ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

তামিমের সেঞ্চুরি, সোহানের ফিনিশিংয়ে জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৫, ২০ জুলাই ২০২১   আপডেট: ২১:৫০, ২০ জুলাই ২০২১
তামিমের সেঞ্চুরি, সোহানের ফিনিশিংয়ে জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ

জয়ের জন্য রানের পাহাড় টপকানো লাগত বাংলাদেশের। তামিমের দুর্দান্ত শুরুতে ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ। সেঞ্চুরিতে জবাব দেন তিনি। শেষ দিকে সোহানের ঝড়ো ফিনিশিংয়ে সহজেই জিতে যায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলে ২ ওভার হাতে রেখে। জয় পায় ৫ উইকেটে। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ।

এটি বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০তম জয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম কোনো দলের বিপক্ষে জয়ের ফিফটি করলো বাংলাদেশ। এ জয়ে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে আরো ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের সুপার লিগের মোট পয়েন্ট ৮০। টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।  

 

স্কোর: বাংলাদেশ ৩০২/৫

ওভার: ৪৮ ওভার

জিম্বাবুয়ে ২৯৮/১০

ওভার: ৪৯.৩

 

তামিম ম্যাচ সেরা, সাকিব সিরিজ সেরা

১১২ রানের নজরকাড়া ইনিংস খেলে তামিম ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। যা তার ক্যারিয়ারের ১৬তম। সিরিজ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৩ ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪৫ রান ও বল হাতে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে এ নিয়ে সাতবার সিরিজ সেরা নির্বাচিত হলেন সাকিব।

ফিরেই পার্শ্বনায়ক সোহান

২০১৬ সালে খেলেছিলেন শেষ ওয়ানডে। বাদ পড়ার কারণ ছিল দলে একাধিক উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান। দীর্ঘদিন পর সোহান আজ সুযোগ পান একাদশে। নিজের ফেরা রাঙিয়েছেন ৪৫ রানের ঝকঝকে ইনিংসে। তামিম ও মাহমুদউল্লাহ পরপর দুই বলে সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন সোহান। প্রথম বলেই বাউন্ডারি। এরপর জিম্বাবুয়ের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে সহজেই ম্যাচ বের করে আনেন। ৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে সাজান তার ইনিংসটি। ফিনিশিংয়ে তাকে সঙ্গ দেন আফিফ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ১৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করেন।  

সোহানের ব্যাটে জয় দেখছে বাংলাদেশ

কাজী নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিংয়ে চাপ সামলে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ৫৭ বলে ৩০ রান করেন তিনি। সোহানের নতুন সঙ্গী আফিফ হোসেন। 

সোহান-মিঠুনের ব্যাটে প্রতিরোধ

তামিম ও মাহমুদউল্লাহকে এক ওভারে হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন সোহান ও মিঠুন। উইকেটে এসে কোনো জড়তা দেখাননি সোহান। মিঠুন শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ছিলেন। ডট বলে চাপ বাড়াচ্ছিলেন। কিন্তু সোহানের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সহজেই রান এসেছে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা ৫৫ বলে ৬৪ রান করেন। যেখানে মিঠুনের অবদান ছিল মাত্র ১৫।   

এক ওভারে তামিম-মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

দ্বিতীয় বিরতির পর জিম্বাবুয়ে জোড়া সাফল্য পেল। তামিম ও মাহমুদউল্লাহ ফিরলেন টিরিপানোর এক ওভারে। ডানহাতি পেসারের অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তামিম মনোযোগ হারিয়ে আলগা শট খেললেন। তাতে বিপদে বাংলাদেশ।

৯৭ বলে ১১২ রান করে তামিম ফেরেন সাজঘরে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় তামিম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসটি বড় করতে পারেননি বাংলাদেশের ওপেনার। তামিম আউট হবার পরের বলেই সাজঘরের পথ ধরেন মাহমুদউল্লাহ।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান টিরিপানোর ভেতরে ঢোকানো বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ক্যারিয়ারের ২০০তম ওয়ানডে খেলতে নেমে গোল্ডেন ডাককে সঙ্গী করলেন মাহমুদউল্লাহ। বিরতির পর এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।

৯৬ বলে দরকার ৯৫ রান

লক্ষ্য খুব সামান্য। জয়ের জন্য বাংলাদেশের ৯৬ বলে দরকার ৯৫ রান। সেঞ্চুরিয়ান তামিম এখনও ক্রিজে আছেন। তার সঙ্গে আছেন মিঠুন। মিঠুন মন্থর ব্যাটিং করলেও তামিম স্বভাবসুলভ খেলে রান বাড়িয়ে যাচ্ছেন।

