নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জিতে তৃপ্ত মাহমুদউল্লাহ
টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে বলা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। বাদ দেওয়া হয়েছিল লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে। অনুশীলনেও মেলেনি সুযোগ। মোটামুটি তাকে বাতিল বলে ঘোষণা-ই করা হেয়ছিল। সেই মাহমুদউল্লাহ দেড় বছর পর ব্যাকআপ হিসেবে দলে ফিরে একাদশে সুযোগ পেয়ে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন।
১৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ প্রমাণ করেছেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হারারে টেস্টে নেমেছিলেন। সেই লড়াইয়ে জিতে তৃপ্ত অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, ‘এটা আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল, নিজেকে প্রমাণের জন্য। আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুশি যে দলে অবদান রাখতে পেরেছি। ইনিংসটা ভালো হয়েছে। দলের জন্য অবদান রাখা সবসময় আনন্দের, সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।’
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এরপর দল থেকে বাদ পড়েন। সাদা পোশাকে ৫ টেস্টে তাকে বিবেচনায় আনেনি টিম ম্যানেজমেন্ট। পাশাপাশি গত বছর লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতেও তাকে রাখেনি বিসিবি। পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স ছিল দৃষ্টিকটু। প্রথম ইনিংসে ২৫, দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিক বলে যেভাবে আউট হন তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের বিরক্তি ধরে যায়। এরপর সব শেষ!
নাহ শেষ হয়নি। ফিরে আসার চিত্র কীভাবে আঁকতে হবে, তা হারারের ২২ গজে তুলির আঁচড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার রঙিন ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে ১৫০ রানের অনবদ্য এক গল্প। নিজেকে মেলে ধরার তাড়ণাই তাকে করেছে অনন্য, ‘এতটা সহজ ছিল না পারফর্ম করা। কারণ গত প্রায় দেড় বছর লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এই সফরের আগেও প্রথমে স্কোয়াডে ছিলাম না, পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তারপর থেকে মনোযোগ ছিল সুযোগ পেলে যেন পারফর্ম করতে পারি।’
মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ব্যাটিংয়ের সময় টেকনিক্যাল বিষয়গুলিতে জোর দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। বরং মানসিকতার লড়াই চালিয়েছেন ২২ গজে, ‘অনেক দিন লাল বলে খেলিনি। চিন্তা করেছি কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। বোলারদের নিয়ে চিন্তা করেছি, কে কখনও কতটুকু সিমের সাহায্যে বল করে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে মানসিক ভারসাম্য ভালো থাকার কারণে ব্যাটিং ভালো হয়েছে।’
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন