রমেশের ঘূর্ণিতে উচ্ছ্বসিত শ্রীলঙ্কার দিন শেষ হতাশায়
করুণারত্নের রান আউটে উচ্ছ্বসিত উইন্ডিজ
রমেশ মেন্ডিস ৭০ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা টেস্ট ফিগারে শেষ করলেন, লাল বলের ক্রিকেটে প্রথমবার তার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার। অন্যদিকে লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও প্রবীণ জয়াবিক্রমা দুটি করে উইকেট পেলেন। দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা ১০ উইকেটের সবগুলো নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানের বেশি লিড নিতে দিলেন না।
কাইল মায়ার্স ৬৪ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন, লিড দ্রুত বাড়িয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভালো পার্টনার খুঁজে পাননি। ২ উইকেটে ১৬৬ রান করা উইন্ডিজ অলআউট ২৫৩ রানে।
বুধবার তৃতীয় দিনের খেলায় উইন্ডিজ বড় লিড নেওয়ার আশা জাগিয়েছিল, বিশেষ করে সকালের সেশনের পারফরম্যান্সে। এনক্রুমাহ বোনারের সঙ্গে ১৮৩ বলে ৭৫ ও শাই হোপকে নিয়ে ৮৫ বলে ২৯ রানের দারুণ জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থানে রাখেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।
লাঞ্চের আগে কেবল একমাত্র উইকেট হারায় উইন্ডিজ, বোনার ৩৫ রানে রমেশের শিকার। দ্বিতীয় সেশনে স্বাগতিক স্পিনারদের দাপটে ৯০ রানে ৬ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা।
৭০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন রমেশ মেন্ডিস।
ব্র্যাথওয়েট ইনিংস সেরা ৭২ রানে আউট হওয়ার পর শুরু হয় এই ধস। চা বিরতির পর দ্রুত বাকি ২ উইকেট হারালে ২৫৩ রানে থামে উইন্ডিজ।
প্রথম ইনিংসে ২০৪ রান করা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৪৬ রানে। এখনো ৩ রানে পিছিয়ে তারা। প্রতিপক্ষকে বড় লিড নিতে না দেওয়ার উচ্ছ্বাস দিন শেষে হতাশায় পরিণত হয়েছে অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও ওশাডা ফার্নান্ডোর আত্মাহুতিতে। দুজনেই নিজেদের ভুলে রান আউট হয়েছেন।
দ্বিতীয় ওভারে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডে মায়ার্সের থ্রোতে থামেন করুণারত্নে। মাত্র ৬ রান করেন তিনি। এর পর ওশাডা সিঙ্গেল নিতে গিয়েও ওপারের পাথুমা নিশানকার বারণে ফিরে আসেন। ক্রিজে ঢোকার আগেই জার্মেইন ব্ল্যাকউডের থ্রোতে জশুয়া ডা সিলভা ভেঙে দেন স্টাম্প। ১৪ রানে থামেন ওশাডা। এই দুটি অনাকাঙ্ক্ষিত রান আউট না হলে দিনটি পুরোপুরি হতে পারত শ্রীলঙ্কার।
দিন শেষে নিশানকা ২১ ও চারিথ আসালানকা ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন