ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আলোক স্বল্পতায় দ্বিতীয় দিনের সমাপ্তি, এগিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২২ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১৮:৪৮, ২২ এপ্রিল ২০২১
আলোক স্বল্পতায় দ্বিতীয় দিনের সমাপ্তি, এগিয়ে বাংলাদেশ

আলোক স্বল্পতায় শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের খেলার সমাপ্তি টেনেছেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল দ্বিতীয় দিনের খেলা। তৃতীয় সেশনের ১০ম ওভারের সময় বন্ধ হয় খেলা। এ দিন ৯০ ওভার নির্ধারিত থাকলেও খেলা হয়েছে ৬৫ ওভার। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিন শেষেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মুমিনুলদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান। ৪৩ রান নিয়ে মুশফিক ও ২৫ রান নিয়ে লিটন দাস ক্রিজে আছেন। কাল খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে। খেলা হবে ৯৮ ওভার।

আলোক স্বল্পতায় খেলা স্থগিত

দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনের শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃষ্টি। এবার আলোক স্বল্পতা। স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার সময় ক্যান্ডির আকাশ ঢেকে যায় মেঘে। এ কারণে আলোর স্বল্পতা দেখা দিলে তৃতীয় সেশনের দশম ওভারের পর খেলা বন্ধ রাখতে বাধ্য হন ম্যাচ অফিসিয়ালরা।

মুশফিক-লিটনে লড়ছে বাংলাদেশ

টেস্টে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে ব্যাট হাতে ব্যাটসম্যানদের বড় রানের কোনো বিকল্প নেই। তামিম-শান্তদের অনুসরণ করে সেই পথেই আছেন এখন মুশফিক লিটন। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে লড়ছেন তারা। তাদের জুটি থেকে আসে ৯১বলে ৫০। এতে দুজনেরই অবদান সমান ২৫ করে। এর আগে বাংলাদেশ ১৪৪ ও ২৪৮ রানের দুটি বড় জুটি গড়ে। তার মধ্যে শান্ত-মুমিনুলের  ২৪৮ রানের জুটি তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

পাল্লেকেলেতে বড় ও নিরাপদ স্কোরের পথে বাংলাদেশ

টেস্টে ২৩তম বার এক ইনিংসে চারশ ছাড়ালো বাংলাদেশ। এই শ্রীলঙ্কায় যা তাদের তৃতীয়বার। তামিম ইকবালের আক্ষেপে পূর্ণ ইনিংসের পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের শতকে ৪ উইকেটে ৪৪০ রানে দ্বিতীয় দিনের চা বিরতিতে গেছে তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেড় দিনেরও বেশি সময় খেলা শেষে বলা চলে, নিরাপদ ও বড় স্কোরের পথে মুমিনুলরা।

টেস্টে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৩ সালে গলেতে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৬৩৮ রান করেছিল সফরকারীরা। শ্রীলঙ্কার ঘোষণা করা ৫৭০ রানের জবাবে এই রান পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা ৩৩৫ রান করলে মুশফিকরা ২৬৮ রানের টার্গেট পান। বাংলাদেশের ১ উইকেটে ৭০ রানের দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচটি হয় ড্র।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওইবার জয় না পেলেও শততম টেস্টে বাংলাদেশ স্মরণীয় এক ইনিংস খেলে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কাকে ৩৩৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর ৪৬৭ রানে অলআউট হয় তারা। পরে স্বাগতিকদের ৩১৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৯১ রানের টার্গেটে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচটি জিতে যায় বাংলাদেশ। আরেকটি শ্রীলঙ্কা সফরে এসে বুক চিতিয়ে খেলছে তারা, তাতে রয়েছে নিরাপদ অবস্থানে।

বৃষ্টির বাধা 

চা বিরতির পর ম্যাচে হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। ইনিংসের ১৪৭ ওভারের প্রথম বল খেলার পরই মূলত আসে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টি বেশিক্ষণ বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। মাত্র ৭ মিনিট বন্ধ থাকার পরই শুরু হয় খেলা। 

আধিপত্য ধরে রেখে চা বিরতিতে বাংলাদেশ

দুই সেট ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক দ্বিতীয় সেশনে বিদায় নিলেও চা বিরতির আগে আধিপত্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন দুই সেশন শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৪০ রান।

এই সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৮২ রান। উইকেট হারিয়েছে দুটি। ১৬৩ রানে আউট হন শান্ত। আর মুমিনুল ১২৭ রান করে উইকেট হারান। ক্রিজে আছেন ১১ রানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাশ।

১২৭ রানে আউট মুমিনুল

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটিটা বড় করতে পারলেন না মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেট দুজনে মিলে খেলেছেন ৯৪ বল, রান এসেছে ৩০। ১২৭ রান করে আউট হয়েছেন মুমিনুল। দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন লাঞ্চের আগে। তার সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত ২৪২ রানে জুটি গড়ে বিদায় নেন। ৩০৪ বলের ইনিংসে ১১টি চার ছিল মুমিনুলের। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লাহিরু থিরিমান্নের ক্যাচ হন তিনি।

