ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শেষ বলাটা ঠিক না: সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৬ মে ২০২২   আপডেট: ১৯:২৭, ২৬ মে ২০২২
শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শেষ বলাটা ঠিক না: সাকিব

চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব (ছবি- বিসিবি)

ঢাকা টেস্ট কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচাতে মুশফিক, লিটন, সাকিব, মোসাদ্দেককে দিতে হবে কঠিন পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের শেষ বিকালে ৭৫ মিনিটের ব্যাটিংয়ে স্রেফ এলোমেলো স্বাগতিকরা। ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার আরও একবার হতাশ করেছে। তাতে দৃষ্টিসীমায় উঁকি দিচ্ছে পরাজয়। 

দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও ১০৭ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। হাতে ৬ উইকেট রেখে ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনা দেখছে কি বাংলাদেশ? দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সাকিব বড় আশা দেখালেন। জানালেন, প্রথম ইনিংসে মুশফিক ও লিটনের মতো দুয়েকজন ব্যাটিং করতে পারলেই ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। তার ভাষ্য, ‘মুশফিক ভাই ও লিটনের মতো যদি দ্বিতীয় ইনিংসে দুইজন ব্যাটিং করতে পারে, তাহলে ম্যাচ বাঁচানোর আশা আছে।’ 

২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর প্রথম ইনিংসে মুশফিক ও লিটন ২৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন। সাকিবের কথা মতো, দায়িত্বটা নিতে হবে আবার তাদেরই। সঙ্গে ড্রেসিংরুমে থাকা দুজনকে। মুশফিক ১৪ ও লিটন ১ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। তাদের পর আছেন সাকিব ও মোসাদ্দেক। 

পঞ্চম দিন তিন সেশন কাটিয়ে দিতে এই চারজনের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দলকে। কাজটা কঠিন বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে হাল ছাড়বেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার, ‘পরিস্থিতিটা কঠিন। উইকেট ওতটা বেশি কঠিন না হলেও কঠিন। কিন্তু এখনও যেহেতু শেষ হয়ে যায়নি, শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত শেষ বলাটা ঠিক না।’

সবাইকে অবদান রাখার তাগিদ বাঁহাতি অলরাউন্ডারের, ‘দলকে বাঁচাতে হলে আমরা যারা আছি, এখনও ছয়টা উইকেট আছে। সবাইকে অবদান রাখতে হবে। খুবই স্বাভাবিক। ওদের আক্রমণ আমাদের সামলাতে হবে। প্রথম ঘণ্টায় যদি উইকেট না হারাই, লাঞ্চ পর্যন্ত না হারাই, তাহলে একটা জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই টেস্টেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস নেমেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে দুইবারই ৮০ ও ৫৩ রানে অলআউট হয়েছিল। তৃতীয় ও চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন। কিন্তু বারবার এমন ধস কেন? সাকিব নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও তার ভাবনায় উঁকি দিচ্ছে একাধিক ইস্যু, ‘আসলে দুই বা আড়াই দিন যখন আপনি ফিল্ডিং করবেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬০-১৭০ ওভার, একটু তো কঠিন হয়-ই। খেলোয়াড়রা হয়তো একটু ক্লান্ত। কারণ দুইটা ম্যাচই পাঁচদিনের শেষ সময় পর্যন্ত যাচ্ছে হয়তো, যদি কালকে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারি। সেদিক থেকে চিন্তা করলে হয়তো খেলোয়াড়রা একটু ক্লান্ত। ’

সাকিব আরও বললেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং করা কঠিন। ওই চাপটা আমরা সামলে নিতে পারিনি এবং শেষ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ দলে এই সমস্যাটা হচ্ছে। আমি যখন দলে ছিলাম না তখনও এটা হয়েছে। আবার আমি আছি এখনও হচ্ছে। দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা অনেকবারই ব্যর্থ হচ্ছি। ওই জায়গাতে উন্নতির সুযোগ ছিল। আজকেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ’

বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ৫০৬ রান করে। বৃহস্পতিবার সকালের সেশনে বল হাতে কোনো সাফল্য না পাওয়ায় বাংলাদেশ পিছিয়ে গেছে বলে মনে করছেন সাকিব, ‘যখন লাঞ্চের আগে উইকেট পড়েনি তখনই বোঝা যাচ্ছিল আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের রানটা টপকে যাবে। দেড়শ-দুইশ রানের একটা লিড নেওয়ার অবস্থায় তারা ছিল। আমরা বুঝতে পারছিলাম এরকম একটা পরিস্থিতি হবে। লাঞ্চ পর্যন্ত উইকেট না পড়ায় আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেছে। চতুর্থ ইনিংস যেকোনো ব্যাটসমানের জন্যই কঠিন পরিস্থিতি। মাথার ভেতর তখন অনেক কিছু কাজ করে। ম্যাচের অনেক দৃশ্যপট থাকে। ওই চাপগুলো সামাল দেওয়া কঠিন, যেগুলো আমরা পারছি না।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়