ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ডাবল সেঞ্চুরিতে কনওয়ের ইতিহাস

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৬, ৩ জুন ২০২১   আপডেট: ২০:৪৪, ৩ জুন ২০২১
ডাবল সেঞ্চুরিতে কনওয়ের ইতিহাস

মার্ক উডের বাউন্সার পুল করতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। ঠিকঠাক মতো ব্যাট-বলের রসায়ন জমাতে পারেননি। তবে বিপদ হয়নি। টপ এজ হয়ে বল স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে ছক্কা। তাতেই ইতিহাস। অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরির ইতিহাস। ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে যা প্রথম।

১৯৪ থেকে ছক্কা মেরে ডেভন কনওয়ে পৌঁছে গেলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। দ্বিতীয় কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে কনওয়ে গড়লেন এমন রেকর্ড। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সপ্তম। তার ডাবলের ওপর ভর করে নিউ জিল্যান্ড সবকটি উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রান করে।

অভিষেক টেস্টে এমন কীর্তি এর আগে মাত্র ৬ জন ব্যাটসম্যানের ছিল। এবার এই বিরল রেকর্ডের পাতায় যুক্ত হলেন কনওয়ে। তার আগে নিউ জিল্যান্ডের হয়ে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন ম্যাথু সিনক্লেয়ার। ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন সিনক্লেয়ার।

অভিষেকে ডাবল হাঁকানো ব্যাটসম্যানরা হলেন, ইংল্যান্ডের টিপ ফস্টার (২৮৭) ১৯০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো (২১৪) ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, শ্রীলঙ্কার বেন্ডন কুরুপ্পু (২০১) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে, নিউ জিল্যান্ডের ম্যাথু সিনক্লেয়ার (২১৪) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ (২২২) ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স (২১০*) ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ও নিউ জিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে (২০০) ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

এর আগে গতকাল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরিতে পৌঁছতেও তিনি হাঁকিয়েছে চার। সব মিলিয়ে ৩৪৭ বল খেলেছেন এ ওপেনার। ৫৭৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ২২ চার ও ১ ছক্কা ২০০ রানের ইনিংসটি সাজান। তার ইনিংসটি শেষ হয় রান আউটে।

একটি পরিসংখ্যান নিশ্চয়ই কনওয়ের কষ্ট বাড়াবে, অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র ব্যাটসম্যান তিনি-ই। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ২৩ রানে টম লাথাম আউট হলে কনওয়ের সঙ্গে ভাঙে ৫৮ রানের জুটি। ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন কেন উইলিয়ামসন (১৩ ) ও রস টেলর (১৪)।

এরপর ১৭৪ রানের জুটি গড়ে খেলার হাল ধরেন কনওয়ে-হ্যানরি নিকোলস। ১৭৫ বলে ৬১ রান করে হ্যানরি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এবার ধস নামে কিউই ব্যাটিংয়ে। বিজে ওয়াটলিং আউট হন মাত্র ১ রান করে। ০ রানে ফেরেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও মিচেল স্ট্যানার। এরপরের দুই ব্যাটসম্যান কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ব্যাট থেকে আসে ৯ ও ৮ রান করে।

শেষ উইকেটের জুটিতেই ডাবলের দেখা পান কনওয়ে। নীল ওয়েগনারের সঙ্গে ৩৩ বলে ৪০ রানের জুটিতে ঢুকে পড়েন ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণের সোনালি ইতিহাসে। ২০০ রানেই রানআউট হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২২টি চার ও ১টি ছয়ে। ওয়েগনার ২১ বলে ২৫ করে অপরাজিত ছিলেন।

ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন অল্লি রবিনসন। এ ছাড়া ৩ উইকেট নেন মার্ক উড।   

ঢাকা/রিয়াদ/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়