ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নাহিদুলে নাজেহাল বরিশাল, কুমিল্লার বড় জয় 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৭, ২৫ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ২১:২৫, ২৫ জানুয়ারি ২০২২
নাহিদুলে নাজেহাল বরিশাল, কুমিল্লার বড় জয় 

নাহিদুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নাজেহাল ফরচুন বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া লক্ষ্যে খেলতে নেমে একশর আগেই অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। বড় ব্যবধানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে টানা দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করল কুমিল্লা। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান করে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা। রান তাড়া করতে নেমে ১৭.৩ ওভারে ৯৫ রানে অলআউট হয় বরিশাল। ৬৩ রানের জয় নিয়ে হাসিমুখে কুমিল্লা মাঠ ছাড়ে।

৪ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে নাহিদুল নেন ৩ উইকেট। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়েছেন গেইল-সাকিবরা। একাই যেন টুঁটি চেপে ধরেছিলেন তিনি। এমন কিপটে বোলিংয়ে শহীদ আফ্রিদির রেকর্ডে ভাগ বসালেন কুমিল্লার স্পিনার নাহিদুল।। বিপিএলে পুরো ৪ ওভার করেছেন এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে কম ইনোকমি আফ্রিদি ও নাহিদুলের। আফ্রিদি ২০১৫ সালে সিলেট সুপারস্টার্সের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৫ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। ইকোনমি ছিল ১.২৫। নাহিদুলের বোলিংয়ে স্পেলও একই রকম। কেবল উইকেট সংখ্যায় কুমিল্লার স্পিনার এগিয়ে আছেন। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদুল।

রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই মেডেন দিয়ে ওপেনার সৈকত আলীকে (০) হারায় বরিশাল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। একে একে ফেরেন সাকিব (১) তৌহিদ হৃদয় (১৯) ও গেইলরা (৭)। একপাশে আগলে রেখেছিলেন ওপেনিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান খেলেছেন টেস্ট মেজাজে। উপকারের চেয়ে দল বেশি চাপে পড়েছে। ৯৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪৭ বলে মাত্র ২ চারে শান্ত ৩৬ রান করেন। বরিশালের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন।

২০ রানের ঘর কেউ পার হতে পারেননি আর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ এসেছিল হৃদয়ের ব্যাট থেকে। নুরুল হাসান সোহান করেন ১৭ রান। জ্যাক লিনটট (৮) ফেরেন ফাফ ডু প্লেসির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে। শূন্যরানে ফেরেন ডোয়াইন ব্রাভো ও জিয়াউর রহমান। নাহিদুলের সঙ্গে তানভীর দের ঘূর্ণিতে শেষ পর্যন্ত ১০০ থেকে ৫ রান দূরে থাকতে অলআউট হয়ে যায় সাকিবের দল। নাহিদুলের ৩ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শহিদুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও করিম জানাত। ১টি উইকেট নেন মোস্তাফিজ। 

এর আগে ক্যামেরন ডেলপোর্ট-জয়ে দারুণ শুরু হয় কুমিল্লার। ৩ ওভারে দলটি তুলে ফেলে ২৯ রান। এরপর নাঈম হাসান ব্রেক থ্রু এনে দেন ডেলপোর্টকে (১৩ বলে ১৯) ফিরিয়ে। তবে এক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লেও জয় খেলে যাচ্ছিলেন ধারাবাহিক। তিনে নেমে ফাফ ডু প্লেসি (৬) ডানা মেলার আগেই সাজঘরে পাঠান সাকিব। ইমরুল কায়েস (১৫) জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।  

এক প্রান্তে দারুণ খেলতে থাকা জয় রানের চাকা সচল রেখেছিলেন। প্রতি ওভারেই আসছিল বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি। তাকে হাফসেঞ্চুরির আগে থামিয়ে দেন জ্যাক লিনটট। জয়ের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৮ রান। ৬ চার ও ১ ছয়ে ৩৫ বলে এই রান করেন তিনি।

জয়ের আউটের পরের ওভারেই (১৭তম)  সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ১৭ রান। পরের ওভারে জোড়া উইকেট হারালেও রানের চাকা থামেনি কুমিল্লার। পরপর দুই বলে মাহিদুল অঙ্কন (৮) ও নাহিদুল ইসলাম (০) ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই। তবে  করিমের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। শেষ দুই ওভারে তোলে ২৩ রান। করিম ১৬ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

বরিশালের হয়ে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ডোয়াইন ব্রাভো।  এ ছাড়া সাকিব সমান ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন নাঈম হাসান ও জ্যাক লিনটট। খরুচে ছিলেন নাঈম, ওভার প্রতি দিয়েছেন ১০.৩৩ রান করে।

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়