তামিমের অনবদ্য সেঞ্চুরি, লক্ষ্যের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

চাতারার লেন্থ বল লং অন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠালেন তামিম। ৯৬ থেকে তার রান পৌঁছে গেল একশতে। ১১ ইনিংস পর তামিম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি পেলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ১৪তম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। ৮৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন তামিম। ওয়ানডেতে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১০ সালে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।

সাকিবকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের সাফল্য

পথের কাঁটা সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়ে আনন্দে মাতল জিম্বাবুয়ে। পেসার লুক জংওয়ের অফস্টাম্পের বাইরের লেন্থ বল কাট করতে গিয়েছিলেন সাকিব। টাইমিং মেলাতে পারেননি। বল যায় চাকাবার হাতে। জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের জোরালো আবেদেন আম্পায়ার সাড়া দেন। সাকিব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন! মনে হচ্ছিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে একদমই খুশি নন তিনি। তামিমের সঙ্গে ৬৮ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে সাকিব ফিরলেন সাজঘরে। জুটিতে তার অবদান ৩০ রান।  

তামিম-সাকিবের ব্যাটে বাংলাদেশের দাপট

তামিম ও সাকিবের জমাট জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে যেভাবে ব্যাটিং করার প্রয়োজন ঠিক সেভাবেই ব্যাটিং করছেন তারা। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি আদায় করছেন। সিঙ্গেলস ও ডাবলসে রানের চাকা রেখেছেন সচল। তামিম ফিফটির পর ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। সাকিব তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন। 

১৫০ বলে দরকার ১৫৪ রান

২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১৪৫। পরের ২৫ ওভারে জয়ের জন্য ১৫৪ রান করতে হবে অতিথিদের। পারবে তো বাংলাদেশ? 

তামিম-সাকিব জুটির পঞ্চাশ

স্পিনার মাধভেরের বল এগিয়ে এসে কভার দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন তামিম। ৪৭ থেকে তামিম ও সাকিবের জুটির রান ৫৩। তাদের জুটির ১৬তম ফিফটি এটি। তাদের জুটির তিনটি সেঞ্চুরির ইনিংসও রয়েছে। 

তামিমের ফিফটি, ফিরলেন লিটন

২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ও লিটন ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। এ সময়ে তামিম তুলে নেন ফিফটি। তবে লিটন ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। মাধভেরের বল সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। তামিম ৫২তম ওয়ানডে ফিফটি পেয়েছেন ৪৬ বলে। এজন্য ৪টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তামিমের নতুন সঙ্গী দ্বিতীয় ম্যাচের নায়ক সাকিব। 

শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ 

সিকান্দার রাজার ১৭তম ওভারের তৃতীয় বল লং অনে পাঠিয়ে এক রান নিলেন তামিম। এই সিঙ্গেলে বাংলাদেশের দলীয় রান একশ স্পর্শ করে। বিশাল লক্ষ্য তাড়া রকতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ জবাব দিচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। কোনো ঝুঁকি না নিয়েই রান তুলছেন ব্যাটসম্যানরা। তবে লক্ষ্য এখনও অনেকদূর। জিততে হলে আরো ১৯৯ রান করতে হবে।    

পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত বাংলাদেশ 

১১ ইনিংস পর বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির রান পঞ্চাশ পেরোল। তামিম ও লিটনের জমাট জুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু হয়েছে বাংলাদেশ। বৃত্তের সুবিধা ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে পাওয়ার প্লে’তে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে বাউন্ডারি এসেছে ৭টি, ছক্কা ১টি। জিম্বাবুয়ে পাওয়ার প্লে’তে তুলেছিল ৩৮ রান, হারায় ১ উইকেট।   

চাতারার ওভারে এলো ১৯ রান

চাতারার শর্ট বল পুল করে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন তামিম। পরের বলটি অনড্রাইভে চার। ওভারের শেষ বলটি ডিপ কভার দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি। শেষ ৩ বলে ১৪ রানের আগে ওভারের প্রথম দুই বলে আসে ৫ রান। তাতে চাতারার করা অষ্টম ওভারে বাংলাদেশ পেয়ে যায় ১৯ রান। একই সঙ্গে ৮ ওভারে দলীয় ৫০ রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১১ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটির রান পঞ্চাশ পেরোল।

বাংলাদেশের টার্গেট ২৯৯ রান

রেগিস চাকাবা, সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্লের হাফ সেঞ্চুরিতে চলতি ওয়ানডে সিরিজের সর্বোচ্চ ২৯৮ রান করলো জিম্বাবুয়ে। শেষ দিকে এসে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের গতি কিছুটা কমান। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৯৯ রান। তিন বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ানরা। শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে শূন্য রানে বোল্ড করেন মোস্তাফিজুর রহমান। সাইফ ও মোস্তাফিজ বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।

এক ওভারে সাইফউদ্দিনের ৩ উইকেট

এক ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিলেন ৩ উইকেট। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে রায়ার্ন বার্ল তাকে ছক্কা হাঁকান। পরের বলে তাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানান। ৫৯ রানে ফেরেন বার্ল। পরের বলে ডোনাল্ড তিরিপানোকে করেন বোল্ড। তেন্দাই চাতারা হ্যাটট্রিক হতে দেননি। তবে দুই বল পরই বোল্ড হন ১ রানে।

জীবন পেয়ে বার্লের হাফ সেঞ্চুরি, বিদায় সিকান্দারের

রায়ান বার্লকে জীবন দিলেন সাকিব আল হাসান। ডিপ ফাইন লেগে জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যানের ক্যাচ ছেড়ে দিলেন। তাতে হলো চার এবং দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরিও পেয়ে গেলেন বার্ল, ৩৮ বল খেলে। পরের ওভারে সিকান্দারকে মোসাদ্দেক হোসেনের ক্যাচ বানান মোস্তাফিজুর রহমান। ৫৪ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে ৫৭ রান করেন ৩৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ বলে ১১২ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার ও বার্ল।

সিকান্দারের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের অস্বস্তি

রেগিস চাকাবাকে ৮৪ রানে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। তবে সিকান্দার রাজা সেই ধাক্কা সামলে নেন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪৯ বলে ১৭তম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তাতে করে জিম্বাবুয়ে আড়াইশ ছাড়ানোর পথে। রায়ান বার্লের সঙ্গে তার জুটি ৭০ ছাড়িয়েছে।

তাসকিনের গতিতে পরাস্ত চাকাবা

ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রান তুলে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন রেগিস চাকাবা। কিন্তু মনোযোগ ধরে রাখতে পারলেন না। তাসকিনের গতিতে পরাস্ত হয়ে উইকেট হারালেন। তার ফুলার লেন্থ বল লেগ সাইডে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়তি গতিতে টাইমিং মেলাতে পারেননি। পায়ের কাজও ছিল নড়বড়ে। বাজে এক শটে শেষ প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংস। তাসকিন পেলেন ম্যাচের প্রথম উইকেট। ৯১ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৮৪ রান করে চাকাবা ফেরেন সাজঘরে। 

১০ বলে বাংলাদেশের জোড়া সাফল্য

প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে দ্বিতীয় ওভারে পেলেন উইকেটের স্বাদ। তার স্লোয়ার বলে আগে ব্যাট চালিয়ে সাকিবের হাতে সহজ ক্যাচ দেন ওয়েসলি মাধভেরে। ১০ বলের ব্যবধানে বাংলাদেশ পেল জোড়া সাফল্য। মাহমুদউল্লাহ চাকাবা ও মায়ার্সের ৭১ রানের জুটি ভাঙার পর মোস্তাফিজ ফেরালেন মাধভেরেকে। 

বিপজ্জনক জুটি ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ

রেগিস চাকাবা ও ডিয়োন মায়ার্স ৭০ বলে ৭১ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছিলেন। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এ জুটি ৩০তম ওভারে ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ। মায়ার্সকে বোল্ড করে দ্বিতীয় উইকেটের স্বাদ পেলেন মাহমুদউল্লাহ। ডানহাতি অফস্পিনারের বল উইকেট থেকে সরে কাট করতে গিয়ে স্টাম্প হারান ৩৮ বলে ৩৪ রান করা মায়ার্স। 

চাকাবা-মায়ার্সে এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে

তৃতীয় উইকেট জুটিতে চাকাবা ও মায়ার্স দারুণ জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশকে। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি আসার পাশাপাশি সিঙ্গেলস ও ডাবলসে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন তারা। চাকাবা এরই মধ্যে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। মায়ার্সের ব্যাটও হাসছে। জুটির রানও পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। উইকেটে থিতু হয়েছেন দুইজন। তাদের ব্যাটে বড় স্কোর আসে কিনা সেটাই দেখার। 

চাকাবার ফিফটি, জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ 

সিরিজের দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি পেলেন রেগিস চাকাবা। ৬২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ফিফটি পূর্ণ করেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান। চাকাবার ফিফটির সঙ্গে মায়ার্স ও তার জুটির রানও পঞ্চাশ পেরিয়েছে। ব্রেন্ডন টেইলর আউট হওয়ার পর তারা জুটি গড়েন। ৪৪ বলে জুটির পঞ্চাশ রান পেরিয়ে যায়।  

জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহর ধাক্কা

ক্যারিয়ারের দুইশতম ম্যাচ খেলতে নেমে মাহমুদউল্লাহ পেলেন উইকেটের স্বাদ। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলরকে ফেরালেন অফস্পিনার। তার শর্ট বল মিড অন দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন টেইলর। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে তামিমের হাতে সহজ ক্যাচ দেন ৩৯ বলে ২৮ রান করা এ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় উইকেটে চাকাবাকে নিয়ে ৫৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর দারুণ বোলিং ভাঙল তাদের প্রতিরোধ।

হাল ধরেছেন টেইলর-চাকাবা

দ্বিতীয় উইকেটে টেইলর ও চাকাবার ব্যাটে লড়াই করছে জিম্বাবুয়ে। ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ১৬ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের রান ৭২। টেইলর ২৪ ও চাকাবা ৩৪ রানে ব্যাটিং করছেন। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন সাকিব।  

ব্রেক থ্রু এনে দিলেন সাকিব

নবম ওভারে সাকিবের হাতে বল তুলে দেন তামিম। এর আগে তাসকিন ও সাইফ উদ্দিনকে দিয়ে বোলিং শুরু করেছিলেন। এরপর মোস্তাফিজ ও মাহমুদউল্লাহকেও নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কেউ ব্রেক থ্রু দিতে পারেননি। সাকিব প্রথম ওভারেই সেই কাজটা করলেন। তার বল সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ৮ রান করা তাদিওয়ানাশে মারুমানি। 

পাওয়ার প্লে’তে দুই দলের দারুণ লড়াই

প্রথম পাওয়ার প্লে’তে ১০ ওভারে ৩৮ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। হারিয়েছে ১ উইকেট। জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালো হলেও বাংলাদেশ ১ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছে। ৬ ওভারে তাদের রান ছিল ২৯। পরের ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন বোলাররা।

জিম্বাবুয়ের দারুণ শুরু

বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছে জিম্বাবুয়ে। দুই ওপেনার রেগিস চাকাবা ও তাদিওয়ানাশে মারুমানি সাবধানী ব্যাটিংয়ে দলের রান বাড়াচ্ছেন। নিয়মিত বিরতিতে আসছে বাউন্ডারি। তাতে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হচ্ছে। 

বোলিংয়ে বাংলাদেশ

হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে বোলিং করছে বাংলাদেশ। টস জিতে তামিম ইকবাল বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় ম্যাচটি শুরু হয়।

বাংলাদেশের একাদশে দুই পরিবর্তন

শেষ ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছেন কাজী নুরুল হাসান সোহান। মেহেদী হাসান মিরাজ হাতের চোটে বিশ্রাম পেয়েছেন। তার পরিবর্তে সোহানকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওয়ানডেতে গোড়ালির চোটে খেলতে পারেননি মোস্তাফিজ। 

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, কাজী নুরুর হাসান সোহান, সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। 

জিম্বাবুয়ে একাদশেও দুই পরিবর্তন 

শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েও দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামছে। দলে ফিরেছেন রায়ান বার্ল ও ডোনাল্ড টিরিপানো। একাদশের বাইরে রিচার্ড নাগারাবা ও তিনেশে কামুনহুকম্বে।   

জিম্বাবুয়ে একাদশ: ব্রেন্ডন টেইলর (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাবা, ডোনাল্ড টিরিপানো, টেন্ডাই চাতারা, লুক জংওয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স।

মাহমুদউল্লাহর দুইশ

পঞ্চম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দুইশ ওয়ানডে খেলার অনন্য কীর্তি গড়লেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৬ সালে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ২২৭ ওয়ানডে। মাশরাফি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন ২২০টি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ২১৮টি। ২টি ম্যাচ খেলেছেন এশিয়া একাদশের হয়ে। এছাড়া তামিম ২১৮, সাকিব ২১৪ ম্যাচ খেলেছেন। 

৫০তম জয়ের খোঁজে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ৫০তম জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের। ৭৭ ম্যাচে বাংলাদেশে জিতেছে ৪৯টিতে। আজকের জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করবে। প্রথম কোনো দলের বিপক্ষে এমন মাইলফক ছোঁয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।  

হোয়াইটওয়াশই একমাত্র লক্ষ্য

জিম্বাবুয়েতে আজ হোয়াইটওয়াশ করতে চায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। ২০ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ আজ জিতলে আরও ১০ পয়েন্ট পাবে। তাতে সুপার লিগে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করবে বাংলাদেশ।

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়