হতশ্রী হারের ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ যা বললেন

নিউ জিল্যান্ডের মূল সারির দল নয়। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যারা খেলবেন, তারা কেউ নেই। নেই মূল দলের কোচ, অধিনায়ক বা সাপোর্টিং স্টাফদের কেউ। তবুও এ দলটির কাছে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। এর আগে ১২৯ রানের লক্ষ্যে নেমে ৫২ রানে হার। তাও আবার নিজেদের অতি পরিচিত কন্ডিশনে। হারের ব্যাখ্যায় মাহমুদউল্লাহ যা জানালেন তাতে দাঁড়ায়, ব্যাটসম্যানরাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে।

মাহমুদউল্লাহ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বলেন, ‘বোলাররা ভালো কাজ করেছে তাদের ১৩০ রানে আটকে। আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু করেছি। কিন্তু ছন্দ হারিয়েছি। একসঙ্গে সবাই আউট হয়েছি। কেউ ভালো করতে পারিনি। জুটি গড়তে না পারায় পিছিয়ে পড়ি।’ মাহমদউল্লাহর দাবি, ‘আমি মনে করি মিডল অর্ডার ভালো করছে। টপ অর্ডারও ভালো করছে। তবে আজ আমাদের জুটির অভাব ছিল। সেখানেই আজ পিছিয়ে পড়ি। আশা করছি আমরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

১২৮ রান তাড়ায় বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান তুলে ফেলেছিল অনায়াসে। এরপরই ছন্দপতন শুরু। ২৩, ২৪ ও ২৫ রানে বাংলাদেশ হারায় লিটন, মেহেদী ও সাকিবের উইকেট। প্রত্যেকেই উইকেট উপহার দেন অতিথিদের। আসা-যাওয়ার মিছিলে পরবর্তীতে যোগ দেন নাঈম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ ও সোহান। কেউ দায়িত্ব নিতে পারেননি। স্কোর বড় করতে পারেননি। তাতে লক্ষ্য থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।

প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয় পেলেও তৃতীয় ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে মাহমুদউল্লাহরা। সিরিজ জয়ের সুযোগ এখনও আছে বাংলাদেশের। শেষ দুই ম্যাচে ভালো করে প্রথমবার নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চায় তারা। শততম ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া মাহমুদউল্লাহ সিরিজের শেষটা ভালো করতে মুখিয়ে, ‘আমরা এখনও এগিয়ে আছি। সিরিজ জয়ের জন্য হাতে দুইটি সুযোগ আছে। আশা করছি আমরা আগামী ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াব এবং তা জিতে সিরিজ নিশ্চিত করব।’