ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য ভার্চুয়াল আয়োজনে পর্দা উঠলো ইউরোর

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০১:২৩, ১২ জুন ২০২১   আপডেট: ০৮:১৬, ১২ জুন ২০২১
বর্ণাঢ্য ভার্চুয়াল আয়োজনে পর্দা উঠলো ইউরোর

বিশ্বের চিরন্তন শহর হিসেবে খ্যাত ইতালির রাজধানী রোমে ঝাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে পর্দা উঠলো ইউরো-২০২০ এর। বার্নাঢ্য আয়োজনের পরই মাঠের লড়াইয়ে নেমেছে ইতালি-তুরস্ক। ইতালি এবারের আসরের অন্যতম ফেবারিট হলেও তুরস্ক হচ্ছে ‘ডার্ক হর্স’। যে কোনো কিছু করে দিতে পারে তুর্কিরা। 

রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। হল্যান্ডের ডিজে মার্টিন গ্যারিক্সের সঙ্গে ডাবলিনের বিখ্যাত রক ব্যান্ড ইউ টু-র দুই রকস্টার বোনো এবং দ্য এজ মঞ্চ মাতিয়েছেন দারুণ ভারচুয়াল পারফরম্যান্সে। ছিল আতশবাজি ঝলকানি, দৃষ্টিনন্দন ফায়ারওয়ার্কস। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হয় মাঠের লড়াই।

চিয়াও ইউরো! চিয়াও রোমা! স্লোগানে ড্রাম বাজাতে বাজাতে অংশ নেওয়া ২৪টি দেশের জন্য ২৪টি বল নিয়ে শুরু হয় দারুণ প্রদর্শনী। এরপর ইতালিয়ান অপেরা শিল্পী আন্দ্রে বোচেল্লি নজরকাড়া পারফরম্যান্সে অংশ নেন। সঙ্গে ছিল চোখ জুড়ানো ফায়ারওয়ার্কস।

এরপরেই শুরু হয় ভার্চুয়াল আয়োজন। এখানে ডিজে মার্টিন, বোনো ও দ্য এজ পারফর্ম করেন। যা মনে হয়েছে একদম সরাসরি পারফর্ম করছেন তারা। তারা শুরু করেন 'উই আর দ্য পিপল' গান দিয়ে।

তাদের পারফরম্যান্স শেষ হওয়ার পর মাঠে আসে দুই দল। কিকঅফের শুরুটা ছিল অসাধারণ দৃশ্য। রিমোট কন্ট্রোল ভক্সওয়াগনে করে মাঠে আসে বল। তুরস্কের অধিনায়ক বুরাক ইয়লিমাঝ ও ইতালিয়ান অধিনায়ক জর্জিও চিয়েলিনি একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তুরস্ক প্রথমে বল স্পর্শ করে খেলা শুরু করে।

রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে ধারণক্ষমতার ২৫ শতাংশ দর্শককে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সংখ্যায় প্রায় ১৬ হাজার। দেড় বছর পর দর্শকদের সামনে খেলবেন ভেবে রোমাঞ্চিত ইতালির অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি, ‘আমরা এক বছর ধরে এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছি। ১৫ হাজার মানুষেল মুখে জাতীয় সঙ্গীত শুনতে আর তর সইছে না আমাদের। স্টেডিয়ামের ভেতরে ভক্তদের সঙ্গে ফুটবল একেবারে ভিন্ন একটা খেলা।’

২০১৬ সালের ইউরোর পর বড় কোনও আন্তর্জাতিক ‍টুর্নামেন্টে খেলতে নামছে ইতালি। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে উঠতে না পারার হতাশা এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে তারা। ইউরোর বাছাইয়ের ১০ ম্যাচের সবগুলো জিতেছে আজ্জুরিরা। টুর্নামেন্টে খেলতে নামছে ২৭ ম্যাচ অজেয় থেকে। বোনুচ্চি বললেন, ‘আমরা সব বাধা টপকাতে চাই। অন্য জাতীয় দলগুলোর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, কিন্তু আমরা যে কাউকে খেলতে পারি। আমাদের একজন (রোমেলু) লুকাকু কিংবা একজন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নেই। আমাদের শক্তি হচ্ছে দল।’

বেশ শক্ত অবস্থানে থেকে ইতালির মুখোমুখি হচ্ছে তুরস্ক। বাছাইয়ে তারা বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল। মাত্র একটি ম্যাচ হেরে তারা ফরাসিদের পরে দ্বিতীয় স্থানে থেকে বাছাই শেষ করে, দুই দলের ব্যবধান ছিল মাত্র ৪ পয়েন্টের। তুরস্কের কোচ সেনল গুনেস বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া এবং উদ্বোধনী ম্যাচ খেলঅ আমাদের গর্বিত করছে।’ প্রতিপক্ষকে হুমকি দিতেও ভুললেন না তিনি, ‘প্রত্যেক উদ্বোধনী ম্যাচে চমক থাকে, আশা করি আমরাও তা পারবো।’

রিয়াদ/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়