ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকিয়ে শাস্তির মুখে ব্রেন্ডন টেইলর

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ২৪ জানুয়ারি ২০২২  
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব লুকিয়ে শাস্তির মুখে ব্রেন্ডন টেইলর

জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর স্পট ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়ার পর আইসিসি দুর্নীতি বিভাগকে না জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন। সব ধরণের ক্রিকেট থেকে এক বছরের বেশি সময়ের জন্য নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি।

সোমবার নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে চার পৃষ্ঠার দীর্ঘ বিবৃতি দেন টেইলর। বিস্তারিত পোস্টে পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন টেইলর। ২ বছর ধরে এই গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানান তিনি। আইসিসি দ্রুতই এই ঘটনা সামনে আনবে। তাই নিজের অবস্থান সবাইকে জানানোর তাগিদ অনুভব করেছেন তিনি।

টেইলর দাবি করেছেন, স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করার বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০১৯ সালের অক্টোবরে তাকে ভারতে ডেকেছিল এক ভারতীয় ব্যবসায়ী। আলোচনা শেষে রাতের পার্টিতে নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন সেবন করিয়ে ভিডিও ধারণ করে তারা। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং।

আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ভারতে আসার জন্য ১৫,০০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হয়। যা ছিল স্পট ফিক্সিং করার জন্য ডিপোজিট। কাজ শেষ হলে আরও ২০ হাজার ডলার পাওয়া যাবার কথা জানানো হয় টেইলরকে।

ওই সময়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট থেকে ৬ মাস কোন অর্থ পাচ্ছিলেন না টেইলর। তার রুমে মোট ৬ জন ছিলেন যারা স্পট ফিক্সিংয়ের বিস্তারিত তুলে ধরেন। ওই সময়ে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়।

ব্ল্যাকমেইলের শিকার হওয়ায় স্পট ফিক্সিং অ্যাপ্রোচের পরও সেটা লুকিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। যদিও তার দাবি, তিনি কখনো ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত হননি। টেইলর আরও জানান, মাদক গ্রহণের কারণে তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রেও যেতে হয়েছিল। দেশে যাওয়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ী টেইলরের কাছে টাকা ফেরত চান। যা টেইলর দিতে পারেননি বা দেননি।

৪ মাস পর আইসিসির কাছে এই ঘটনা রিপোর্ট করেন টেইলর। পাশাপাশি পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবকেও জানান তিনি। কিন্তু দেরিতে রিপোর্ট করায় আইসিসি তার ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি। নিয়ম অনুযায়ী ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চলছে।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়