ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মোস্তাফিজ ম্যাজিকে সিরিজ জয়; বাংলাদেশ ৩ অস্ট্রেলিয়া ০

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩০, ৬ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ২৩:৩০, ৬ আগস্ট ২০২১
মোস্তাফিজ ম্যাজিকে সিরিজ জয়; বাংলাদেশ ৩ অস্ট্রেলিয়া ০

বাংলাদেশঃ ১২৭/৯ (২০ ওভার)

অস্ট্রেলিয়া: ১১৭/৪ (২০ ওভার)

১২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর মার্শ-ম্যাকডারমট ৬৩ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন। ম্যাকডারমটকে সাকিব ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। এরপর হেনরিকস-মার্শকে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৩। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজ মাত্র ১ রান দিয়ে ম্যাচের নাটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নেন। শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল ২২। কিন্তু ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি অজিরা। বাংলাদেশ জিতেছে ১০ রানে। টানা তিন ম্যাচ জিতে প্রথমবারের মতো যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।

জয়ে অনন্য ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ। চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়েছেন। ২৪ বলের মধ্যে ১৫টিই ডট বল। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২৩ রানে জিতে বাংলাদেশ সূচনা করে। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট ও আজ তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১০ রানে।

ভয়ঙ্কর মার্শকে ফিরিয়ে উল্লাসে ভাসালেন শরিফুল

আগের দুই ম্যাচে মিচেল মার্শ একাই লড়েছিলেন। তবে ৪৫ রানের বেশি করতে পারেননি। দুই ম্যাচেই আউট হয়েছেন একই অঙ্কে (৪৫)। এবারও অস্ট্রেলিয়ার ত্রাতা মার্শই। ওয়েডের আউটের পর দ্বিতীয় ওভারে ক্রিজে আসেন তিনি; এরপর খেলতে থাকেন দারুণ। ৪৫ বলে তুলে নিলেন হাফ সেঞ্চুরি। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। এরপর মার্শকে আর বেশি এগোতে দেননি শরিফুল। মাত্র ১ রান যোগ করেই ফেরেন সাজঘরে। শরিফুলের শট লেন্থের বল লং অফে হাওয়ায় ভাসান মার্শ, ম্যাচ ধরতে ভুল করেননি নাঈম। ৪৭ বলে ৫১ রান করেন মার্শ।

সাকিবের পর শরিফুলের আঘাত

জীবন পাওয়া ম্যাকডারমটকে বোল্ড করে ফেরান সাকিব। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই আঘাত হানেন শরিফুল। মিডঅনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন হেনরিকসকে। ৩ বলে ২ রান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জোড়া উইকেট নিয়ে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ।

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ফেললেন শরিফুল

১৩তম ওভারের প্রথম বল। ম্যাকডারমটের শরীর বরাবর করা মোস্তাফিজুরের লেন্থ বল পুল করলে সরাসরি লং লেগে শরিফুলের হাতে যায়। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি শরিফুল। ৩২ রানের সময় জীবন পান এই ব্যাটসম্যান।

মার্শ-মাহমুদউল্লাহর বাকবিতণ্ডা

অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের দশম ওভারের পঞ্চম বল।  ফুলিশ মিডলে করা শরিফুলের বল মার্শের শরীরে লাগে। রাগ ধরে রাখতে পারেননি এই অস্ট্রেলিয়ান। শরিফুলকে কী একটা যেন বললেন। এরপর এগিয়ে আসেন মাহমুদউল্লাহ। দুজনের মধ্যে কিছুক্ষণ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলে। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ারের সহায়তায় থামেন দুজনে।

হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছেন মার্শ-ম্যাকডারমট

ব্যাটিং অর্ডার ওপরে উঠে এসেও কিছু করতে পারেননি ম্যাথু ওয়েড। শুরুতেই ফেরেন নাসুমের ঘূর্ণিতে। এরপর ক্রিজে এসে খেলার হাল ধরেন মিচেল মার্শ। তিনি প্রথম দুই দিনেও বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিলেন। এই ম্যাচে বেন ম্যাকডারমটকে সঙ্গে নিয়ে খেলতে থাকেন সাবলীল খেলা। এখন পর্যন্ত ৪৫ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের জয়ে।

