ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টানা ১৬ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে হারারেতে নামছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৪, ১৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ২০:৫৮, ১৫ জুলাই ২০২১
টানা ১৬ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে হারারেতে নামছে বাংলাদেশ

ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৬ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে শুক্রবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ। একদিনের ক্রিকেটে এর আগে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ হেরেছিল আট বছর আগে। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে শেষ সফরে সিরিজও হেরেছিল ২-১ ব্যবধানে।

এরপর আফ্রিকার দক্ষিণের দেশটির বিপক্ষে ১৬ ওয়ানডের প্রতিটি জিতেছে, পাঁচ সিরিজের প্রতিটিতে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। তবে প্রতিটি ওয়ানডে খেলেছিল নিজেদের মাটিতে। এবার লড়াইটা প্রতিপক্ষের ডেরায়। বাংলাদেশ ক্রিকেট আন্তর্জাতিক মঞ্চে সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে যে ব্র্যান্ড তৈরি করেছে তাতে জিম্বাবুয়েকে ভয় পাওয়ার কথা নয়।

তবে দীর্ঘ সময় পর জিম্বাবুয়ের মাটিতে খেলতে নামছে বলে সতর্ক বাংলাদেশ। অধিনায়ক তামিম ইকবালের কন্ঠে সেই সুর পাওয়া গেল,‘জিম্বাবুয়েতে ২-৩টা সিরিজ খেলেছি তবে ৬-৭ বছর আগে। সকাল সাড়ে নয়টায় ম্যাচ শুরু হবে, তাই বোলারদের শুরুতে সুবিধা হবে বিশেষ করে প্রথম ঘণ্টায়। এটা চ্যালেঞ্জিং হবে যদি আগে ব্যাট করি। আগে ব্যাট করলে সাবধান থাকতে হবে। আগে বোলিং করলে এই এক ঘণ্টা কাজে লাগাতে হবে।’

হারারের মাঠে নেই ফ্লাড লাইট। ফলে কৃত্রিম আলোয় খেলার সুযোগ নেই। সেখানে সকালের ম্যাচগুলির বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। তবে প্রথম ইনিংসের গড় রান ২৬০-২৮০। ফলে স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পেলে বোলারদের জয়ের জন্য বড় ভূমিকা রাখতে হবে। তিন ওয়ানডে সিরিজে প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশকে অতি সতর্ক থাকতে হচ্ছে।  

আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচ হওয়ায় তিন ওয়ানডের প্রতিটির জন্য বরাদ্দ ১০ পয়েন্ট। জিতলেই ১০ পয়েন্ট পাবে বাংলাদেশ। হারলেই ১০ পয়েন্ট শেষ। নয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ এখন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তিন ওয়ানডেতে ৩০ পয়েন্ট পেলে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে।

তামিমের নজর সেদিকেই,‘ভালো শুরু করাই আমার কাছে মূল বিষয়। আমাদের সব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। সুপার লিগ খেলবো। প্রত্যেক ম্যাচের আলাদা গুরুত্ব আছে। তিনটা ম্যাচেই আমরা সেরা দল খেলানোর চেষ্টা করবো।’

সঙ্গে দেশের বাইরে সিরিজটাও জিততে চান ওয়ানডে অধিনায়ক,‘আমি তো চাইব প্রত্যেক ম্যাচই জিততে। কিন্তু দিন শেষে এটা ক্রিকেট।’ অতীত পারফরম্যান্স, বর্তমান দলের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। টেস্ট সিরিজ ২২০ রানে জিতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
এবার সীমিত পরিসরে জয়ের ফানুশ উড়ানোর পালা। তামিমের অধীনে বিদেশের মাটিতে এখনও জেতেনি বাংলাদেশ। পূর্ণাঙ্গ অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কায় দল হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এ বছরই নিউ জিল্যান্ডে দল হেরেছে একই ব্যবধানে। এবার তামিম প্রত্যাশিত জয়ে সিরিজ জিততে মুখিয়ে। নিশ্চিত করতে চান পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট। সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের ব্যবধানটাও বাড়াতে চান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৫ ওয়ানডেতে ৪৭টি জিতেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের এবার হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে তাদের বিপক্ষে জয়ের হাফ সেঞ্চুরি করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দলের প্রত্যেকেও আছে ভালো অবস্থানে। তামিম প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন। সাকিব, মিঠুন, মোসাদ্দেকরা। বোলিংয়েও বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল আঁটসাঁট।

ফলে মূল মঞ্চে বাংলাদেশের ধারাবাহিকতা থাকবে তা প্রত্যাশা করাই যায়। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বরাবরই চমক দিতে পছন্দ করে। নিজেদের মাটিতে তারা বড় বড় দলগুলিকেও সহজে জিততে দেয় না। কখনো কখনো অঘটনও ঘটিয়ে ফেলে। ফলে বাংলাদেশ যে খুব সহজে জিতে যাবে তা প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না মোটেও। তবে ফেভারিটের তকমা নিয়ে হারারেতে মাঠে নামছে তা বলাই যায়।

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়