শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন-উইকেটের সঙ্গে ক্রিকেটাররা অভ্যস্ত: নান্নু 

অ্যাওয়ে সিরিজে প্রতিপক্ষের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ থাকে সফরকারী দলের জন্য। তবে ‘ওয়ালটন শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ’ সিরিজে মুমিনুল হকরা এই চ্যালেঞ্জ উতরে গেছেন বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

দলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচক আছেন এখন শ্রীলঙ্কায়। তার ভাষায় শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছে দল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ১২ এপ্রিল দ্বীপরাষ্ট্রে যায় বাংলাদেশ। তিনদিন রুম কোয়ারেন্টাইনের পর মাঠের অনুশীলনে ফেরেন মুমিনুলরা।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয় নিজেদের মধ্যে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। এই ম্যাচ  চলাকালীন সময়ে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার কথা জানান প্রধান নির্বাচক।

‘দুইদিনের ম্যাচের প্রথমদিন আমরা শেষ করতে যাচ্ছি আজ, আমার মনে হয় খেলোয়াড়েরা যথেষ্ট অভ্যস্ত হয়েছে কন্ডিশন ও উইকেটের সাথে। যথেষ্ট ভালো অনুশীলন হয়েছে।’

লাল দল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। সবুজ দলের নেতৃত্বে আছেন মুমিনুল হক ও লাল দলের নেতৃত্বে তামিম ইকবাল। আগে ব্যাটিং করতে নেমে দারুণ প্রস্তুতি নিয়েছেন লাল দলের ব্যাটসম্যানরা।

চা বিরতির আগ পর্যন্ত লাল দলের সংগ্রহ ছিল কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০৪ রান। তামিম ৬৩ ও সাইফ হাসান ৫২ রান করে উঠে গেছেন। ৫২ রানে ক্রিজে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম আছেন ২৯ রানে।

নান্নু বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডাররা ভালো ব্যাটিং করেছে, বোলাররা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে লাইন লেংথ ও ভালো জায়গায় বল করার। সবমিলিয়ে আমি বলবো এটা খুব ভালো প্রস্তুতিতে সহায়তা করছে, আগামীকাল আরও একদিনের খেলা আছে। আমি মনে করি এরপর আমরা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে পারবো।’

‘উইকেটের যে কন্ডিশন ছিল প্রথম ঘন্টায় ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। আমাদের ওপেনার তামিম, সাইফ এরা অসাধারণ ব্যাটিং করেছে, শান্ত, মুশফিক অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। বোলাররাও মনে-প্রাণে চেষ্টা করেছে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য। আমার বিশ্বাস এই প্র্যাকটিস ম্যাচ থেকে আমরা যথেষ্ট ভালো কিছু ফিডব্যাক পেয়েছি।’

ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারলেও বোলাররা করতে পারেননি।  চা বিরতির আগ পর্যন্ত লাল দলের একটি উইকেটও নিতে পারেননি সবুজ দলের বোলাররা। প্রধান নির্বাচক মনে করেন প্রস্তুতি ম্যাচের বাকি দিন খেলতে বোলাররাও সুবিধা করতে পারবেন।

‘এখানে প্র্যাকটিস ম্যাচে বোলারদের জন্য খুব কঠিন একটা সেশন গিয়েছে। যেহেতু এটা (উইকেট) অনেকটা ফ্ল্যাট ট্র্যাকের মত। হয়তো টেস্টেও এরকম কন্ডিশন হতে পারে, এই গরমের মধ্যে ভালো জায়গায় বল করা, মনযোগ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে হয় আগামী দিন প্র্যাকটিস ম্যাচের আরও একটা দিন বাকি আছে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য।’