পাওয়ার প্লেতে ‘বোতলবন্দি’ অস্ট্রেলিয়া

পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। ৬ ওভারে ২০ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছে তারা অস্ট্রেলিয়ার। নাসুম আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিলে প্রথম পাঁচ ওভার করেন। তিন স্পিনারের বলে মাত্র ১৭ ওভার করে অজিরা। জবাবে দ্বিতীয় ওভারে নাসুমের শিকার হন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। স্পিন সামলাতে ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়া ষষ্ঠ ওভারে আরেক বাধার মুখোমুখি হয়, ডিফিকাল্ট কাস্টমার মোস্তাফিজুর রহমান। তার পেসে মাত্র ৩ রান তোলে ওই ওভারে।

শুরুতেই ওয়েডকে ফেরালেন নাসুম

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সাজঘরে পাঠালেন নাসুম আহমেদ। ওয়েড নাসুমের মিডল ও লেগ স্ট্যাম্পের মাঝে ফেলা বল ফাইন লেগে খেলেছিলেন; ব্যাটে-বলে ঠিক মতো হয়নি; বৃত্তের মধ্যেই ধরা পড়েন শরিফুলের হাতে। ৫ বলে মাত্র ১ রান আসে ওয়েডের ব্যাট থেকে।

এলিসের হ্যাটট্রিক, ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ফিফটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১২৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চারে খেলতে নেমে বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটিং করেন ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত। মাহমুদউল্লাহ ৫২ বলে দেখা পান হাফসেঞ্চুরির। ৪টি চারে ইনিংসটি সাজানো ছিল। শেষ ওভারে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার অভিষিক্ত বোলার নাথান এলিস। ফিফটির পর এলিসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। পরের বলে মোস্তাফিজকে ফেরান তিনি। শেষ বলে মেহেদীকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক গড়েন এই পেসার। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এলিস প্রথম বোলার যিনি অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের দেখা পান। নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান।

বাংলাদেশের ইনিংস শুরু হয় জোড়া উইকেট হারিয়ে। ৩ রান না হতেই ফেরেন সৌম্য-নাঈম। খেলার হাল ধরেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। দুজনের ৪৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ম্যাচে ফেরে। সাকিব ১৭ বলে ২৬ রান করে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ক্রিজে এসে মাহমুদউল্লার সঙ্গে দারুণ খেলতে থাকেন আফিফ। কিন্তু ১৩ বলে ১৯ রানের সময় আফিফ ফেরেন রানআউটে। ক্রিজে এসে দ্রুত ফেরেন শামীম পাটোয়ারি। এবার সোহান এসে দারুণ খেলতে থাকেন; কিন্তু তিনিও ৫ বলে ১১ রান করে ফেরেন রানআউটে। এরপর হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ-মেহেদী। দুজনের জুটি থেকে আসে ২৫ বলে ৩০ রান।

এবার রানআউটে ফিরলেন সোহান

এবার রানআউট হয়ে ফিরলেন নুরুল হাসান সোহান। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে কাভারে ড্রাইভ করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বল সরাসরি যায় হ্যারিকসের হাতে। মাহমুদুল্লাহ শট খেলেই রানের জন্য ছুটতে থাকেন; অপর প্রান্তে থাকা সোহান বুঝতে পারেননি কী করবেন, একটু এগিয়ে এসে থেমে গিয়েছিলেন, এটাই যেনো কাল হলো। আসার আগেই হ্যানরিকসের থ্রো আঘাত হানে উইকেটে। মাত্র ৫ বলে ১১ রান করা সোহানের সম্ভাবনাময়ী ইনিংসটি থেমে যায়। এর আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গেই ক্যারির থ্রোতে আউট হন আফিফ।

আফিফের পর ফিরলেন শামীমও

হ্যাজলউডের শর্ট লেন্থের বলে শামীম ধরা পড়েন মিডউইকেটে ম্যাকডার্মটের হাতে। আফিফের পর শামীমকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। তার ব্যাট থেকে আসে ৮ বলে ৩ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান এসেছেন। আগে থেকে লড়ে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

