ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

টিকলো না ‘সবচেয়ে নিরাপদ বলয়’, এখনও চলবে আইপিএল?

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ৩ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:৪১, ৩ মে ২০২১
টিকলো না ‘সবচেয়ে নিরাপদ বলয়’, এখনও চলবে আইপিএল?

এখন কী বলবে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড? করোনাভাইরাস যখন ভারতজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন আইপিএলের সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকা ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট অনেকের মনে উদ্বেগের ঝড় বইছিল। তাদের মনকে ঠাণ্ডা করতে বিসিসিআই সবাইকে আশ্বস্ত করে বললো, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে আপনারা একদম নিরাপদ।’

এক সপ্তাহও হয়নি, ওই দাবিকে ভুল প্রমাণ করে ‘নিশ্ছিদ্র’ জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাস। আহমেদাবাদে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই ক্রিকেটার বরুণ চক্রবর্ত্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়েরের পজিটিভ। সোমবার (৩ মে) সকালে আকস্মিক এই খবরে হতবিহ্বলতা কাটতে না কাটতেই দিল্লি থেকে খবর এলো সেখানে চেন্নাই সুপার কিংস দলের ক্যাম্পেও ছোবল মেরেছে করোনাভাইরাস। অবশ্য স্বস্তির খবর, তাদের কোনও খেলোয়াড় আক্রান্ত হননি। তবে সংখ্যাটা কলকাতার চেয়ে বেশি- তিন জন। প্রধান নির্বাহী কাসি বিশ্বনাথন, বোলিং কোচ এল বালাজি ও একজন বাস পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মানে সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই পাঁচ জনের করোনা পজিটিভ, তাও আবার একদিনেই। এখন প্রশ্ন, এই অনিশ্চয়তার মধ্যেও কি তাহলে চলবে আইপিএল? কদিন আগে বিসিসিআইর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হেমাং আমিন বলেছিলেন, কোনও উদ্বেগের কারণ দেখছেন না। শক্তিশালী জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে ৩০ মে পর্যন্তই হবে এই প্রতিযোগিতা। কিন্তু ওই সময় করোনা কেবল ছিল আইপিএল বলয়ের বাইরে। তবে প্রতিদিনই যখন দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা প্রায় চার লাখ বা তার বেশি হচ্ছে, তখন ছাড় পায়নি এই শক্ত বলয়ও।

এখন করোনার এই থাবা আইপিএলে ভয়াবহভাবে পড়ার আগেই বোর্ড ব্যবস্থা নেবে নাকি জেদের বশে চালিয়ে যাবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অথচ পাঁচ খেলোয়াড়সহ মোট ৭ জনের করোনা পজিটিভ হওয়ার পরই গত ৪ মার্চ পাকিস্তান সুপার লিগ স্থগিত করা হয়। আপাতত কলকাতা ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে চেন্নাইয়ের ম্যাচটি হবে বলে জানা গেছে।

অবশ্য আইপিএল শুরুর আগেই ধাক্কা লেগেছিল করোনার। টুর্নামেন্টের ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের বেশ কজন গ্রাউন্ডসম্যানের পজিটিভ হয়েছিল। এছাড়া দিল্লি ক্যাপিটালস ও বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটার অক্ষর প্যাটেল ও দেবদূত পাডিক্কালও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরও থেমে থাকেনি আইপিএল আয়োজন।

টুর্নামেন্ট বন্ধ না হলেও উদ্বেগের কারণে সরে গেছেন ইংলিশ ক্রিকেটার লিয়াম লিভিংস্টোন। পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একই পথে হেঁটেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাডাম জাম্পা ও কেন রিচার্ডসন। শুধু বিদেশি ক্রিকেটারই নয়, ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও নিয়েছেন বিরতি। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই তারকার পরিবারের ১০ জন নাকি করোনায় আক্রান্ত। তাদের দেখাদেখিতে যারা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন, তাদের হয়তো স্বস্তি দিয়েছিল বিসিসিআইর দাবিকৃত ‘সুরক্ষা নীতি’। কিন্তু এই নিরাপত্তার ছিদ্র বের করে করোনা যখন ‍ঢুকে পড়েছে, তখন কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড? কী হয়, চলুন দেখা যাক!

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়