দলে সঞ্জীবনী শক্তি এনেছেন ভেট্টরি
নিউ জিল্যান্ড কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টরির সঙ্গে বিসিবির চুক্তি শেষ হয়েছে গত নভেম্বরে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী বছরে ১০০ দিন কাজ করার যে কথা ছিল, তা করতে পারেননি। এবার নিউ জিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছেন সাবেক কিউই অধিনায়ক।
গত ১০ মার্চ কুইন্সটাউনে দলের সঙ্গে যুক্ত হন ভেট্টরি। বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর মতে, দলে সঞ্জীবনী শক্তি এনেছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক স্পিন লিজেন্ড। স্পিন বোলিং কোচ হলেও ভেট্টরি ব্যাটসম্যানদের নিয়েও কাজ করছেন। পেস বোলারদের সঙ্গেও দেখা যাচ্ছে তাকে।
বুধবার নিউ জিল্যান্ডে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ডমিঙ্গো বলেন, ‘ভেট্টরির মতো কাউকে পাওয়া দারুণ বিষয়। আমাদের সঙ্গে শেষ এক বছর কাজ করেছেন তিনি। তবে কখনও তাকে আমরা পেয়েছি, কখনও পাইনি। কোভিডের কারণে আমরা দীর্ঘ সময় তাকে পাইনি। তবে নিউ জিল্যান্ড সফরে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারছি।’
‘শুধু ভেন্যু সম্পর্কে জানতে পারছি না, খেলোয়াড়দের ভেতরে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আসতে পেরেছেন তিনি। দলে সঞ্জীবনী শক্তি ও বাড়তি বৈচিত্র্য এনেছেন ড্যান, যা আগে ছিল না। বোলার ও ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে আলাদা কাজ করছেন। আমরা সকলেই জানি ড্যান নিউ জিল্যান্ডের কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন।’ – যোগ করেন ডমিঙ্গো।
বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭০৫ উইকেট পেয়েছেন। ব্যাট হাতে রান করেছেন ৬৯৮৯। টেস্ট ক্রিকেটে ৮ নম্বরে নেমে তার চেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরি করতে পারেননি অন্য কেউ। টেস্টে তার সেঞ্চুরি ৬টি, ফিফটি ২৩টি। ওয়ানডে সেঞ্চুরি নেই, ফিফটি চারটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে দৈনিক চুক্তিতে কাজ করছেন নিউ জিল্যান্ডের সাবেক স্পিন গ্রেট ভেট্টরি। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল নভেম্বরে, সেই পর্যন্ত তার সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ছিল ১০০ দিনের। কিন্তু টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় এখন পর্যন্ত কাজ করেছেন ৬০ দিন। চুক্তির অবশিষ্ট ৪০ দিনের পরিবর্তে ভেট্টরি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবেন ২২ দিন।
দৈনিক আড়াই হাজার ডলারে কাজ করছেন ভেট্টরি। মোটা অঙ্ক দিয়ে বিসিবি তাকে যুক্ত করলেও কাজে লাগাতে পেরেছেন খুব অল্প সময়। ২০১৯ সালে ভারত সিরিজের আগে জাতীয় দলে যোগ দিয়েছিলেন। দলের সঙ্গে ছিলেন ভারত সফরে। নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে যাননি।
এরপর জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে আবার এসেছিলেন। টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পুরোটা সময় ছিলেন বাংলাদেশে। এছাড়া সিরিজের আগে-পরে টুকটাক স্পিনারদের নিয়ে কাজ করা হয়েছে অভিজ্ঞ এ কোচের। নিউ জিল্যান্ড সিরিজের পর অবশ্য তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন