ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দ্যুতিময় ইবাদতে ৪৭ টেস্ট পর পেসারদের প্রথম ‘ফাইফার’

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৫ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ০৫:২৪, ৫ জানুয়ারি ২০২২
দ্যুতিময় ইবাদতে ৪৭ টেস্ট পর পেসারদের প্রথম ‘ফাইফার’

আবু জায়েদ রাহী ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে, ২০১৯ সালে ভারতের ইন্দোরে ৫ উইকেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু ফিল্ডাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। রাহীও পাননি টেস্টে তার প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ। ওয়েলিংটনে তার বোলিংয়ে দুই ক্যাচ, ইন্দোরে এক ক্যাচ মিস। 

তাসকিনের কথাই ধরুন। গত বছর পাল্লেকেলেতে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট পেলেন। অথচ তার নামের পাশে থাকতে পারতো ৬ উইকেট। কিন্তু ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় তাসকিনের মুখে হাসি নেই! 

প্রশ্ন উঠছিল, টেস্টে পেসারদের ৫ উইকেটের জন্য আর কত বছর অপেক্ষা করতে হবে? 

ইবাদত হোসেন আজ সেই প্রশ্নের সমাপ্তি টানলেন। মাউন্ট মঙ্গানুইতে বুধবার সকালে রস টেইলরকে ফিরিয়ে ইবাদত পেলেন ৫ উইকেটের স্বাদ। প্রায় ৯ বছর ও ৪৭ টেস্ট পর বাংলাদেশের কোনো পেসার পেলেন টেস্টে ৫ উইকেটের স্বাদ। ২০১৩ সালে রবিউল ইসলাম শিপলুর পর প্রথম পেসার হিসেবে ইবাদত পেলেন ফাইফার। 

আর এমন এক মঞ্চে ইবাদত নিজের কীর্তি গড়লেন যেখানে তার নাম নিশ্চিতভাবেই অমরত্বের স্বীকৃতি পাবে। কারণ তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে তাদেরকে হারানোর প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। আগের দিন ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ইবাদত। তার বলে আউট হয়েছেন ইয়ং, কনওয়ে, নিকোলস ও ব্লান্ডেল। আজ প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে টেইলরকে বোল্ড করেন। এরপর নেন জেমিনসনের উইকেট। সব মিলিয়ে ৪৬ রানে তার শিকার ৬ উইকেট। শাহাদাত হোসেন, রবিউল ইসলাম ও মানজারুল ইসলাম রানার পর চতুর্থ পেসার হিসেবে টেস্টে ৬ উইকেট পেলেন ইবাদত।

দেশে ও বাইরে মিলিয়ে বাংলাদেশের পেসাররা টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছেন নয়বার। শাহাদাত হোসেন রাজীব একাই পেয়েছেন চারবার। এছাড়া রবিউল ইসলাম শিপলু দুইবার, মানজারুল ইসলাম ও রুবেল হোসেন পেয়েছেন একবার করে। ইবাদত এই ক্লাবের নব সংযোজন। দেশের মাটিতে মাত্র তিনবার পেসাররা ৫ উইকেট পেয়েছেন। দেশের বাইরে ছয়বার। ঘরের মাঠে টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা যে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পান না এ পরিসংখ্যান চোখে আঙুল দিয়ে আরেকবার বুঝিয়ে দিলো।

মাউন্ট মঙ্গানুইর উইকেটে সাফল্যর জন্য ধারাবাহিক বোলিং করা ছিল আবশ্যক। ডানহাতি পেসার ইবাদত সেই কাজটা ভালোমতো করেছেন। গতি, আগ্রাসন ছিল আপ টু মার্ক। সঙ্গে উইকেট থেকে মুভমেন্ট আদায় করে নিতে পেরেছেন। তাতে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন চাপে। চতুর্থ দিনে তার এক বোলিং স্পেলে লন্ডভন্ড কিউইরা। আজও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পেয়েছেন ২ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ভালো বোলিং না করায় এবং আলগা বোলিংয়ে রান দেওয়ায় প্রবল চাপে ছিলেন ইবাদত। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের সামর্থ্য বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলেন। তাতেই ইতিহাস। সঙ্গে বাংলাদেশের পেসারদের দীর্ঘ অপেক্ষা দূর করলেন। গেরো ছুটিয়ে পেলেন ফাইফার। 

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়