ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

তামিমের ফিফটির সঙ্গে শাহজাদ-মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে ঢাকার চ্যালেঞ্জ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২১ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২১:০১, ২১ জানুয়ারি ২০২২
তামিমের ফিফটির সঙ্গে শাহজাদ-মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে ঢাকার চ্যালেঞ্জ

শুরুটা করেছেন মোহাম্মদ শাহজাদ, মাঝে খেলেছেন তামিম ইকবাল আর শেষটা রাঙিয়েছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতেই খুলনা টাইগার্সকে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে মিনিস্টার ঢাকা। তামিম বিপিএলের এবারের আসরের প্রথম ফিফটি করলেও শাহজাদ-মাহমুদউল্লাহ থেমেছেন কাছে গিয়ে।

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে তারা।

সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন তামিম। শাহজাদ ২৭ বলে ৪২ আর মাহমুদুউল্লাহ ২০ বলে ৩৯ রান করেন। শুভাগত হোম ৯ ও ইসুরু উদানা ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। 

মেহেদী হাসানকে তার মাথার উপর দিয়ে চার মেরে ইনিংসের সূচনা করেছিলেন ওপেনার শাহজাদ। ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন ফিফটি থেকে ৮ রান দূরে থেকে। এক পাশে যখন ঝড় তুলছিলেন শাহজাদ, অন্য প্রান্তে আগলে রেখেছিলেন তামিম। এক পরিসংখ্যানে স্পষ্ট হবে এটি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ঢাকা তোলে ৫৬ রান। তাতে শাহজাদ একার রানই ছিল ২২ বলে ৩৯। আর তামিমের ১৪ বলে ১৪।

সেই জায়গা থেকে আর মাত্র ৩ রান যোগ করে রনি তালুকদারের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন শাহজাদ। ২৭ বলে ৪২ রান করেন এই আফগান।  শাহজাদ যেখানে শেষ করেছেন সেখানে শুরু হয়েছে তামিমের। ফরহাদ রেজাকে ১১তম ওভারে টানা ৩ চারে যেন সেই বার্তাই দিয়েছেন। সেই রেজার বলেই লং অনে ঠেলে দিয়ে ৪১ বলে দেখা পান টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪১তম ফিফটির। তবে আর বেশিদূর যেতে পারেননি, আউট হয়ে যান ৫০ রানেই। ৭ চারে ৪২ বলে এই রান করেন তামিম।

টিম কম্বিনেশনের কারণে ওপেনার নাঈমকে নামতে হয়েছে তিন নম্বরে। কিন্তু আলো ছড়াতে পারেননি। ১১ বলে ৯ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ক্রিজে এসে নতুন ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেল ৬ মেরে ঝড়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই ফিরলেন অদ্ভুত রান আউট হয়ে। পেরেরার বলে শর্ট থার্ডম্যান অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দ্রুত রান নিতে চেয়েছেন রাসেল, মেহেদী ধরেই থ্রো করলে প্রথমে লাগে স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্পে, এরপর নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্পে।

রাসেল যাওয়ার আগেই নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্পে লাগলে শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরতে হয় সাজঘরে। ৩ বলে ৭ করেন এই ক্যারিবিয়ান সুপারস্টার।

তামিম-রাসেলরা ফিরলেও নতুন ব্যাটসম্যান জহুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ বলে ১২ রান করে নাভীন উল হকের অসাধারণ ক্যাচে ফেরেন জহুরুল। ভেঙে যায় ১৭ বলে ২৫ রানের জুটি। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ ঝড় থামেনি।

১৯তম ওভারে নাভিন উল হককে দুই ছয়ের পর শেষ ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকেও টানা দুই বলে চার-ছয় হাঁকান। আউটও হয়েছেন ছয় মারতে গিয়ে মিডউইকেটে তানজীদের দারুণ ক্যাচে। ৪ চার ও ৩ ছয়ে ৩৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। 

খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কামরুল। তবে তিনি ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে দেন ৪৫ রান। এ ছাড়া ১টি উইকেট নেন থিসারা পেরেরা।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়