কোয়ারেন্টাইন শেষে তামিমদের আনন্দ, নিউ জিল্যান্ডের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ দলকে এয়ারপোর্টে স্বাগত জানিয়েছেন কুইন্সটাউনের মেয়র জিম বোল্ট। ছবি : বিসিবি
তামিম-মুশফিকদের মধ্যে যেন বিরাজ করছে মুক্তির আনন্দ। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষে এবার এক বিন্দুতে মিলিত হচ্ছে পুরো দল। স্বাভাবিক চলাচলে আর নেই কোনো বাধা। থাকতে হবে না দমবন্ধ জৈব সুরক্ষা বলয়ে।
বুধবার (১০ মার্চ) কোয়ারেন্টাইন পর্বশেষে কুইন্সটাউনে গেছে বাংলাদেশ দল। তামিমদের এয়ারপোর্টে স্বাগত জানিয়েছেন কুইন্সটাউনের মেয়র জিম বোল্ট। এ সময় সফরে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস তাকে একটি স্মারক উপহার দেন।
ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছায় বাংলাদেশ। এরপর থেকে এতদিন ক্রিকেটাররা ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে। প্রথম ৭ দিন আইসোলেশনে, এরপর ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে পেয়েছিলেন অনুশীলনের সুযোগ।
শুরুর দিকে ক্রিকেটারদের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছিলেন তার কাছে মনে হচ্ছে জেল খানা, তামিম ইকবাল বলেছিলেন সতীর্থদের দেখে মনে হচ্ছে অনেক দিন পর দেখা হচ্ছে। শুরুতে হাঁসফাঁস করা বাংলাদেশ দল মানিয়ে নেয় ধীরে ধীরে। এ জন্য নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
কোয়ারেন্টাইনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়াতে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে আসা তামিম।
‘খুব ভালো লাগছে এখন। আমাদের জন্য এরকম অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। সুরক্ষা বলয়ে আমরা আগেও ছিলাম, কিন্তু পুরো আইসোলেশনে আগে থাকিনি। তবে সত্যি বলতে, তারা আমাদের দেখভাল খুব ভালোভাবে করেছে। নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট যেভাবে সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে, আমাদের দল থেকে আমরা কেবল ধন্যবাদই জানাতে পারি। এরকম অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাওয়া সহজ নয়। তবে তারা আমাদের যতটা সম্ভব স্বস্তিতে রাখার চেষ্টা করেছে।’
বাংলাদেশ এই সফরে সমান তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলবে। এ রকম সফরে ২০/২২ দিনে শেষ হয় স্বাভাবিক সময়ে। কিন্তু করোনাভাইরাস পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। সফরের মধ্যে থাকতে হয় জৈব সুরক্ষা বলয়ে, মানতে হয় সংশ্লিষ্ট দেশের স্বাস্থ্যবিধি। সঙ্গে যুক্ত হয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইন শেষে সাধারণ নাগরিকদের মতোই চলাফেরা করতে পারবেন মুশফিক-রিয়াদরা। তামিমের মতে কোয়ারেন্টাইন পর্বসহ দীর্ঘদিনের এমন সফর পার্থক্য গড়ে দেয়।
তামিম বলেন, ‘দীর্ঘ সফর অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। এবার আমাদের সময় প্রায় ৪৫ দিনের, সাধারণ পরিস্থিতিতে এই সফর হয়তো ২০ দিনেই শেষ করে আমরা বাড়ি ফিরতে পারতাম। এখন ১৪ দিন কোয়ারেন্তাইনে থাকতে হলো, এখন সময়টাই এমন। সংশ্লিষ্ট দেশের নিয়মকে শ্রদ্ধা করতেই হবে আমাদের। সামনে তাকাতে হবে। ভালো ব্যাপার হলো, এখন আমরা মুক্ত। তাজা বাতাসে শ্বাস নিতে পারছি। আইসোলেশনের সময় কেবল নির্দিষ্ট একটু সময় এই সুযোগ ছিল। এখন সব ভালো।’
কাল থেকে কুইন্সটনে শুরু হবে দলীয় অনুশীলন। এখানে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। এখানে ক্যাম্পে মিরাজদের সঙ্গে থাকবেন স্পিন ড্যানিয়েল ভেটোরি। ২০ মার্চ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে সিরিজ।
ঢাকা/রিয়াদ
আরো পড়ুন