আফ্রিদির তোপে শেষ হাসি পাকিস্তানের
২০০৫, ২০১১ ও ২০২১; পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্য একটুও পাল্টায়নি। দুই ম্যাচ সিরিজে প্রতিবার প্রথমটি জিতে লিড নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ ড্র! এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০৯ রানে হারিয়ে বাবর আজমের পাকিস্তান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজে ফেরাল সমতা। এর আগে প্রথম ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল ১ উইকেটে।
বাঁহাতি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির তোপে শেষ হাসিটা হাসে পাকিস্তান। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তিনি। আর দুই ম্যাচ সিরিজে ১৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কারটাও উঠেছে তার হাতে।
শেষ দিনে রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছিল কিংসটনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ২৮০ রান, পাকিস্তানের ৯ উইকেট। পেসার আফ্রিদি ৪ উইকেট নিয়ে ধস নামান স্বাগতিক শিবিরে। স্পিনার নোমান আলীর পকেটে গেছে ৩ উইকেট। আরেক পেসার হাসান আলী পেয়েছেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ আব্বাস ও ফাহিম আশরাফ উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রেখেছিলেন স্বাগতিকদের।
৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ২১৯ রানে। দিনের শুরুতে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও নাইটওয়াচম্যান আলজারি জোসেফ প্রতিরোধ গড়েছিলেন। দুইজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় পাকিস্তানকে। কিন্তু আফ্রিদি বোলিংয়ে আসার পর সব কিছু পাকিস্তানের পক্ষে যায়। তার বাউন্সারে ক্যাচ দেন জোসেফ।
এরপর হাসান আলী সাজঘরের পথ দেখান এনক্রুমার বোনার ও রোস্টন চেজকে। সকালের সেশনে স্বাগতিকরা হারায় জার্মাইন ব্ল্যাকউডের উইকেটও। তাকে আউট করেন নোমান আলী। দিনের শুরুতে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ম্যাচে ফেরেনি।
শেষদিকে আফ্রিদির বিধ্বংসী বোলিংয়ে বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারে তারা। ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের অপেক্ষ আরো বাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সবশেষ তারা ২০০১ সালে সিরিজ জিতেছিল।
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন