কুরুচিপূর্ণ রাজনীতি আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে: টাইবু
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠের ড্রেসিংরুম থেকে উঁকি দিয়ে টাটেন্ডা টাইবু জানতে চাইলেন, ‘আপনাদেরই কি আসার কথা?’ হ্যাঁ, উত্তর দিতেই হাসিমুখে বললেন, ‘এখন মধ্যাহ্ন বিরতি। ৩০ মিনিট পর ফিরে এসে চুটিয়ে কথা হবে।’
যেমন কথা তেমন কাজ। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ফিরে এসে মোবাইল ফ্লাইট মুডে দিয়ে জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি মাইক্রোফোন হাতে দাঁড়িয়ে গেলেন ক্যামেরার সামনে। সেই মুক্তামাখা হাসি, শুদ্ধ সরল চাহনি, কণ্ঠে পরমানন্দ ও শারীরিক ভাষায় প্রফুল্লতা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল কথার ঝাঁপি খুলতে যাচ্ছেন তিনি।
২৯ মিনিটের সাক্ষাৎকারে উঠে আসলো তার ক্যারিয়ার, বাংলাদেশের ক্রিকেট, বিকেএসপির কোচিং, নোংরা রাজনীতির কারণে এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার মৃত্যু ও সমসাময়িক অনেক কিছু।
রাইজিংবিডির ক্রীড়া প্রতিবেদক ইয়াসিন হাসানের মুখোমুখি হয়ে দীর্ঘ আড্ডা জমালেন। দুই পর্বের সাক্ষাৎকারের শেষ পর্ব প্রকাশিত হচ্ছে আজ:
প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন:
ভবিষ্যতের সাকিব-মুশফিক তৈরি করতে বাংলাদেশে এসেছি: টাইবু
আপনি জাতীয় দলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। ওই কঠিন সময়ে আপনাকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। তখনকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
টাটেন্ডা টাইবু: ওই সময়ে প্রতিটি মুহূর্ত আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল। সম্মানিত কেউ হতে হলে অবশ্যই আপনাকে চ্যালেঞ্জ কীভাবে জিততে হয় তা জানতে হবে। আমি প্রতিটি স্তরে চ্যালেঞ্জ পেয়েছিলাম এবং জিতেছিলাম। যেমন, দলে ঢুকতে আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। জাতীয় দলে আসার পর আমাকে অধিনায়ক করা হলো। আমি সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। কেউ তা মানতে পারেনি। সেটা ভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছিল।
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথা বললে বলব, ওই সময়টা আমার জীবনের কঠিন সময়গুলোর একটি। কারণ আমার জীবন হুমকি মধ্যে ছিল। আমার স্ত্রীকে প্রায় অপহরণ করা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে দেশত্যাগ করেছিলাম। আমি সেসব চ্যালেঞ্জ জিতে আজকের পর্যায়ে এসেছি। এজন্যই হয়তো আমি ক্রিকেট বিশ্বের সম্মান অর্জন করেছি।
কাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্রিকেটার হয়েছেন। আপনি নিজের আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, টিভিতে খুব একটা ক্রিকেট দেখেননি।
টাটেন্ডা টাইবু: হ্যাঁ, আপনি ঠিক জানেন। আমি টিভিতে কখনোই খুব বেশি ক্রিকেট দেখিনি। আমি খেলা দেখেছি কিন্তু আমি ভিন্ন কিছু চিন্তা করতাম। সবাই যেমনটা করত তার থেকে ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা থাকত। আমি ভাবতাম, আমি যেহেতু দেখছি না আমাকে ভিন্নভাবে নিজের উন্নতি করতে হবে। এজন্য নিজেকে প্রচুর সময় দিয়েছি, পড়াশোনা করেছি এবং নিজের কাজগুলিতে বেশি মনোযোগ দিয়েছি।
আপনাকে ক্রিকেটার হতে যারা উৎসাহিত করেছেন তাদের মধ্যে বিল ফ্লাওয়ার রয়েছেন, আপনার প্রথম কোচ। তাকে নিয়ে কী বলবেন?
টাটেন্ডা টাইবু: আমার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করলে দুইজন মানুষের ছবি ভেসে আসে। প্রথমজন, স্টিভেন ম্যানগোঙ্গো, যিনি আমার প্রথম কোচ ছিলেন। দ্বিতীয়জন, বিল ফ্লাওয়ার, যিনি পরবর্তীতে আমার কোচ হয়েছিলেন। আমি ঠিক নিশ্চিত হয়ে বলতে পারব না টেকনিক্যালি ও ট্যাকটিকালি তারা আমাকে কী শিখিয়েছিলেন ওই সময়ে। তবে এতটুকু বলতে পারি, আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমি সেই কাজটা আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে করার চেষ্টা করি। তারা আমাকে ব্যাটিংয়ে অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কৌশলটাই আমাকে সবচেয়ে এগিয়ে নিয়েছে।
টিবলি নামটার রহস্য কি?
টাটেন্ডা টাইবু: টিবলি… (হাসি)। এ নামটা আমি ইংল্যান্ডে পেয়েছিলাম ২০০২ সালে। আমি তখন ইংল্যান্ডের একটি ক্লাব উইস্টারের হয়ে খেলি। তারা আমার নামের উচ্চারণ করতে কষ্ট পাচ্ছিল। সেখানে জিম্বাবুয়ের একজন কোচ ছিলেন। তিনি আমাকে টিবলি বলে ডাকতেন। সেই নামটা পরবর্তীতে ছড়িয়ে যায়। প্রত্যেকেই আমাকে টিবলি বলেই ডাকতে থাকে। এখন অবশ্য নামটা প্রায় ভুলেই গেছে। টিটি নামেই আমি পরিচিত।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনার মন্তব্য?
টাটেন্ডা টাইবু: দুর্ভাগ্যবশত জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট সঠিক পথে নেই। প্রশাসনিক দায়িত্বে যারা আছে তাদের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করা উচিত। তবে সমস্যা হলো যারা এখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট চালাচ্ছে তাদের ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা কম। ফলে উন্নতির আমি সুযোগ দেখছি না। এখানের কথা ধরুন, ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা শুরু করলে এক ঘণ্টার আগে শেষ হয় না! যেই আলোচনা আনন্দ দেয়। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে ক্রিকেট নিয়ে এক ঘণ্টা আলোচনা করার মতো লোক পাবেন না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনার তিনটি সেঞ্চুরি, একটি টেস্টে, দুইটি ওয়ানডেতে। এত বছর পর সেসব সেঞ্চুরির কথা চিন্তা করলে কেমন অনুভূতি হয়?
টাটেন্ডা টাইবু: সেঞ্চুরি সব সময়ই বড় অর্জন। তবে আমার কাছে রান পাওয়া ছিল বিশেষ কিছু। যদি আমার সেঞ্চুরি নিয়ে বলতে হয়, আমি বলব দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাওয়া সেঞ্চুরি বিশেষ কিছু। তাদের বোলিং আক্রমণের জন্য সেঞ্চুরিটা মনে গেঁথে আছে। মাখায়া এনটিনি, শন পোলক, ডেল স্টেইন…ইনিংসটির কথা মনে পড়লে আনন্দ দেয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিস করেন?
টাটেন্ডা টাইবু: কিছু জিনিস মিস করি। কখনো মনে হয় যা হয়েছে ঠিক আছে। আমি যেই জিনিসটা মিস করি তা হলো, প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলাম। সেই জিনিসটা মিস করি। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটের কথা চিন্তা করলে মনে হয়, খেলাটা মিস করছি না। কারণ বায়োবাবল। পরিবার ছেড়ে আপনাকে দিনের পর দিন আলাদা থাকতে হবে, স্বাভাবিক চলাফেরা নেই, একটা রুমের ভেতরেই বন্দী এবং কিছু কাজ বাদে আপনাকে আরেকজন নিয়ন্ত্রণ করবে... এমন অবস্থায় ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া কঠিন।
মাত্র ২৯ বছর বয়সে অবসরে গিয়েছিলেন। কোনো আক্ষেপ কি এখনও আছে?
টাটেন্ডা টাইবু: শুধু একটাই আক্ষেপ, আমার সেরা সময়ে আমাকে খুব কম মানুষ ক্রিকেট খেলতে দেখেছে। আমি আরও ৮-১০ বছর ক্রিকেট খেলতে পারতাম। সেটা আমার সেরা সময়ই হতো। আমার অর্জনগুলো আরও ভারী হতো। এটাই আমার আক্ষেপ। তবুও ইতিবাচক দিক রয়েছে। দ্রুত অবসরে যাওয়ার কারণে আমি সম্মানিত হচ্ছি। আমি যখন ক্রিকেট ছেড়েছি তখন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে সমীহ করা হতো। কিন্তু এখন সেটা নেই। এজন্য আমার আলাদা সম্মান রয়েছে।
আপনার লেখা আত্মজীবনী ‘কিপার অব ফেইথ’, নিজের জীবন নিয়ে বই লেখার প্রয়োজন মনে করলেন কেন?
টাটেন্ডা টাইবু: কারণ খুব সহজ। মানুষ আমাকে জেনেছে টিভি পর্দায় কিংবা গণমাধ্যমের খবরে। কিন্ত আমার জীবনে আরও অনেক কিছুই ঘটেছে সেগুলো তো গণমাধ্যমে জায়গা পায়নি। এজন্য আমি চিন্তা করেছি মানুষের আমাকে নিয়ে জানার অনেক কিছু রয়েছে। মনে হলো, আমি যদি নিজেই তাদেরকে জানাতে পারি তাহলে কেমন হবে। সেই চিন্তা থেকে বই লেখা।
রবার্ট মুগাবে সরকারের অধীনে কী ঘটেছিল? কেন এমন জিনিসগুলি বেড়ে গেল যে আপনার স্ত্রীকে প্রায় অপহরণ করা হয়েছিল?
টাটেন্ডা টাইবু: অধিনায়ক হওয়ার পর রাজনৈতিক সেই চ্যালেঞ্জটাই আমার সামনে এসেছিল। ওই সময়টা আমার জীবনের কঠিনতম সময় ছিল। বুঝতেই পারছেন দেশের ক্ষমতাধর বা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আপনার লড়াই! আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল। আমি সত্যিই তখন জানতাম না কেন আমার ওপর ওত চাপ ছিল। কেন আমার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমার পরিবার জানত জিম্বাবুয়েতে থাকা সম্ভব ছিল না। এজন্য আমরা নামিবিয়া, ইংল্যান্ডে চলে যাই।
আপনি কি সেই উত্তরগুলি এখনও খুঁজে বেড়াচ্ছেন?
টাটেন্ডা টাইবু: আমি কিছু কিছু উত্তর পেয়েছি। কিছু পাইনি। সেগুলোর আশা ছেড়ে দিয়েছি। কারণ অনেক সময় গড়িয়ে গেছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে না। নিজ থেকেই তাই এড়িয়ে গিয়েছি।
আপনি কি সেই সময়ের জন্য খেলা ছেড়ে যাওয়ার পরে স্বাধীনতার অনুভূতি ফিরে পেয়েছেন?
টাটেন্ডা টাইবু: হ্যাঁ আমি সেই সময়ে মুক্তির আনন্দ পেয়েছিলাম। এখনের কথাই চিন্তা করুন। বাংলাদেশে এসেছি। বন্ধু-বান্ধব তৈরি করেছি। এখানেই নিজের জায়গা পেয়েছি। সম্মান পাচ্ছি। পাশাপাশি নিরাপদ অনুভূত হচ্ছে। ইংল্যান্ডেও তাই। নামিবিয়াতেও একই রকম লেগেছে। আমি দেশে ফিরেছিলাম দুই বছর পর। কিন্তু তখনও মনে হচ্ছিল আমি চাপে আছি। কিন্তু আমি এখনও মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, প্রত্যেকের জীবনে স্বাধীনতার দরকার রয়েছে।
"আমি শুধু অনুভব করি যে আমার সত্যিকারের আহ্বান এখন প্রভুর কাজ করাতে নিহিত" – ২০১২ সালে ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আপনি এটা বলেছিলেন। নয় বছর পর কথাটা জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি কি মনে করতে পারেন সেই সময় আপনার মনের মধ্যে কী চলছিল?
টাটেন্ডা টাইবু: ওই সময়ে আমি আধ্যাত্মিক বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশোনা করছিলাম। দেখুন প্রত্যেকে জীবনের একটি পর্যায়ে গিয়ে চিন্তা করে, আমি এখন কোথায় আছি, কোথা থেকে এসেছি, এখন আমি কী করছি এবং আমার পরবর্তী ঠিকানা কোথায়? সেসব নিয়ে চিন্তা করতেই আমার মধ্যে বিষয়গুলো খেলা করতো। নিজেকে নিয়ে ভাবতাম এবং উত্তরগুলি খুঁজে বের করতাম। আমি মনে করি প্রত্যেকেরই এই চারটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।
এ জন্যই কি চার্চে ট্রাস্টি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন?
