ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ৩ জুন ২০২১   আপডেট: ১৩:৫৫, ৩ জুন ২০২১
আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশ কোথায় এগিয়ে, কোথায় পিছিয়ে?

কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি। এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশকে যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে, তা বলাবাহুল্য। কারণ পরিসংখ্যান, ফিফা র‌্যাংকিং ও শক্তিমত্তায় দুই দলের মধ্যে তফাতটা চোখে পড়ার মতো। লাল-সবুজের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া তা অস্বীকার করছেন না, এমনকি আফগানিস্তানের শারীরিক গড়ন নিয়েও উদ্বেগ তার। কিন্তু কৌশলগত ও গতির দিক বিবেচনা করলে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন তিনি।

বাংলাদেশের এই মিশন শুরু হয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ওই খেলায় ১-০ গোলে হেরে যায় তারা। কিন্তু প্রতিপক্ষকে তারা ছেড়ে কথা বলেনি। অসংখ্য সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে জয় দিয়ে শুরু হতে পারতো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাই। অষ্টমবারের মতো দুই দলের দেখা হয়েছিল ফুটবল মাঠে। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে এগিয়ে কিন্তু আফগানিস্তান। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ একমাত্র জয় পেয়েছিল ১৯৭৯ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। দুই লেগের ওই পর্বে প্রথম ম্যাচে ২-২ গোলে ড্রর পর দ্বিতীয় ম্যাচ তারা জিতেছিল ৪-১ গোলে। কেটে গেছে ৪২ বছর, আর কোনও জয় নেই বাংলাদেশের। পরে হয় ড্র করেছে, নয়তো হেরেছে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে সবশেষ দুটি ম্যাচেই পরাজিত তারা।

ফিফা র‌্যাংকিংয়েও বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। ১৪৯ নম্বরে থাকা আফগানরা বাংলাদেশের থেকে ৩৫ ধাপ এগিয়ে। দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাদের উচ্চতা নিয়েও। জামাল এই বিষয়টি স্বীকার করেছেন, ‘আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সহজ হবে না। ওরা শারীরিকভাবে শক্তিশালী। আমাদের চেয়ে ‍লম্বাও বেশি। কিন্তু আমরা তাদের চেয়ে কৌশলগতভাবে এগিয়ে আছি কিছুটা। গতিও আছে।’

কোচ জেমি ডেও আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন। দলের কাছে তার চাওয়া, ‘ফল পেতে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং শতভাগ দেবে এটাই ছেলেদের কাছে আমার চাওয়া। তারা রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি যেন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে।’

প্রস্তুতিতেও আফগানিস্তান বেশ এগিয়ে। কাতারে আসার আগে ইন্দোনেশিয়া ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ম্যাচ খেলে একটি ড্র ও জয় পেয়েছে তারা। আর ঢাকা ও কাতারে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অনুশীলন দুই সপ্তাহের একটু বেশি। বিদেশি কোনও দলের বিপক্ষে ঘাম ঝরানো ম্যাচও খেলার সুযোগ মেলেনি। কাতার আসার আগের দিন ঘরোয়া ক্লাব শেখ জামালের সঙ্গে একমাত্র ম্যাচ খেলে তারা, সেটাও হয়েছে ড্র।

তবে দক্ষিণ এশীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে আগের দেখায় যে পারফরম্যান্স করেছিল তারা, সেটাই ছেলেদের কাছ থেকে দেখতে চান জেমি ডে। অবশ্য প্রস্তুতির ঘাটতি ও ইনজুরির তালিকা লম্বা হওয়ায় তা কঠিন। আফগানদের বিপক্ষে খেলা দলটির গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা, ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল হোসেন বাদশা, ফরোয়ার্ড সাদউদ্দিন ও নাবীব নেওয়াজ জীবন চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। মাহবুবুর রহমান সুফিল করোনার কারণে যেতে পারেননি কাতারে।

৫ ম্যাচ শেষে ভারতের সঙ্গে পাওয়া একমাত্র পয়েন্ট নিয়ে সবার তলানিতে বাংলাদেশ। এই ‘হোম ম্যাচ’ থেকে তিনটি পয়েন্ট পেতে হলে তাদের শতভাগ উজাড় করে দিতে হবে। নয়তো হতাশার পুনরাবৃত্তিই সঙ্গী হবে জামালদের।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়