ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়েডের সেই ক্যাচ ছেড়ে কয়েক রাত নির্ঘুম কেটেছিল হাসান আলীর

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪০, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২  
ওয়েডের সেই ক্যাচ ছেড়ে কয়েক রাত নির্ঘুম কেটেছিল হাসান আলীর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ। দুবাইয়ে মুখোমুখি পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের দেওয়া ১৭৭ রান তাড়া করে জয়ের জন্য শেষ ১২ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার।   

ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ক্রিজে ছিলেন মার্কোস স্টয়নিস। প্রথম ২ বলে ২ রান দেওয়া শাহীন শাহ আফ্রিদি তৃতীয় বলে উইকেটের সুযোগ তৈরি করলেন। তার ফুলার লেন্থের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লগ করলেন ওয়েড। বল গেল ডিপ মিড উইকেটে। একেবারেই লোপ্পা ক্যাচ। কিন্তু হাসান আলী বলটাই তালুবন্দী করতে পারলেন না। ওয়েড পেয়ে গেলেন ২ রান। ম্যাচটা সেখানেই হেরে বসল পাকিস্তান। পরের ৩ বলে ৩ ছক্কায় ওয়েড হয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক। 

বিশ্বকাপের একমাত্র দল হিসেবে প্রথম পর্বে পাঁচ ম্যাচে পাঁচটি জিতে সেমিফাইনাল উঠেছিল পাকিস্তান। বাবর আজমের দল ভারত, নিউ জিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে ওঠে সেমিফাইনালে। অথচ সেমিতেই শেষ তাদের যাত্রা। ওই ক্যাচ ছেড়ে রাতারাতি খলনায়ক হয়েছেন হাসান আলী। কিন্তু সবচেয়ে বড় কষ্ট তিনি নিজেই পেয়েছিলেন। পুড়েছিল তার হৃদয়। নির্ঘুম কেটেছে অনেক রাত। 

দীর্ঘদিন পর সেই ক্যাচ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বললেন ডানহাতি পেসার। ক্রিকেট পাকিস্তান-কে হাসান আলী বলেছেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের কঠিন মুহুর্ত যেটা কখনোই ভুলে যাওয়া সম্ভব না। এখনও কাউকে বলা হয়নি, আমি ওই ঘটনার পর দুদিন ঘুমাতে পারিনি। আমার স্ত্রী পাশেই ছিল। কিন্তু আমাকে দেখে সে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গিয়েছিল। কারণ আমি ঘুমাতে পারছিলাম না।’ 

হাসান আলী আরো বলেছেন, ‘ক্যাচটা ছেড়ে আমি পাশেই বসে ছিলাম। আমার চোখে বারবার ক্যাচটা ভেসে আসছিল। সেখান থেকে আমরা বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। নিজেকে শান্ত করে বোঝানোর চেষ্টা করি, ওই ঘটনা ভুলে আমাকে এগিয়ে যেতে হবে।’ 

তবে সতীর্থরা যেভাবে তার পাশে ছিলেন তাতে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পেয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তার ভাষ্য, ‘আমার সব সতর্থীরা জানত আমি ম্যাচটা কতটা গুরুত্বর সঙ্গে নিয়েছিলাম। আমি সব সময় প্রস্তুতিতে শতভাগ উজার করে দেই যেন পাকিস্তানের হয়ে পারফর্ম করতে পারি। আমি ম্যাচের পর কাঁদছিলাম। শাহীনও কাঁদছিল। আমাদের দুজনের জন্য ওই সময়টা খুব আবেগপ্রবণ ছিল।’ 

‘শোয়েব ভাই (মালিক) আমার কাছে এসে বলেছিল, তুমি আমাদের অস্ত্র। তোমার হারলে চলবে না। পাশাপাশি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। প্রত্যেকে আমার দুঃখ বোঝার চেষ্টা করেছিল।– যোগ করেন হাসান। 

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়