চারশ ছাড়িয়ে বাংলাদেশ

টেস্টে ২৩তম বার বাংলাদেশ এক ইনিংসে চারশ ছাড়ালো। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডি টেস্টে মুমিনুল হকের সঙ্গে ২৪২ রানের জুটি ‍গড়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নেন। তখন দলের সংগ্রহ ৩৯৪ রান। মুমিনুল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ক্রিজে থেকে বাংলাদেশকে চারশর ঘরে নেন।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৬৩৮ রান। গলেতে ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই স্কোর করেছিল তারা।

ভাঙলো জুটি, ১৬৩ রানে ফিরলেন শান্ত

দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম সেঞ্চুরিকে দেড়শ ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ডাবলের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু লাহিরু কুমারার বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দিলেন ১৬৩ রান করে। ভাঙলো মুমিনুল হকের সঙ্গে তার ২৪২ রানের রেকর্ড জুটি। ৩৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল শান্তর ইনিংস। দেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি নবম ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।

১২৬ রানে দিন শুরু করেছিলেন শান্ত। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে ৩৪৩ বলে দেড়শ উদযাপন করেন। দ্বিতীয় সেশনে এসে ভাঙেন তৃতীয় উইকেটের জুটির রেকর্ড। তিন বছর আগে মুমিনুল-মুশফিকের গড়া ২৩৬ রানের রেকর্ড ভাঙেন তিনি, এবারও সঙ্গে মুমিনুল। এরপর আর চার রান যোগ করতে ভেঙে যায় তাদের জুটি।

মুমিনুল-শান্তর রেকর্ড গড়া জুটি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলীয় ১৫২ রানে তামিম ইকবাল আউটের পর জুটি বাঁধেন মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দিন লাঞ্চের কিছুক্ষণ পর শুরু। দ্বিতীয় দিনও অপ্রতিরোধ্য তারা। দেশের টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি হয়েছে তাদের। আগের রেকর্ডেও ছিল মুমিনুলের অংশীদারিত্ব। কিন্তু ওইবার তার সঙ্গী ছিলেন মুশফিকুর রহিম আর এবার শান্ত। 

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম টেস্টে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুমিনুল ও মুশফিক। এবার তা ছাপিয়ে গেলেন মুমিনুল আর শান্ত। যে কোনও উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি গড়েছেন তারা।

মুমিনুল-নাজমুলের উদযাপনে ফুরালো প্রথম সেশন

৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুমিনুল হক, আর নাজমুল হোসেন শান্ত ১২৬ রানে। দ্বিতীয় দিন মাঠে নেমে আগের দিনের মতোই সাবলীল ছিলেন দুজন। প্রথম সেশনে ২৮ ওভার ব্যাট করলেন তারা, স্কোরবোর্ডে যোগ করলেন ৭৬ রান। ২ উইকেটে ৩০২ রানে দিন শুরু করা বাংলাদেশ ক্যান্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে গেছে ৩৭৮ রানে।

দলকে বড় স্কোর এনে দেওয়ার পথে সেঞ্চুরি উদযাপন করেছেন মুমিনুল, আর প্রথম শতককে দেড়শতে নিয়ে গেছেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে দুজনের ২২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে তা দেখার অপেক্ষা।

শান্তর ১৫০

প্রথম সেঞ্চুরিকে দেড়শতে রূপ দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৩৫ বলে শতক উদযাপনের পর আর ১০৯ বল খেলে পৌঁছে যান এই মাইলফলকে। সপ্তম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১৫০ রানের ইনিংস খেললেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

এর আগে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ আশরাফুল দেড়শ বা তার বেশি রানের ইনিংস খেলেন। তিনটি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে মুশফিকের, আর সাকিব ও তামিম একটি করে দ্বিশতক হাঁকান।

মুমিনুলের সেঞ্চুরি

৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক। দেশের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান সংখ্যাটা নিয়ে গেলেন ১১ তে। ২২৪তম বলে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে নবম চার মেরে এই স্বস্তির শতক উদযাপন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দেশের বাইরে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

স্কোর বড় করার লক্ষ্যে দ্বিতীয় সকালে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের দাপট পাল্লেকেলেতে প্রথম দিন দাপট দেখায় বাংলাদেশ। ২ উইকেট হারিয়ে জমা করে ৩০২ রান। বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন শান্ত। তামিম ভুল করলেও শান্ত ঠিকই তুলে নেন সেঞ্চুরি। অপরাজিত থাকেন ১২৬ রানে।

মুমিনুল অপেক্ষায় আছেন দেশের বাইরের প্রথম সেঞ্চুরির। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৪ রান।

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়