ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

কথা রাখলেন মুশফিক, ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের হার   

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ২৮ জানুয়ারি ২০২২   আপডেট: ১৭:৩৩, ২৮ জানুয়ারি ২০২২
কথা রাখলেন মুশফিক, ঘরের মাঠে চট্টগ্রামের হার   

মুশফিকুর রহিম কথা দিয়েছিলেন, বড় রান করে দলের জয়ে অবদান রাখতে চান। এক দিন না যেতেই সেই কথা রাখলেন, অপরাজিত থেকে খুলনা টাইগার্সকে জিতিয়ে তবে মাঠ ছেড়েছেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে মুশফিকরা জয় পেয়েছেন ৬ উইকেটে। 

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটিং করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে থামে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হাতে রেখে ৭ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। 

সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন আন্দ্রে ফ্লেচার। মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ৩০ বলে ৪৪ রান করে। ম্যাচসেরার পুরষ্কার ওঠে ফ্লেচারের হাতে। 

রান তাড়া করতে নেমে খুলনা শুরুতে হারায় সৌম্য সরকারকে। করোনা মুক্তির পর দলে ফেরে রাঙাতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। শরিফুল ইসলামের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে। দ্বিতীয় উইকেটে আন্দ্রে ফ্লেচার-রনি তালুকদার ৫০ রান যোগ করেন। ১৮ বলে ১৭ রান করে রনি আউট হলে ভাঙে এই জুটি। মিরাজের বলে দ্রুত সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন মুশফিক। 

রনি ফিরলে ফ্লেচার এবার এগোতে থাকেন মুশফিককে নিয়ে। ফ্লেচার ৪৩ বলে তুলে নেন টি-টোয়েন্টর ২৮তম ফিফটি। তবে ফিফটির বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৫৮ রানে থামে তার ইনিংস। এবার দলকে জয়ের বন্দরে নেওয়ার দায়িত্ব নেন মুশফিক নিজেই। শরিফুলের ১ ওভারে তিন চারে ১৭ রান নিয়ে সেই বার্তাই দিলেন যেন। সঙ্গে ছিলে লঙ্কান সেকুগে প্রসন্ন। দলীয় স্কোর টাই হলে আউট হন প্রসন্ন (১৫ বলে ২৩)। থিসারা পেরেরা নামলেও কোনো বল খেলতে হয়নি।  

চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন মিরাজ। ১টি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।

এর আগে চট্টগ্রামের ইনিংসের প্রথম বলই পায়ে লাগে কেনার লুইসের। তবে এই বলে রিভিউ নেননি মুশফিকরা। লুইস অবশ্য ৫ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন উইল জ্যাকস ও আফিফ হোসেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ৫৫ রান। জ্যাকস ২৩ বলে ২৮ রান করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

দারুণ খেলতে থাকা আফিফ আউট হন একেবারে বাউন্ডারি লাইনের কাছে। বোলার মেহেদীর মাথার উপর দিয়ে মেরেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন তিনি।

মাঝে সাব্বির রহমান (৪) মেহেদি হাসান মিরাজ (৬) ও বেনি হাওয়েল (৫)  শামীম পাটোয়ারি (২) ফেরেন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই। শেষ দিকে ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম ইসলাম।

খুলনার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন থিসারা পেরারা। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনি নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন কামরুল ইসলাম, নাবিল সামাদ, মেহেদি হাসান, সেকুগা প্রসন্না ও ফরহাদ রেজা।

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়