রাতেই বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ড যাত্রা

পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যর্থতার বোঝা মাথায় নিয়ে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতেই নিউ জিল্যান্ডে উড়াল দিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। রাত ১টায় এমিরেটসের বিমানে তাসমান পারের দেশে রওনা হবেন ক্রিকেটাররা।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলতে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো নিউ জিল্যান্ডে যাচ্ছে জাতীয় দল। এ বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশ সীমিত ওভারের ম্যাচ খেলতে সেখানে গিয়েছিল। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছিল। এবার শুধু দুটি টেস্ট খেলবে দুই দল।

নতুন বছরের প্রথম দিন মাউন্ট মঙ্গানুইতে আতিথেয়তা নেবে বাংলাদেশ। ৯ জানুয়ারি ক্রাইস্টচার্চে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। নিউ জিল্যান্ডে কঠোর কোয়ারেন্টাইন প্রটোকলের কারণে বাংলাদেশকে আগেভাগে যেতে হচ্ছে। গতবার গিয়ে ১৪ দিনের রুম কোয়ারেন্টাইন করেছে বাংলাদেশ। সাতদিন পর বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে করেছিল অনুশীলন।

এবার তিনদিনের আইসোলেশনসহ সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন। সাত দিনে তিনটি কোভিড টেস্ট করানো হবে। নেগেটিভ এলেই মুক্তি। এরপর একদম স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। মাঠে নামার আগে দু্টি দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। একটি নিজেদের মধ্যে, একটি নিউ জিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে। এছাড়া নিয়মিত অনুশীলন করে নিজেদের ঝালিয়ে নেবেন।

এ সফরে বাংলাদেশ পাচ্ছে না দুই অতি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে। চোটের কারণে তামিম দলের সঙ্গে নেই। সাকিবকে রেখে শুরুতে দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। কিন্তু দল ঘোষণার পরপরই তিনি আনুষ্ঠানিক ছুটির আবেদন করেন। জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে চাওয়া ছুটির আবেদনের একদিন পরই বিসিবি তা মঞ্জুর করে।   

বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরের যাত্রা শুরু হয়েছে পাকিস্তান সিরিজ দিয়ে। কিন্তু দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ভরাডুবি। চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর ঢাকায় এ একই শঙ্কা উঁকি দিচ্ছে। 

২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ডে তিন ফরম্যাটে ৩২ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচে। এবার কি জয়খরা কাটাতে পারবে মুমিনুল হকের দল? বড় কিছুর প্রত্যাশা করা ভুল হবে। কারণ নিউ জিল্যান্ড রয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে। বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতেই হারছে। এছাড়া দুই দলের শেষ পাঁচ টেস্টের চারটিতেই হার বাংলাদেশের। একটি ড্র হয়েছিল বৃষ্টির কারণে।

বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার, কাজী নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী রাব্বি, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাঈম শেখ।