ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রনি-বিজয়ের ব্যাটে প্রাইম ব্যাংকের জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ৮ জুন ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৩, ৮ জুন ২০২১
রনি-বিজয়ের ব্যাটে প্রাইম ব্যাংকের জয়

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপসহ সব প্রতিযোগিতা মিলে এনামুল হক বিজয় সর্বশেষ ৬ ম্যাচে মাত্র একবার দুই অঙ্কের রানের ঘর স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। তাও মাত্র ১৬! অবশেষে রানের দেখা পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক। তার ব্যাটে রানের দিন জয়ও পেয়েছে দল। এতে ব্যাট হাতে অবশ্য অবদান বেশি রনি তালুকদারের।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মঙ্গলবার (৮জুন) বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করে প্রাইম ব্যাংককে ১৩৪ রানের টার্গেট দেয় শেখ জামাল। রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বিজয়ের দল। 

রনিকে সঙ্গে নিয়ে তামিম ইকবাল দারুণ শুরু করেছিলেন। এক প্রান্তে রনি দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন, অন্যদিকে তামিমের ইনিংস ছিল মন্থর। তামিমের ২৭ বলে ২৩ রানের ইনিংসে চার-ছয়ের মার ছিল ১টি করে। সালাউদ্দিন শাকিলের যে বলে তিনি আউট হয়েছিলেন, সেটি যেন বুঝতেই পারেননি জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। মিড অন অঞ্চলে ব্যাট চালিয়েছিলেন; কিন্তু বল ব্যাট স্পর্শ করে লেগ স্টাম্পের পাশ দিয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষকের হাতে।

এরপর ক্রিজে এসে সাবলীল খেলা খেলতে থাকেন বিজয়। নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা এই ব্যাটসম্যানের জন্য অবশ্য এটা স্বস্তির। রানের দেখা পাওয়ার জন্য ওপেনিং থেকে নেমে এসেছেন তিনে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ৩৫ রান। বিজয়ের ইনিংসে কোনও চারের মার না থাকলেও ছয় ছিল ৩টি। তানভীর হায়দারের বলে শর্ট মিড উইকেটে ইলিয়াস সানির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।

বিজয়ের সামনে সুযোগ ছিল জিতিয়ে মাঠ ছাড়ার। জয় থেকে তার দল যখন মাত্র ৩ রান দূরে, তখন তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রনি। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছয়ে ইনিংসটি সাজান। এরপর দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মোহাম্মদ মিথুন (২১) ও আরাফাত সানি জুনিয়র (২)।

মিথুন এর আগের ম্যাচেও অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। পেয়েছিলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শাকিল।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি শেখ জামাল। আগের ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের বিপক্ষে জয় পেলেও এই ম্যাচেই মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেছে দলটি। সাদা-কালোদের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন জামালের অধিনায়ক সোহান। এই ম্যাচে আউট হয়েছেন শূন্য রানে। রুবেল হোসেনের বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটের পেছেন রানের খাতা খোলার আগেই।

শুরুর দিকে ঝলক দেখালেও এখন চেনা রূপে আশরাফুল। ইনিংস শুরু করলেও বড় করতে পারছেন না। আউট হয়েছেন ১২ বলে ১৬ করে। প্রথম দুই ম্যাচে ৩৮ ও ৪১ রান করার পর বাকি ম্যাচগুলোতে ২০ রানের ঘর পেরোতে পারেননি।

আরেক ওপেনার সৈকত আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ২৮ রান। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার গণ্ডিতেই আছেন নাসির হোসেন। এই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এবার আউট হয়েছেন শূন্য রানে।

শেখ জামালের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। তার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৩০ বলে ৩৪ রান। সাতে নেমে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের ইনিংসেই সম্মানজনক স্কোর করতে পারে জামাল। এ ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই বড় রানের মুখ দেখেননি।

প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। ইনজুরির কারণে শ্রীলঙ্কা সফর মিস করা রুবেল গতকাল ফিরেই শিকার করেন চার উইকেট। এই ম্যাচেও বল হাতে ছিলেন দুর্দান্ত।

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়