টেস্ট ড্রকে সাফল্য হিসেবে দেখা হতাশাজনক: ডমিঙ্গো
পাল্লেকেলের ক্যান্ডিতে প্রথম টেস্টে শুধুই ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য দেখা গেছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রাপ্তিও নেহায়েতই কম নয়। তামিম ইকবালের দুটি হাফ সেঞ্চুরি, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের স্বস্তি ফেরানো সেঞ্চুরির সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাশও ফিফটি করেন। ৭ উইকেটে ৫৪১ রানের বড় সংগ্রহ করে সফরকারীরা। এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা দেখায় দাপট। দিমুথ করুণারত্নের ডাবল সেঞ্চুরির পর রান প্রসবা পিচে ম্যাচ শেষ হয় ড্রয়ে, যাকে বাংলাদেশ সাফল্য বলেই বিবেচনা করছে। কিন্তু এমন মানসিকতা হতাশ করছে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগের দিনের সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ বললেন, ‘হতাশ লাগে যখন একটি ড্র টেস্টকে বিশাল সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। আমি এখানে ড্র টেস্টের জন্য আসিনি। আমরা টেস্ট হারতে চাই না, কিন্তু আমাদের মানসিকতা পাল্টানো উচিত। আমাদেরকে জেতার জন্য খেলতে হবে, ড্র করে খুশি হওয়া যাবে না। এই দলের সঙ্গে আমি ছয়টি বা সাতটি টেস্টে আছি, আমি মনে করি আমাদের দল ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বুঝেছি। কোথায় উন্নতির দরকার তা বুঝতে পারছি, বিশেষ করে টেস্টের মানসিকতা। এখনও অনেক দূর যেতে হবে। টেস্টে হারার ভয় আছে, সেখান থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আমার মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে আমরা না হারার জন্য খেলছি।’
শেষ ম্যাচটি জিতে সিরিজ নিশ্চিত করতে চান ডমিঙ্গো। দলকেও সেই তাগাদা দিলেন তিনি, ‘আমরা এই সিরিজ জেতার চেষ্টা করতে চাই। শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জেতা হবে বাংলাদেশের জন্য বিরাট অর্জন। বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতা আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাঁচ দিন ধরে আমাদের ভালো খেলতে হবে। শ্রীলঙ্কাকে হারানো কঠিন, বিশেষ করে তাদের মাঠে। আমাদের মনোযোগ থাকবে টেস্টে ভালো শুরু করা এবং প্রতি সেশন ধরে ধরে খেলা।’
একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ কোচের উত্তর, ‘আমাদের দেখতে হবে বোলারদের জন্য কতটা কঠিন হয়। বোলাররা মাত্র তিন দিন আগেই এই গরমে বোলিং করেছে। ইনিংসে ৩০-৩৫ ওভার করে বল করতে হয়েছে একেকজনকে। আমাদের একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওরা শারীরিকভাবে কতটা প্রস্তুত আছে, এই গরমে-উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বোলিং করা খুব কঠিন। উইকেটও আবার দেখতে হবে। আজ (অনুশীলনে) আমরা সবার অবস্থা আবার বোঝার চেষ্টা করবো। এরপর রাতে হয়তো একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন