ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মুশফিককে পেছনে ফেলে মের সেরা ম্যাথুজ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ১৩ জুন ২০২২   আপডেট: ১৬:৫৫, ১৩ জুন ২০২২
মুশফিককে পেছনে ফেলে মের সেরা ম্যাথুজ

গত মে মাসে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। দুজনই জায়গা পান আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানকে টপকে সেরা হলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যান।

সতীর্থ আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিককে হারিয়ে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ম্যাথুজ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই পুরস্কার প্রবর্তনের পর প্রথম শ্রীলঙ্কান হিসেবে এটি পেলেন তিনি, ‘আইসিসি পুরুষদের মাসসেরা খেলোয়াড় হতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত ও আনন্দিত। আমি অভিনন্দন জানাতে চাই আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিকুর রহিমকে, যারা তাদের চমৎকার পারফরম্যান্স দিয়ে এই পুরস্কার পাওয়ার লড়াইয়ে সামনের দিকে ছিল। এই সুযোগ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান, আমার সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ ও ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই আমার ওপর আস্থা রাখা এবং সবসময় সমর্থন দেওয়ার জন্য। শ্রীলঙ্কার জনগণকে আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করতে চাই। আসুন আমরা সবসময় বিশ্বাস ধরে রাখি।’

দুই টেস্টে ২ সেঞ্চুরিতে ৩৪৪ রান করে সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন ম্যাথুজ। প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি মাত্র ১ রানের জন্য। ১৯৯ রানে আউট হন। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা ৩৯৭ রান করলেও বাংলাদেশ লিড নেয়। ম্যাচটি ড্রতে শেষ হয়।

দ্বিতীয় ম্যাচে এই লঙ্কান ব্যাটসম্যান আবারও সেঞ্চুরি হাঁকান এবং প্রথম ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ১৪৫ রানে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৬৫ রান করে। শ্রীলঙ্কা জবাব দিতে নেমে যখন বিপদে পড়েছিল তখন ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ১০২ ও দিনেশ চান্ডিমালের সঙ্গে ১৯৯ রানের জুটি গড়েন তিনি।

এই দুই জুটিতে শ্রীলঙ্কা ১৪১ রানের লিড নেয়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ভরাডুবির শিকার হয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয়। ২৯ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়ে পূরণ করে সফরকারীরা।

মুশফিক ফেভারিট হিসেবে এই পুরস্কারের লড়াইয়ে ছিলেন। গত বছরের মে মাসের সেরা খেলোয়াড় সবশেষ সিরিজে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৩ রান করেন। ম্যাথুজের মতোই দুটি সেঞ্চুরি ছিল। চট্টগ্রামে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫ হাজার টেস্ট রান করেছিলেন।

ওই ম্যাচে তার ১০৫ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ ৬৮ রানের লিড নেয়। তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এসেছিল বিপদের মুহূর্তে। বাংলাদেশ ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নামেন এবং দ্রুত স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ২৫/৫। সংশয় জাগে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর পঞ্চাশ পার হওয়া নিয়েও। কিন্তু মুশফিক লিটন দাসকে নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি গড়েন।

দুর্ভাগ্যবশত মুশফিককে থামতে হয় অপরাজিত ১৭৫ রানে, কারণ দলের সব ব্যাটসম্যানই আউট। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিতে আট ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যান র‌্যাংকিংয়ে ১৭ নম্বরে তিনি।

এদিকে আসিথা এই সিরিজ শেষ করেন শীর্ষ উইকেটশিকারি হয়ে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার করা একমাত্র বোলিং ইনিংসে তিন উইকেট নেন। ঢাকায় দ্বিতীয় ম্যাচে পান ১০ উইকেট। বিদেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কান পেসারের টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা এটা। শেষ ইনিংসে ৫১ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট। হন ম্যাচসেরা।

নারী ক্যাটাগরিতে মাসসেরা হয়েছেন পাকিস্তানের বোলার তুবা হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। আর আবির্ভাবে বাজিমাত করে প্রথমবার মাসসেরা মনোনয়ন পেলেন, আর জিতলেনও। শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করার পথে প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট নেন ৪ ওভারে এক মেডেন দিয়ে। ম্যাচসেরাও হন। পরের দুই ম্যাচে পান একটি করে উইকেট। পাকিস্তানের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে মাসসেরা হলেন তুবা।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়