হাঙ্গেরি-ইংল্যান্ড ম্যাচে বর্ণবাদী আচরণের তদন্তে ফিফা

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে হাঙ্গেরিকে তাদের মাটিতে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শতভাগ সাফল্য ধরে রাখল ইংল্যান্ড। কিন্তু এই জয় ছাপিয়ে আলোচনায় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে হাঙ্গেরিয়ান সমর্থকদের বর্ণবাদী মন্তব্য। তাদের এমন নিন্দনীয় আচরণে তদন্তে নেমেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

এর আগে পুসকাস এরেনায় ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্স ও পর্তুগাল ম্যাচে সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণ করেছিল। পরে উয়েফা ওই স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের জন্য দর্শকদের নিষিদ্ধ করে। তবে বিশ্বকাপ বাছাই ফিফার প্রতিযোগিতা হওয়ায় দর্শকরা প্রবেশাধিকার পায়।

৬৭ হাজার দর্শকের সামনে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় হাঙ্গেরি। কিন্তু হার এড়াতে পারেনি তারা। বরং তাদের সমর্থকদের কারণে সমালোচিত হলো তারা। বুদাপেস্টে রহিম স্টার্লিং ও জুড বেলিংহ্যামকে বর্ণবাদী মন্তব্য করেন সমর্থকরা। প্রথম গোল উদযাপনের সময় স্টার্লিংকে প্লাস্টিকের বিয়ার গ্লাসও ছোড়েন অনেকে।

ম্যাচ শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জাতীয় দলের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। ঘণ্টাখানেক পর ফিফাও নিশ্চিত করে, তারা এই আচরণের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করবে। এ ব্যাপারে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ অবস্থানে আছে।

ফিফা এক বিবৃতি দেয়, 'প্রথম এবং সর্বাগ্রে, ফিফা বর্ণবাদ ও সহিংসতার যেকোনো ধরনকে প্রত্যাখ্যান করে এবং ফুটবলে এই ধরনের আচরণের জন্য জিরো টলারেন্সের একটি স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। গতকালের হাঙ্গেরি-ইংল্যান্ড ম্যাচ সম্পর্কিত ম্যাচের প্রতিবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিফা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেন, ‘হাঙ্গেরিতে গত রাতে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী মন্তব্যের বিষয়টি একেবারে অগ্রহণযোগ্য। দায়ীদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে আমি ফিফাকে আহ্বান করছি, যেন ফুটবলের মঙ্গলের জন্য এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের এখানেই শেষ হয়।’