মুমিনুল-শান্তর ফিফটি ছাপিয়ে হাসানের স্পিন বিষে নীল ‘এ’ দল
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
দীর্ঘদিন পর ম্যাচ খেলতে নেমে মুমিনুল হক ফিফটি করেছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যাটিং ধারাবাহিকতায় পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংস বড় করার সুযোগ থাকলেও তারা পারেননি।
মুমিনুল-শান্তকে ছাপিয়ে ‘এ’ দল ও এইচপির দ্বিতীয় চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনের নায়ক হয়েছেন হাসান মুরাদ। এইচপির এই স্পিনারের স্পিন বিষে নাকাল মুমিনুলরা।
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রামে প্রথম দিন শেষে ‘এ’ দলের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৩ রান। বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ একাই নিয়েছেন ৫ উইকেট। মুমিনুল ৬২ ও শান্ত ৭২ রান করেন। ব্যাটিংয়ে রান পাননি সাইফ হাসান (২), সাদমান ইসলাম (৬), মোহাম্মদ মিঠুন (৫), ইয়াসির আলী (০) ও ইরফান শুক্কুর (০) ।
শেষ দিকে নাঈমের ৩২ ও শহীদুলের চার ছক্কা ও দুই চারে ৩১ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে সম্মানজনক স্কোর পায় ‘এ’ দল। নয়তো মুমিনুলের নেতৃত্বাধীন দলটি দুইশও করতে পারত কি না সন্দেহ।
ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে পেসার সুমন খানের তোপে পড়েন সিনিয়ররা। সাইফকে ভেতরে ঢোকানো দারুণ বলে স্লিপে তালুবন্দি করান ডানহাতি পেসার। এরপর সাদমান তার লেন্থ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ দেন। ১১ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে। এরপর ৮৮ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল ও শান্ত। মুমিনুল নিজের পয়মন্ত ভেন্যুতে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে দ্রুত রান তোলেন। শান্ত নিজেকে গুটিয়ে ব্যাটিং করেন।
মুমিনুলকে ফেরাতে পেসার রেজাউর রহমান রাজা দারুণ এক বাউন্সার দেন। মুমিনুলের চোখ এড়িয়ে যাওয়া বলে ব্যাট তাক করে রেখেছিলেন। ফলে ব্যাটের ছোঁয়ায় বল সহজেই যায় স্লিপে। এরপর ‘এ’ দলের ছন্দপতন শুরু।
স্পিনার মুরাদ উইকেটের পেছনে মিঠুনকে তালুবন্দি করান। এরপর একে একে ইয়াসির ও শুক্কুরকে আউট করেন। ইয়াসির স্লগ করতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন। শুক্কুর একটু নিচু হয়ে যাওয়া বলে এলবিডব্লিউ হন। শেষ দিকে তার শিকার নাঈম হাসান ও শহীদুল। মাঝে শান্ত মনোযোগ হারিয়ে ৭২ রানে আউট হন। ২০৮ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংস সেরা রান করেন।
প্রথম দিনের লড়াইয়ে এইচপির তরুণরা দাপট দেখিয়েছে। ‘এ’ দলের বোলাররা আগামীকাল জবাব দিতে পারে কি না সেটাই দেখার।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন