিয়েরন পোলার্ডের সৌজন্যে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা এতদিন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ও ভারতের যুবরাজ সিংয়ের।

এক ওভারে ছয়টা ৬ মারার ঘটনা প্রথম ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১৬ মার্চ এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই। সেন্ট কিটসে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ওই আসরে গ্রুপ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন গিবস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই হার্ড হিটার ৩০তম ওভারে ড্যান ফন বাঙ্গেকে তুলোধুনো করেন। অবিশ্বাস্য ওই ইনিংসে প্রোটিয়ারা ৩ উইকেটে ৩৫৩ রান করে জেতে ২২১ রানে।

ছয় মাস যেতেই গিবসের সঙ্গে দারুণ এই কীর্তিতে ভাগ বসান যুবরাজ। ওই বছর সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে ডারবানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগুন ঝরা ব্যাটিং করেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের সঙ্গে আগের ওভারেই একটু তর্কাতর্কি হয়েছিল তার। সেই রাগ যুবরাজ ঝারেন স্টুয়ার্ট ব্রডের ওপর, ১৯তম ওভারে। একে একে ছয়টি ছয় মেরে টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার এই অবিশ্বাস্য ইনিংসটি খেলেন তিনি। মাত্র ১২ বলে করেন হাফ সেঞ্চুরি। ম্যাচটিও ভারত জেতে ১৮ রানে।

এবার গিবস-যুবরাজের পাশে বসলেন পোলার্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক ওভারের প্রত্যেক বল আছড়ে ফেললেন সীমানার ওপারে। আকিলা ধনঞ্জয়া হ্যাটট্রিক করার পরের ওভারেই ছয় ছক্কা খান। উইন্ডিজ অধিনায়ক প্রথম বলে লং অনে ছয় মারেন। তিন ছক্কা হাঁকানোর পরই ছয়টি ছয় মারার বিশ্বাস মনের মধ্যে এসেছিল বলে পোলার্ড জানান, ‘মাঠে নামার পর নিজেকে সমর্থন করছিলাম। এটা দলের জন্য প্রয়োজন ছিল। আমি হ্যাটট্রিক দেখিনি, আমি শুধু শুনলাম। কিন্তু তারপরও আমি নামলাম এবং ওই সময়ে দলের যা দরকার ছিল তাই করেছি।’

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়