ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৫ হাজার ছুঁয়ে মুশফিকের আশা ১০ হাজার রান করবে জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৯, ১৮ মে ২০২২  
৫ হাজার ছুঁয়ে মুশফিকের আশা ১০ হাজার রান করবে জয়

৬৮ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রান করতেন মুশফিকুর রহিম। একই লড়াইয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে রেকর্ড গড়তে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন ছিল ১৫২ রান। নিজের বিভাগীয় শহরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ওপেনার তামিম সুযোগটা লুফে নিয়েছিলেন। দারুণ সেঞ্চুরি তুলে ৫ হাজার রানের পথে ছুটছিলেন। কিন্তু ১৩৩ রানে ক্র্যাম্প করায় তামিম ১৯ রান দূরে থাকতে মাঠ থেকে উঠে যান। সঙ্গী মুশফিক তখন ১৪ রানে ব্যাটিংয়ে। তামিম খুব কাছে গিয়েও শারীরিক জটিলতায় পারেননি। তবে মুশফিক পথ ভোলেননি।

আগের দিন ৫৩ রান তুলে কাজ এগিয়ে রেখেছিলেন মুশফিক। বুধবার দ্বিতীয় ঘণ্টায় তার ব্যাটে রাঙা হয় নতুন ইতিহাস। যা এর আগে করতে পারেননি কেউ। টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রান যে কোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই আরাধ্য, প্রতীক্ষিত। স্বপ্নডানায় চড়ে মুশফিক নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। নিজের নামের পাশে এমন রেকর্ড থাকায় খুশি তিনি। সঙ্গে তার প্রত্যাশা, বর্তমান টেস্ট ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়িয়ে যাবেন তাকেও। ছুঁয়ে ফেলবেন ১০ হাজার টেস্ট রান।

দিনের খেলা শেষে মুশফিকের মাইলফলক উদযাপন করতে কেক কেটেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই উদযাপনে পাশে থাকা জয়কে কেক খাইয়ে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান মুশফিক। সংবাদ সম্মেলনে সেই কথা শুনিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী ডানহাতি ব্যাটসম্যান, “৫ হাজার রানের জন্য কেক কেটে ড্রেসিংরুমে যখন উদযাপন করছিলাম, তখন জয়কে প্রথম কেক খাইয়ে বলেছিলাম যে, ‘তুই এখানে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান। তোর সম্ভাবনা আছে ১০ হাজার রান করার। আমি আশা করি তুই সেদিন অন্য নতুন কাউকে এরকম কেক খাইয়ে দিবি। আর এই লিগ্যাসিটা সামনে এগিয়ে যাবে।”

তামিমের সঙ্গে মুশফিকের প্রতিযোগিতা চলছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই প্রতিযোগিতা কেবলই বন্ধুত্বসুলভ, একে অপরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার তাড়না। তামিম মাত্র ১৯ রানের জন্য এই রেকর্ড গড়তে পারেননি। মুশফিক পেরেছেন বলে তাকে ড্রেসিংরুমের বাইরে এসে অভিবাদন জানিয়েছেন। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘তামিমের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তামিম তো আমার ২০০ রানের রেকর্ড ভেঙেছিল। এরপর ওই আমাকে বলেছে যে দুই-তিন বছরে তুই আবার ২০০ করবি। আমি মনে করি এটা খুব ভালো, এমন প্রতিযোগিতা থাকলে দলেরই ভালো। আমি যে কাজটা করব, এটা যদি আপনার ভাই বা বন্ধু করে, এটা তো ভালো লাগার বিষয়।’

মুশফিক বিশ্বাস করেন, ভাগ্যে থাকায় ও সৃষ্টিকর্তা লিখে রাখায় তামিমের পরিবর্তে তিনি প্রথমে ৫ হাজার রান পেয়েছেন। পবিত্র কুরআনের আয়াত পড়ে মুশফিক বলেছেন, “এই যে কপালটা দেখছেন (ক্যাপ সরিয়ে কপাল দেখিয়ে) ‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির।’ এর অর্থ:  আল্লাহ তা’আলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তা’আলাই হচ্ছেন উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।”

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়