রানআউট হয়ে ফিরলেন আফিফ

কাভার থেকে অ্যালেক্স ক্যারির সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফিরলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ বলে ১৯। দুর্দান্ত খেলতে থাকা আফিফকে ফিরতে হয়েছে দূর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে। সাকিবের আউটের পর ক্রিজে এসি সাবলীল ইনিংস খেলতে থাকেন। একবার বল আছড়ে ফেলেছিলেন গ্যালারিতে। ড্যান ক্রিস্টিয়ানের বলে আফিফের ড্রাইভ সরাসরি যায় কাভারে থাকা ক্যারির হাতে। দ্রুত রান নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন ক্যারির অসাধারণ থ্রোতে। শেষ পর্যন্ত থেমে যায় আফিফের সম্ভাবনাময়ী ইনিংসটি।

সাকিবকে থামালেন জাম্পা

লেগ স্পিনার জাম্পাকে জায়গায় দাঁড়িয়ে লং অফ দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন সাকিব। টাইমিংয়ে গড়বড় হলো। দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নিলেন আগার। বিপদে পড়লো বাংলাদেশ। সাকিব আউট হয়ে ফিরলেন ২৬ রানে। ১৭ বলে ৪টি বাউন্ডারিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাজান তার প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসটি। 

পাওয়ার প্লে’তে সাকিবের ব্যাট থেকেই এসেছিল দুইটি বাউন্ডারি। অষ্টম ওভারে মিচেল মার্শকে পরপর দুটি চার মেরে দারুণ আত্মবিশ্বাস দেখান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রথমটি স্কুপ করে উইকেটের পেছন দিয়ে। পরেরটি কাট করে পয়েন্ট দিয়ে। দারুণ ব্যাটিং করলেও ইনিংসটি বড় করতে পারলেন না। বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট।    

পাওয়ার প্লে’তে নড়বড়ে বাংলাদেশ

টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’র সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের রান মাত্র ২৮। বাউন্ডারি এসেছে মাত্র দুইটি। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার আবার ব্যর্থ হন। এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব। তবে তারা রান তুলছেন ধীর গতিতে। প্রথম ৪ ওভারে ছিল না একটিও বাউন্ডারি। পঞ্চম ওভারে প্রথম বলে আগারকে কাভার দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান সাকিব। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছন দিয়ে আরেকটি বাউন্ডারি পান সাকিব।

দুই ওপেনারকে হারিয়ে শুরুতেই বিপদে বাংলাদেশ

ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ আবারও ব্যর্থ। মাত্র ১ রান করে ফিরলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। তাকে অনুসরণ করে এলবিডব্লিউ হয়ে আউট হন সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ ৩ রানে হারায় দুই ওপেনারকে। পেসার জস হ্যাজেলউডের সুইং ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন নাঈম। পরের ওভারে লেগ স্পিনার জাম্পাকে সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করেন সৌম্য। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন সৌম্য। ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। রিভিউ নষ্ট করে সৌম্য ফেরেন সাজঘরে। 

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ 

নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর হলো টস। সাড়ে ৫টায় হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে টস হয় সন্ধ্যা ৭টায়। বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে। খেলা দেরিতে শুরু হলেও কাটা হয়নি কোনো ওভার। অর্থাৎ নির্ধারিত ২০ ওভারেই হবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। খেলা শুরু হবে ৭টা ১৫ মিনিটে।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অস্ট্রেলিয়া একাদশের তিন পরিবর্তন ঘটেছে। মিচেল স্টার্ক, ফিলিপে ও অ্যান্ড্রু টাই বাদ পড়েছেন। ম্যাক ডারমট, ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও নাথান এলিস। এলিসের অভিষেক হতে যাচ্ছে এই ম্যাচ দিয়ে।

অ্যালেক্স ক্যারি,  মিচেল মার্শ, মোয়াসেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক), অ্যাস্টন টার্নার, অ্যাস্টন অ্যাগার, জস হ্যাজেলউড ও অ্যাডাম জাম্পা, ম্যাক ডারমট, ড্যান ক্রিস্টিয়ান ও নাথান এলিস।

বাংলাদেশ একাদশ: বাংলাদেশ এই ম্যাচেও নেমেছে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে।

