ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কলকাতার রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে উঠবেন কবে সাকিব?

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১৩:২১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
কলকাতার রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে উঠবেন কবে সাকিব?

কলকাতা নাইট রাইডার্সে সাকিব আল হাসানের ডাকনাম ময়না। তিন মৌসুম পর তাকে ফিরে পেয়েই টুইট করেছিল তারা, ‘আমাদের ময়না ঘরে ফিরে আসছে।’ দুইবারের চ্যাম্পিয়নশিপ জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে আবারও পশ্চিমবঙ্গের দলে দেখতে মুখিয়ে ছিল বাংলাভাষাভাষীরা। বাংলাদেশের মানুষও অধীর অপেক্ষায় ছিল তাকে কলকাতার জার্সিতে দেখতে। প্রথম তিন ম্যাচ তাকে ব্যাটে-বলে দেখা যায়, কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মোটেও। তারপর থেকে শুধুই একটি খবর, ‘সাকিবকে ছাড়াই মাঠে নামছে কলকাতা’। এমনকি সংযুক্ত আরব আমিরাত পর্বে দুটি ম্যাচ কলকাতা খেলে ফেললেও সেই একই আপ্তবাক্য। যে পরিস্থিতি, তাতে আজ বিকাল চারটায় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষেও রিজার্ভ বেঞ্চেই হয়তো থাকতে হচ্ছে সাকিবকে!

সাকিবকে নিয়ে প্রথম ম্যাচ জয়ে শুরু করেছিল কলকাতা। ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন একেবারে শেষে। সেখানে কিছু করার মতো ছিল না। তবুও বলের সঙ্গে রান মিলিয়ে খেলা যেত। জয় পাওয়া সেই ম্যাচে করেছিলেন ৫ বলে ৩ রান। তবে বোলিংয়ে প্রথম বলে পেয়েছিলেন উইকেট। ধারাবাহিকতা ছিল পরবর্তীতেও। তারপরও ৪ ওভারে ৩৪ রানে শেষ করেন বোলিং।

সুনীল নারিনের কাছে জায়গা হারানোর আগে আর দুটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২৩ রানে দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ওই ম্যাচের উইকেট সাকিবের ব্যাটিংয়ের জন্যও আদর্শ। কিন্তু কলকাতার যখন ২৯ বলে ৩১ রান দরকার তখন মুম্বাইকে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফেরেন ৯ বলে ৯ রান করে। তৃতীয় ম্যাচে বাজে দিন গেছে কলকাতা ও সাকিবের। বোলিংয়ে ২ ওভারে ২৪ রান করার পর তাকে আর বল করানোর সাহস করেননি অধিনায়ক এউইন মর্গ্যান। পরে ব্যাটিংয়ে চাহিদার বিপরীতে তিনি খেলেছেন মন্থর এক ইনিংস। কাইল জেমিসনকে স্টাম্প ছেড়ে খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যখন ফেরেন তখন তার নামের পাশে রান ২৫ বলে ২৬। তারপর টুর্নামেন্ট স্থগিতের আগে টানা চার ম্যাচে বাঁহাতি অলরাউন্ডার জায়গা পাননি একাদশে।

আমিরাতে বল গড়ানোর আগে সাকিব বাংলাদেশের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছেন। জিম্বাবুয়ে, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পারফর্ম করেছেন তিনি। জিম্বাবুয়েতে তিন ম্যাচেই একটি করে উইকেট নেন এবং দুই ইনিংসে ব্যাট করে করেন ১২ ও ২৫ রান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস সেরা ৩৬ রান করেন সাকিব, পরের দুই ম্যাচে সমান ২৬টি করে রান আসে তার ব্যাটে। সিরিজের শেষ ম্যাচে অজিদের ৬২ রানে গুটিয়ে দিতে নেন ৪ উইকেট। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২৫ রান ও ২ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। পরের ম্যাচেও সমান দুটি উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার। অবশ্য সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে নিষ্প্রভ ছিলেন সাকিব, রান ০ ও ৮ এবং বোলিংয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এরই মধ্যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও মুম্বাইয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলেছে কলকাতা। জাতীয় দলের জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্স করা সাকিব নেই সেই ম্যাচগুলোতে। তিনি না থাকলেও দল যেভাবে টানা জয়ের পথে আছে, তাতে এই কম্বিনেশনেই মাঠে নামা স্বাভাবিক। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে সবশেষ বিরল জয়ে সাকিবের ‘স্থলাভিষিক্ত’ নারিন ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ২০ রানে ১ উইকেট নিয়ে। বেশ ধারাবাহিক বোলিং তার। ধরা যায়, শীর্ষ দল চেন্নাইয়ের (১৬) সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান ছয়ে নামানোর মিশনেও এই উইন্ডিজ অলরাউন্ডারের ওপর ভরসা করবে কলকাতা। আর অপেক্ষার প্রহর গুণতে থাকবেন রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা সাকিব!

প্রশ্ন উঠছে, কবে রিজার্ভ বেঞ্চ ছাড়তে পারবেন সাকিব? সামনে বিশ্বকাপ, যার ভেন্যু এই আমিরাতেই। ম্যাচ খেললে প্রস্তুতিটা যে নেওয়া হতো তার!

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়