ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দলগত নৈপুণ্যের ঘাটতি দূর হবে কবে?

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২১, ৪ জুলাই ২০২২  
দলগত নৈপুণ্যের ঘাটতি দূর হবে কবে?

মুমিনুল হক অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে বারবার একটা কথাই বলেছিলেন, ‘দলগতভাবে না খেললে ম্যাচ জেতা অসম্ভব। আমরা এখনও ওরকম দল হইনি যে একক নৈপুণ্যে ম্যাচ জিতবো।’ 

অ্যান্টিগা ও সেন্ট লুসিয়ায় ম্যাচ হারের পর মুমিনুলের সুরে সুর মিলিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। টেস্ট অধিনায়কের সাফ কথা, ‘সবাইকে পারফর্ম করতে হবে।’ 

ডোমিনিকায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হারের পর এই ফরম্যাটের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদেরও কণ্ঠে একই কথা, ‘আমরা টি-টোয়েন্টিতে যেরকম দল, আমাদেরকে দলগতভাবে ভালো করতে হবে। ছোট ছোট জায়গা, প্রতিটা জায়গায় যার যার ভূমিকাগুলো পালন করতে হবে। তাহলে আমরা দলগতভাবে ভালো পারফর্ম করতে পারবো।’ 

‘আমাদের দল নিয়ে যতটুকু আমি বুঝি এটাই আমাদের স্ট্রেন্থ (দলগত শক্তি)। আমরা দলগতভাবে যখন ভালো খেলি সেটা প্রথম ম্যাচ বা দ্বিতীয় ম্যাচ হোক, আমরা অনেক বেশি বুস্ট আপ থাকি, সিরিজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। ওইটা আমাদের বাড়তি সুবিধা দেয়। যেটা আমরা শেষ অনেকগুলো ম্যাচ ধরে স্ট্রাগল করছি।’- বলেন মাহমুদউল্লাহ। 

সব অধিনায়কের কণ্ঠে একই সুর। তাই তো প্রশ্ন উঠছে, দলগত নৈপুণ্যের ঘাটতি পূরণ হবে কবে? ফল হওয়া শেষ ১১ টি-টোয়েন্টির ১০টিই হেরেছে বাংলাদেশ। কোনোটিতে লড়াই করেছে, কোনোটিতে পারেনি। বাজেভাবে হারের রেকর্ডও আছে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের চোখে সমস্যা একটাই, দলগত নৈপুণ্যের ঘাটতি, ডোমিনিকায় যা ফুটে ওঠে প্রবলভাবে। 

বোলিংয়ে শুরু ও মাঝে ভালো করলেও শেষটা হতশ্রী। শেষ ৫ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে বোলাররা ম্যাচ থেকে ছিটকে যান। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ৮ রানেই নেই ২ উইকেট। মাহমুদউল্লাহ দ্রুত ১১ রান তুলে সাজঘরের পথ ধরেন।

সেখান থেকে আফিফ ও সাকিবের জুটি বাংলাদেশকে আশা দেখালেও বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান উঠেনি। পরবর্তীতেও সাকিব ও মোসাদ্দেক আক্রমণ চালালেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। সাকিবের ৫২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র।  

অধিনায়কের আফসোস দুটি জায়গায়, ‘সাকিব খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয়, বোলিংয়ে আমরা কয়েকটা ওভারে খুব বেশি রান দিয়ে দিয়েছি। ওটাতেও কোনো সমস্যা নেই। টি-টোয়েন্টিতে এটা হতে পারে। আফিফ ও সাকিবের জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল যেটা আমাদের একটু ছন্দ দিয়েছিল। সাকিব শেষ কয়েকটি ওভারে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি মারলো। মোসাদ্দেক ১৫-১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললো। আমরা বোলিংয়ে আর কিছু রান যদি কম দিতে পারতাম… আমরা ১৫৮ রান করেছি। আরও ১০-১৫ রান করতে পারতাম। টার্গেটটা যদি একটু শর্ট হতো তাহলে একটু ভালো হতো।’

৭ জুলাই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হবে গায়ানায়। ম্যাচে জয়ের নেশায় মত্ত মাহমুদউল্লাহ, ‘ফোকাস টু উইন দ্য গেম। সব সময়ই একটা লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জেতা।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়