সৌম্য সরকার, নাঈম শেখ, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

খেলা ২০ ওভারেই, শুরু সোয়া ৭টায়

৬টা ১৫ মিনিটে একবারে থেমে যায় বৃষ্টি। এরপর কভার সরিয়ে দ্রুত পরিচর্যার কাজ করা হয়। আম্পায়ার মাঠ পর্যবেক্ষণ শেষে জানিয়েছেন টস হবে ৭টায়। খেলা শুরু হবে ৭টা ১৫ মিনিটে। বিলম্ব হলেও কোনো ওভার কাটা হয়নি। খেলা হবে নির্ধারিত ২০ ওভারে।

শের-ই-বাংলায় থেমে থেমে বৃষ্টি, টস হতে বিলম্ব

বৃষ্টি থামার ২০ মিনিট না যেতেই আবারও বৃষ্টি নামে শের-ই-বাংলায়। দুই দলের খেলোয়াড়রা ওয়ার্ম-আপ করছিলেন বৃষ্টি থামায়; এরপর আবার চলে যান ড্রেসিং রুমে। থেমে থেমে বৃষ্টি আসায় টস হতে দেরি হচ্ছে।

থেমেছে বৃষ্টি

৫টা ৪০ মিনিটের দিকে বৃষ্টি থামে। তবে এখনো আকাশে মেঘলা ভাব রয়েছে। বৃষ্টি থামার সঙ্গে সঙ্গে মাঠ পরিচর্যার কাজ শুরু হয়। সরানো হচ্ছে কভার। খেলার জন্য পুরো প্রস্তুত হলে হবে টস। দুই দলের খেলোয়াড়রা ওয়ার্ম-আপ করছেন।

বৃষ্টির বাধায় টস হতে দেরি

বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তৃতীয় ম্যাচের টস যাথা সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সূচি অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা। টস হওয়ার কথা ছিল বিকেল সাড়ে ৫টায়। কিন্তু বৃষ্টি ঝরতে থাকায় তা সম্ভব হয়নি।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে ৪টা ১০ মিনিটের সময় পিচ ঢেকে দেওয়া হয় কভারে। কিছুক্ষণ পর রোদের দেখা মেলায় দুই দল ওয়ার্মআপ করতে নামে। পিচ তখনো ঢেকে থাকে কাভারে।  ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে আবার ঝুম বৃষ্টি নামে। আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাচের শেষ সময় ৯টা ১০ মিনিট। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় যদি নির্ধারিত সময়ে শুরু না হয়ে শেষ না হয় তাহলে আরও ১ ঘণ্টা বাড়বে। অর্থ্যাৎ কমপক্কে ৫ ওভার হলেও খেলা হবে।

দুই ওপেনারের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতলেও ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি। দ্রুত ওপেনাররা আউট হয়ে গেলে প্রভাব পড়ে পুরো দলের ব্যাটিংয়েই। বেড়ে যায় চাপও। তৃতীয় ম্যাচে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরুর দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ নিশ্চিত করবে সিরিজ; তাই আছে বাড়তি দায়িত্বও। দুই ম্যাচেই সৌম্য সাজঘরে ফেরেন শুরুতেই। প্রথম ম্যাচে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাত্র ২ রানে বোল্ড হন হ্যাজলউডের বলে। নাঈম করেছেন ৩০ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে সৌম্য-নাঈম দুজনেই ফিরে যান শুরুতে। বাংলাদেশ ২১ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ২ উইকেট।

স্কোরবোর্ডে ভালো পুঁজির জন্য দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে রানের কোনো বিকল্প নেই। প্রথম দুই ম্যাচে দ্রুত উইকেট পড়ার পর সাকিব আল হাসান তিনে নেমে সামলে নিয়েছিলেন (৩৬, ২৬), কিন্তু সাকিব যদি ব্যর্থ হন তাহলে কী হবে?

আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ

ফুরফুরে মেজাজে থাকা বাংলাদেশ আজই সিরিজ নিশ্চিত করতে চায়। ৫ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ২-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব সেদিনই জানিয়েছেন, তৃতীয় ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত করতে চান। গতকাল মেহেদী হাসানও তার সুরে সুর মিলিয়েছেন,‘ ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোনোর চিন্তা। আমার একার না। দলে যত খেলোয়াড় আছে সবারই এই চিন্তা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হয়ে যেতে পারে। সামনে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, এখন সবাই সেদিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’

ঢাকা/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়