আবারও মিচেল-ব্লান্ডেলে নিউ জিল্যান্ডের স্বস্তি
মিচেল ও ব্লান্ডেল জুটির অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দিন শেষ করে নিউ জিল্যান্ড
ইংল্যান্ড সফরে দল যখনই বিপদে পড়ছে, তখনই একসঙ্গে জমাট বেঁধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল। লর্ডস ও নটিংহ্যামের পর লিডস টেস্টেও দুজনের ষষ্ঠ উইকেট জুটি স্বস্তি এনে দিলো নিউ জিল্যান্ডকে। তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের স্কোর ৫ উইকেটে ২২৫ রান।
চা বিরতির আগে শেষ ওভারে হেনরি নিকলসের অদ্ভুতুড়ে আউটের পর দুজন জুটি গড়েন। জ্যাক লিচের স্পিন বলে কিউই ব্যাটসম্যান সোজাসুজি শট খেলেন। ইনিংসে নিজের দ্বিতীয় চার পেতে ড্রাইভ খেলেন। কিন্তু বল সবাইকে অবাক করে দিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডে থাকা মিচেলের ব্যাটে লাগে এবং মিডঅফে সরাসরি অ্যালেক্স লিসের হাতে পড়ে, ৯৯ বল খেলে শেষ হয় তার ১৯ রানের ইনিংস। এমন অদ্ভুত আউট মনে করিয়ে দিলো ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ডিসমিসালের কথা।
নিকলসের ড্রাইভ অন্য প্রান্তে থাকা মিচেলের ব্যাটে লেগে সরাসরি লিসের হাতে।
এরপর মিচেল ও ব্লান্ডেল পুরো এক সেশন ২২ গজে শাসন করেছেন। ১২৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর তাদের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে ১০২ রান, খেলেছেন ২০৮ বল। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দুজনে মিলে করেন ১৯৫ এবং পরের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ২৩৬ রান। এই সিরিজে দুজনে একসঙ্গে ৫৯৩ রান করে জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন মিচেল ও ব্লান্ডেল। এক সিরিজে এক জুটির সর্বোচ্চ সংগ্রহের তালিকায় তারা পেছনে ফেলেছেন ১৯৯০-৯১ এ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা মার্টিন ক্রো ও অ্যান্ড্রু জোন্সের (৫৫২) কীর্তিকে।
৭৮ রানে মিচেল ও ব্লান্ডেল ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে শূন্য রানে জো রুটকে ক্যাচ দেন টম ল্যাথাম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইল ইয়াং (২০), কেন উইলিয়ামসন (৩১) ও ডেভন কনওয়ে (২৬) বিদায় নেন। ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর যখন নিকলস ও মিচেল প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন, তখনই অদ্ভুত আউটে ভাঙে ওই জুটি। তারপরের গল্প কেবলই ব্লান্ডেল ও মিচেলের।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন