পরীক্ষা-নিরীক্ষার এইতো সুযোগ!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ১৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ম্যাচগুলো থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা আদায় করে সেরা কম্বিনেশন তৈরি করার কথা জানালেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ফেরি করে বেড়ানো সাকিব মনে করেন, দল, পারফরম্যান্স নিয়ে যত পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে সেগুলো এখন থেকেই করা উচিত। শুরুটাও করা উচিত জিম্বাবুয়ে থেকে। 

জিম্বাবুয়েতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার থেকে। এরপর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি করে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে। 

বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে সাকিব নিজেও প্রস্তুতি শুরু করেছেন আগে থেকে। দেশের খেলা বাদ দিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন আইপিএলে। এখন জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেও ভালো স্মৃতি নিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চান তিনি, ‘অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটা সিরিজই। এখন হয়তো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ আছে দলে। দলের সেরা কম্বিনেশন খোঁজার চেষ্টা করা হবে। একই সময় ভালো ফলাফল হলে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।’ 

ধারাবাহিক উন্নতি করে লক্ষ্যেও পৌঁছাতে চান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডার, ‘ভালো করার ও উন্নতির শেষ নেই। এখান থেকে যতটা সিরিজ বাই সিরিজ উন্নতি করতে পারি সেটা দলের জন্য ভালো হবে। তাহলে আমাদের লক্ষ্যটা পূর্ণ হবে।’ 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম রাউন্ডে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষদের সঙ্গে লড়বে মাহমুদউল্লাহর দল। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের তিন প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওমান। এই গ্রুপের শীর্ষ দুটি দল জায়গা করে নেবে চূড়ান্ত পর্বে। যাকে বলা হচ্ছে সুপার টুয়েলভ। 

সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তান। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের শুরুটা হতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখে তাদের পরীক্ষা নিয়ে সেরা কম্বিনেশন সাজানোর এইতো সুযোগ বাংলাদেশের।