আশা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক সাইক্লিস্ট মাসুমাহ
মাসুমাহ আলী জাদা
আফগান সাইক্লিস্ট মাসুমাহ আলী জাদার জন্য টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেওয়া কেবল একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তই নয়। তিনি বিশ্বের হাজার হাজার নারীর আশা ও অনুপ্রেরণার প্রতীক, যাদের জন্য বাইক চালানোই নিষিদ্ধ।
নিজ দেশ আফগানিস্তানে রাস্তায় বের হলেই অসহায় হয়ে পড়তেন মাসুমাহ। সেখানে নিরীহ মানুষরা প্রায় সময় তালিবানদের হামলার শিকার হন, বিশেষ করে যেসব নারীরা তাদের অধিকার নিয়ে সরব। মাসুমাহও তেমন পরিস্থিতির শিকার হয়ে ২০১৬ সালে পরিবারকে নিয়ে পালিয়ে যান এবং আশ্রয় নেন ফ্রান্সে।
কিন্তু ওখানেই তার সাইক্লিংয়ের গল্প শেষ হয়ে যায়নি। শরণার্থী অ্যাথলেটদের জন্য প্রবর্তিত অলিম্পিক স্কলারশিপ পেয়েছেন। যা তাকে ট্রেনিংয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। নিজের পরিশ্রম আর অধ্যাবসায় দিয়ে গত মে মাসে অলিম্পিক শরণার্থী দলের প্রতিনিধি হিসেবে টোকিওর টিকিট পান।
বুধবার (২৮ জুলাই) তিনি আরো ২৪ নারী সাইক্লিস্টের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামেন। ফুজি ইন্টারন্যাশনাল স্পিডওয়েডেতে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চিত মাসুমাহ। বিবিসি স্পোর্টকে তিনি বলেছেন, ‘এটা বিরাট দায়িত্ব, আমি ৮ কোটি ২০ লাখ শরণার্থী এবং আফগানিস্তান ও অন্য দেশের সব নারীদের প্রতিনিধিত্ব করছি, যেখানকার মানুষ মনে করে যে নারীদের বাইকে চড়া উচিত নয়।’
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘শরণার্থী দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুবই গর্বিত এবং আশা ও অনুপ্রেরণার বার্তা দিচ্ছি।’ প্রথমবারের মতো টাইম ট্রায়াল ইভেন্টে অংশ নিয়ে রোমাঞ্চিত মাসুমাহ, ‘আমার জীবনে এটাই প্রথম টাইম ট্রায়াল। কারণ আমি লম্বা দূরত্বের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টাইম ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই অভিজ্ঞতা আমার জন্য অবিস্মরণীয়।’
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন