ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিপিএলের প্রথম চার দিনে স্থানীয়দের জয়জয়কার 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ২৬ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৬:৪৬, ২৬ জানুয়ারি ২০২২
বিপিএলের প্রথম চার দিনে স্থানীয়দের জয়জয়কার 

অনেক ‘নেই’-এর মধ্য দিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। ইতিমধ্যে ঢাকায় চার দিনে ৮ ম্যাচ শেষ হয়েছে। শুরুতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের রাজত্বই বেশি। সেটা বল হাতে হোক কিংবা ব্যাট হাতে। সর্বোচ্চ রান কিংবা সবচেয়ে বেশি উইকেট; সব দেশি ক্রিকেটারদের পকেটে। তবে এটাও ঠিক এবারের অষ্টম আসরে বিদেশি তারকা ক্রিকেটারের সংখ্যা হাতে গোণা। 

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম চারদিনের খেলা শেষে চলছে দুই দিনের বিরতি। ২৮ জানুয়ারি থেকে খেলা মাঠে গড়াবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ৮ ম্যাচ শেষে রান-উইকেটের কাটাছেড়া করতে গিয়ে উঠে এসেছে দেশি ক্রিকেটারদের উজ্জ্বল পারফর্ম্যান্স। ব্যাট হাতে দেশি ব্যাটসম্যানরা যদিও পিওর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং করতে পারছেন না। কিন্তু বল হাতে দেশিদের দাপট চোখে পড়ার মতো। 

ব্যাট হাতে চার ম্যাচ শেষে ১২৪ রান নিয়ে শীর্ষে আছেন মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে বল হাতে ২ ম্যাচে সাত উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন নাজমুল ইসলাম অপু। এখন পর্যন্ত সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেশি আছেন তিনজন, আর বোলিংয়ে পাঁচজনের চারজনই বাংলাদেশি। 

রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে এখন পর্যন্ত বিপিএলের সেরা পাঁচ পারফর্মারদের তুলে ধরা। 

সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিন দেশি

১। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (মিনিস্টার ঢাকা)- ৪ ম্যাচে ১২৪ রান। সর্বোচ্চ ৪৭। কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১২৬.৫৩।

২। বিনি হাওয়েল (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ৩ ম্যাচে ১১২। সর্বোচ্চ ৪১।  সর্বোচ্চ ৪৭। কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১৮৯.৮৩।

৩। তামিম ইকবাল (মিনিস্টার ঢাকা)- ৪ ম্যাচে ১০৫ রান। সর্বোচ্চ ৫২। দুটি ফিফটি, সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১১১.৭০।

৪। উইল জ্যাকস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ৩ ম্যাচে ৭৪ রান। সর্বোচ্চ ৪১। কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১৪৫.০৯।

৫। শুভাগত হোম (মিনিস্টার ঢাকা)- ৪ ম্যাচে ৭২ রান। সর্বোচ্চ ২৯। কোনো ফিফটি-সেঞ্চুরি নেই। স্ট্রাইক রেট ১২২.০৩।  

সেরা পাঁচ বোলারের চারজনই বাংলাদেশি

১। নাজমুল ইসলাম অপু (সিলেট সানরাইজার্স)- ২ ম্যচে ৭ উইকেট। সর্বোচ্চ ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ইকোনমি ৪.৩৭। 

২। মেহেদি হাসান মিরাজ (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ৩ ম্যচে ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ইকোনমি ৭.৪১।

৩। শরিফুল ইসলাম (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)- ৩ ম্যচে ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ইকোনমি ৮.৩৬।

৪। নাহিদুল ইসলাম (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)- ২ ম্যচে ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ইকোনমি ৩.১২।

৫। আলজারি জোসেফ (ফরচুন বরিশাল)- ২ ম্যচে ৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট। ইকোনমি ৯.৪২।

ঢাকা/রিয়াদ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়