টাটেন্ডা টাইবু: যেহেতু আমি আধ্যাত্মিক বিষয়গুলি নিয়ে কাজ করতাম আমার মনে হলো মানবসেবায় নিয়োজিত হওয়া জরুরি। এজন্য একটি চার্চে ট্রাস্টি হিসেবে যোগ দেই। চার্চের সম্প্রসারণ নিয়ে কিছুদিন কাজ করি। ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের আগে তিন বছর আমি সেখানেই ছিলাম।
টাটেন্ডা টাইবুর ভবিষ্যৎ?
টাটেন্ডা টাইবু: ক্রিকেট কোচিং। একজন ভালোমানের কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমি পারবো। আমার সেই বয়সও আছে। এর জন্য যে ভালোবাসা ও নিবেদন থাকার দরকার সেটাও আমার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশে কাজ শুরু করে ভালো করছি। দেখা যাক নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে পারি।
পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছে আছে?
টাটেন্ডা টাইবু: আমার দুই ছেলে লিভারপুলের হয়ে ক্রিকেট খেলছে। বড় ছেলে ১৪ বছর বয়স। ও বোর্ডিং স্কুলে আছে। ছোটটা ১২ বছর বয়স। তাকে বোর্ডিং স্কুলে দিলে স্ত্রীকে নিয়ে এখানে আসার পরিকল্পনা আছে। আমরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকবো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খুব কাছে। আপনার চোখে ফেভারিট কে?
টাটেন্ডা টাইবু: যেহেতু এখন বাংলাদেশে আছি আমি তো চাইবো বাংলাদেশ-ই বিশ্বকাপ জিতুক। আমার আনুগত্য বাংলাদেশেরই হওয়া উচিত। বাংলাদেশকে সাপোর্ট করছি।
আপনার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, কার ব্যাটিং দেখে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছেন এবং কার বোলিং খেলতে খুব কষ্ট হয়েছিল আপনার। এছাড়া যদি জিজ্ঞেস করতে চাই আপনার চোখে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান কে তাহলে কার নাম বলবেন?
টাটেন্ডা টাইবু: আমার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস বললে বলব, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৭ রান। ওই ইনিংসটির কথা মনে হলে… আমি শুধু ১০৭ রানের দিকেই তাকাই না, বরং আগের দিন ৪০ রানের আরেকটি ইনিংস খেলেছিলাম। আমি যেটা করি, দুইটা স্কোর সব সময় যোগ করি। এটা খুবই গোপন একটি কারণে। যেটা বলা যাবে না।
আমার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান অবশ্যই শচীন টেন্ডুলকার। ব্যাটিংটাকে যেভাবে অতি সহজ বানিয়েছেন তিনি তা সত্যিই অভাবনীয়। বিশেষ করে তিনি আমার হিরো।
আমার খেলা সবচেয়ে কঠিন বোলার মুত্তিয়া মুরালিধরন। তাকে তো ম্যাজিশিয়ান বলাই হয়। তাকে খেলা কঠিন ছিল সব সময়।
আমার জন্য কাউকে ব্যাটিং করতে বললে আমি শুরুতে জো রুটের নাম নিতে চাইতাম কিন্তু বর্তমানে তাকেও ছাড়িয়ে গেছে কেন উইলিয়ামসন। তাকে দেখি আর মুগ্ধ হই। তিন ফরম্যাটে তার ভারসাম্য আমাকে মুগ্ধ। এতোটা সহজ তার টেকনিক যেটা সহজেই তরুণ একজন ব্যাটসম্যান শিখতে পারবে।
আমার শেষ প্রশ্ন। আপনার ক্যারিয়ারের পুরোচিত্র তুলে ধরে যদি বলি, ‘‘কুরুচিপূর্ণ রাজনীতির দ্বারা ধ্বংস আপনার সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার’ - আপনার বক্তব্য কি একই হবে নাকি আপনি দ্বিমত পোষণ করবেন?
টাটেন্ডা টাইবু: শতভাগ সহমত পোষণ করছি। আমি যদি অধিনায়ক ও আমার ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ছেড়ে না যেতাম তাহলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে নিজের মতো করে সাজানোর সুযোগ পেতাম। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে লম্বা সময় ধরে নেতৃত্ব দিতাম এবং অনেক কিছুর পরিবর্তন করার সুযোগ পেতাম। হয়তো আজ এমন দিনগুলি নাও দেখা লাগত। আমি মনে করি, আপনার কথাটি সম্পূর্ণ ঠিক।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন