ত্রিমুখী অনুশীলনে শুরু মিশন নিউ জিল্যান্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
ছুটির পর তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টাইন শেষে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের মাঠে ফেরার প্রথম সকাল। শের-ই বাংলায় চোখ পড়তেই দেখা যায় ভিন্নতা। মাহমুদউল্লাহরা আড়মোড়া ভাঙার আগেই কোচরা তিন দলে ভাগ হয়ে নেমে পড়লেন শিষ্যদের পাঠদানে। না এই পাঠদান হাতে-কলমে নয়; দেওয়া হচ্ছে মন্ত্রের মাধ্যমে, বৈঠক করে।
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স মাঠের সবুজ ঘাসে গোল হয়ে বসে পড়েন মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকদেরসহ দলের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ড্রেসিং রুমের সামনে ছাউনির নিচে চেয়ারে আলোচনায় মগ্ন ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান-শরিফুল ইসলামসহ দলের পেসারদের নিয়ে। নেট বোলার হিসেবে দলের সঙ্গে থাকা কামরুল ইসলাম রাব্বি ও শহিদুল ইসলামও একই দলে ছিলেন। আর স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ বসার কথাই ভাবেননি হয়তো; তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই নাসুম-মেহেদীদের নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যান।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হয় আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) থেকে। অনুশীলনে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক ও লিটন দাস। আর বোলিংয়ে যুক্ত হয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তারা কেউই সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ছিলেন না। ব্যাটিং কোচ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পর নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরেন। আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির পর আজ থেকে কাজ শুরু করেছেন তিনি। তবে কিউইদের বিপক্ষে ১৯ সদস্যের দলে সাকিব আল হাসান থাকলেও কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় অনুশীলনে ছিলেন না।
তিন দলে ভাগ হয়ে টাইগারদের এই ত্রিমুখী অনুশীলন চলে দুপুর পর্যন্ত। ওয়ার্ম আপ, ফুটবল খেলা শেষে শের-ই বাংলায় ক্যাচিং-ফিল্ডিং করার পর সবাই চলে যান ইনডোরে। তিন ওপেনার লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখকে দিয়ে শুরু হয় ব্যাটিং সেশন। ঘণ্টাখানেক সময়ধরে তারা নিজেদের ব্যাটিং ঝালিয়ে নেন। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না থাকা লিটন কাটান বাড়তি সময়।
দিনের শুরুর মতো ইনডোরের তিনটি নেটেও চলে ত্রিমুখী অনুশীলন। একটি নেটে ব্যাটিং কোচ কখনো আফিফ হোসেন, কখনো সৌম্য সরকার আর কখনো লিটনদের ব্যাটিং পরখ করছেন। পাশের নেটে গিবসন ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ে। আর হেরাথের যতো মনোযোগ ছিলে নাসুম-বিপ্লবদের ঘিরেই। ত্রিমুখী এই অনুশীলনে প্রত্যেকেই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে।
অনুশীলন শেষে নুরুল হাসান সোহান জানিয়েছেন বায়োবাবলের ধকল সামলে সতেজ হয়েই অনুশীলনে নেমেছেন সবাই। ‘সত্যি কথা বলতে বায়োবাবলে থাকা কঠিন। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে এই অবস্থায় আমাদের এটার সাথে মানিয়ে নেওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয় সবাই এটা করছে। সত্যিকার শেষ দুইটা সিরিজ বায়ো-বাবলে ছিলাম তারপর রিফ্রেশ হয়ে সবাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে অনুশীলনে এসেছে। আমার মনে হয় সবাই মানিয়ে নিয়েছে, ভবিষ্যতে আরো ভালো হবে।‘
ঢাকা/রিয়াদ
আরো পড়ুন