ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রেকর্ড রান করে মোহামেডানকে আবাহনীর চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৪, ২০ জুন ২০২১   আপডেট: ২২:৩১, ২০ জুন ২০২১
রেকর্ড রান করে মোহামেডানকে আবাহনীর চ্যালেঞ্জ

প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দারুণ শুরু করেছিল আবাহনী। লিটন দাস শুরুতে ফিরে গেলেও মুনিম শাহরিয়ার-নাজমুল হোসেন এগিয়ে নিচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। এরপর মুশফিকুর রহিমের দারুণ ইনিংসে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ১৯৩ রান করে আবাহনী।

রোববার (২০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় লড়াইয়ে নামে দুই দল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে মুশফিকের দল। ৩২ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক।

এর আগে সর্বোচ্চ ১৮৩ রান করেছিল আবাহনী। একবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও আরেকবার শাইনপুকুরের বিপক্ষে এই রান করে দলটি। এবার নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ছাড়িয়ে গেলো।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। মোসাদ্দেক ৭ বলে ১৪ ও আফিফ ৯ বলে ১০ রান করেন। এর আগে নাঈম শেখ ১৮ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।  

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আবু হায়দার রনিকে লং অফে দারুণ চারে রানের খাতা খোলেন মুনিম শাহরিয়ার। পরের বল ডট দিয়ে ওয়াইড লং অফ-ডিপ এক্সট্রা কাভারে টানা দুই চারে বার্তা দেন বড় কিছুর। মুনিম দুর্দান্ত শুরু করলেও এই প্রথম ঢাকা লিগে খেলতে নেমে ব্যর্থ লিটন দাস।

৭ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সর্বশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে টানা দুই ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন। এবার ঢাকা লিগে খেলতে নেমে রুয়েল মিয়ার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাজঘরে।

লিটন ফিরলেও দারুণ খেলছিলেন মুনিম-শান্ত। পরপর দুই ওভারে এই দুজনকে ফেরান আবু জায়েদ রাহী ও রুয়ে। রাহীর করা দলীয় অষ্টম ওভারে ১৭ বলে ২৭ রান করে ইরফান শুক্কুরের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চারের মারে।  

পরের ওভারেই আবারো আক্রমণ করেন রুয়েল। দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুনিমকে ফেরান বোল্ড করে। আউট হওয়ার আগে মুনিমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ বলে ৪৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়ে।

ক্রিজে এসে নাঈম শেখ খেলতে থাকেন ধীরগতিতে। শুরুর ১০ বলে আসে মাত্র ৬ রান। পরে হাত খুলে খেললেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। আসিফ হাসানের বলে ১৫তম ওভারে লং একটি চার ও কাউ কর্নারে একটি ছয় মেরে ফেরেন সাজঘরে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে২৪ রান। তারা ফিরে গেলো মুশফিকের কল্যাণে এ আসরের সর্বোচ্চ রান করে আবাহনী।

মোহামেডানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন রুয়েল মিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ আসিফ ৩ উইকেট নিলেও তিনি ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারে তিনি ৪৭ রান দেন।

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়