ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

আতঙ্ক নিয়ে ভয়ডরহীনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৮, ১ আগস্ট ২০২১  
আতঙ্ক নিয়ে ভয়ডরহীনের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া

অনুশীলনে অস্ট্রেলিয়া দল (ছবি: রাইজিংবিডি)

করোনাকালে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশে মিরপুর শের-ই-বাংলায় এর আগেও দুটি সিরিজ হয়েছে; কিন্তু এবারের অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সঙ্গে রয়েছে সেগুলোর আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ক্রিকেট দল প্রথম দিনের মতো অনুশীলনে আসার আগে প্রটোকল টিমের মহড়া; মাঠে প্রবেশ করা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা! 

যেন এক নতুন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল হোম অব ক্রিকেট। রোববার (১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় ছিল অস্ট্রেলিয়ার অনুশীলন। আসার আগেই মাঠ পরিণত হয় শ্মশানে। মাঠকর্মীদেরও সুযোগ ছিল না মাঠে নামার। অনুশীলন শুরু হতে শেষ পর্যন্ত বিরাজ ছিল একই অবস্থা।

অনুশীলন শুরুর প্রায় ৪০ মিনিট আগেই মাঠে আসেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। তবে ড্রেসিংরুম ছেড়ে মাঠে নামতে নামতে কাটিয়ে দিলেন আরও আধঘণ্টা। মূল মাঠে গা গরমের পরই সফরকারীরা চলে যান একাডেমি মাঠে।

ওখানেও যেন লুকোচুরির গল্প। কোনো সংবাদকর্মী তো নয়ই, আশেপাশে ঘেষতে দেওয়া হয়নি কাউকেই। গণমাধ্যমকর্মীরা দূর থেকে দাঁড়িয়ে যে যেভাবে পেরেছেন অজিদের অনুশীলনের সংবাদসংগ্রহ করে গেছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানে নির্ভয়ের ক্রিকেট। কিন্তু থমথমে শের-ই-বাংলায় অজিদের অনুশীলনের প্রথম দিন শুরু হলো ভয়ে-ভয়ে।

একাডেমি মাঠের ডান কোণের তিনটি নেটে সমানতালে ঘাম ঝরিয়েছেন অজি ক্রিকেটাররা। মূলত স্পিনেই ছিল বাড়তি নজর। তারা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল; তাদের তো অজানা নয় মিরপুরে মূল প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই স্পিনই। অনুশীলনের আগে সকালে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলটির ব্যাটিং অলরাউন্ডার অ্যাস্টন টার্নার।

'এখানে যারা আগে খেলেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝলাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজে যেসব উইকেটে খেলেছি, এখানে খুব ভিন্ন কিছু হবে না। অস্ট্রেলিয়া থেকে সফরে এসে, এই শীতকালে (অস্ট্রেলিয়ান মৌসুম) এমন অনেক উইকেটেই খেলতে হবে, যেখানে স্পিন ধরে। স্পিনার হিসেবে আমি রোমাঞ্চিত যে এরকম উইকেট পাব, যেখানে স্পিনারদের সহায়তা থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় এটা সবসময় পাওয়া যায় না। ব্যাটসম্যান হিসেবেও আমরা জানি যে, দারুণ কিছু স্পিনারদের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের এবং কোনো সংশয় নেই যে তারা অনেক ওভার বোলিং করবে।'

টার্নারেরই কথায় স্পষ্ট যে অস্ট্রেলিয়ার রণপরিকল্পনা হবে এই স্পিনারদের নিয়েই। অনুশীলনেও দেখা গেছে সেই ছাপ। টার্নারসহ অনুশীলনে পুরোদমে হাত ঘুরিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা, মিচেল সোয়েপসন, অ্যাস্টন অ্যাগাররা। দেড়ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একাডেমিতে ব্যাটিং-বোলিং করে গেছেন। তবে দলের অন্যতম দুই পেসার মিচেল স্টার্ক-জস হ্যাজেলউডকে দেখা যায়নি বোলিং করতে। একাডেমি মাঠের অনুশীলন শেষে এবার কৃত্রিম আলোয় অজিরা মেতে ওঠেন ক্যাচিং-ফিল্ডিং অনুশীলনে। 

এখানেও ঘণ্টাখানেক অনুশীলন সেরে তবে থামেন সফরকারীরা। কালও অনুশীলন রয়েছে দলটির। তবে এদিন বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে ফ্লাড-লাইটের আলোয়, সকালে অস্ট্রেলিয়া। পরদিন ৩ আগস্ট থেকে শুরু হবে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এক সপ্তাহের মাঝে খেলা হবে ৫টি ম্যাচ। এখানেও যেন বড্ড তাড়াহুড়ো আর ভয়।

ঢাকা/রিয়াদ/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়