ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টানা ১৬ ওভার ও তাইজুলের এক আক্ষেপ

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে:  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৮ নভেম্বর ২০২১  
টানা ১৬ ওভার ও তাইজুলের এক আক্ষেপ

চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট-বলের আসল লড়াই হচ্ছে প্রথম সেশনেই। আসল লড়াই বলতে ভারসাম্যপূর্ণ লড়াই। দিনের পরের দুই সেশনে সব সময়ই থাকে ব্যাটসম্যানদের দাপট। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বোলাররা এ সময় মাথা তুলে লড়াই করেন।

প্রথম দুদিন যেভাবে টেস্ট এগিয়েছে আজ তৃতীয় দিনও একইভাবে এগিয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম টেস্টে ১৪ উইকেট পড়েছে। ১৪ উইকেটই গেছে প্রথম সেশনে। বাংলাদেশ প্রথম দিন প্রথম সেশনে হারায় ৪ উইকেট। দ্বিতীয় দিন এক ধাক্কাতে নেই ৬ উইকেট। রোববার তৃতীয় দিন সকালে পাকিস্তানের নেই ৪ উইকেট। ৫ উইকেটও হতে পারত যদি তাইজুলের বলে সেঞ্চুরিয়ান আবীদ আলীর ক্যাচটা নিতে পারতেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

আগের দিন দুই সেশনে কোনো উইকেট না হারানো পাকিস্তান আজ সকালের সেশনে হারিয়েছে  ৪ উইকেট। তাইজুলের একার পকেটেই গেছে ৩ উইকেট। এ সাফল্য পেতে দিনের শুরু থেকে টানা বোলিং করে যাচ্ছেন তিনি। দিনের প্রথম ওভার ও বিরতির আগে শেষ ওভারটিও করেন বাঁহাতি স্পিনার। বাকিটা সময় ওই একপ্রান্ত দিয়েই টানা হাত ঘুরিয়েছেন তাইজুল। সব মিলিয়ে সকালের সেশনে ১৬ ওভার বোলিং করেছেন। ৩১ রান খরচ করেছেন। উইকেট ও মেডেন পেয়েছেন সমান ৩টি।

পাকিস্তানকে কঠিন চাপে ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ। আগের দিন ৫৭ ওভারে ১৪৫ রান তুলেছিল অতিথিরা। আজ ৩১ ওভার খেলে ৫৮ রান তুলতেই শেষ ৪ উইকেট। পাকিস্তানের স্কোর ৪ উইকেটে ২০৩। তাইজুলের টানা ১৬ ওভার বাদে বাকি ১৫ ওভার করেছেন মিরাজ ও ইবাদত। ইবাদত ৫ ওভারে ৩ মেডেনে দিয়েছেন মাত্র ৩ রান। এছাড়া মিরাজ ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে পেয়েছেন বাবর আজমের উইকেট। ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় উইকেট।

দিনের প্রথম ওভারে তাইজুলের জোড়া আঘাত। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিককে আউটের পর আজহার আলীকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান। ২৫তম বিদেশী ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশে এসে গোল্ডেন ডাক পেলেন তিনি। তাইজুলের জোড়া আঘাতের পর মিরাজ টিকতে দেননি বাবরকে। ডানহাতি স্পিনারের সোজা বল মিস করে বাবর বোল্ড হন ১০ রানে। বাংলাদেশের জন্য হুমকি ছিল পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। বাবর, ফাওয়াদ ও রিজওয়ানকে নিয়ে সাজানো মিডল অর্ডার যে কোনো দলের জন্যই হুমকি।

বাবরকে ফেরানোর পর তাইজুল ফাওয়াদকে থিতু হতে দেননি। বিশাল এক টার্নের বল আলগা শট খেলতে গিয়ে আউট হন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান। ফাওয়াদের গ্লাভস ছুঁয়ে বল যায় উইকেটের পেছনে। লিটন দারুণ রিফ্লেক্সে বল তালুবন্দি করেন। পরের ওভারেই তাইজুলের শিকার হতে পারতেন সেঞ্চুরিয়ান আবীদ আলী। ১১৩ রানে তাইজুলের বল ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করতে যান আবীদ। তার ব্যাটে চুমু খেয়ে বল যায় উইকেটের পেছনে।

লিটনের প্যাড ছুঁয়ে গতি কমে যাওয়া বল শান্ত ধরতে পারেননি। সেই আবীদই ৮৮তম ওভারে তাইজুলকে চার মেরে প্রথম সেশনের খেলা শেষ করেছেন। দেখার বিষয়, ১২৭ রানে অপরাজিত থাকা এ ব্যাটসম্যান কোথায় গিয়ে থামে। 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়