এখন আর চেষ্টা নয়, আমরা করে দেখাবো: ইবাদত
টেস্ট দলের নিয়মিত ক্রিকেটার ইবাদত হোসেন। ওয়ানডেতে গত এক বছর দলের আশেপাশে ছিলেন। জিম্বাবুয়েতে হয়ে যায় স্বপ্নের অভিষেক। এবার তার সুযোগ মিলেছে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে।
এশিয়া কাপ খেলতে দলের সঙ্গে উড়াল দেবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত এ পেসার। বিশ্বাস করেন, সামনে ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও ভালো দলে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ইবাদত। দল, নিজের লক্ষ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। তার কথা শুনেছে রাইজিংবিডিও-
টেস্টের পর ওয়ানডে দলে। এবার টি-টোয়েন্টি দলেও সুযোগ পেয়ে গেলেন। এই ফরম্যাটকে কীভাবে দেখছেন?
ইবাদত হোসেন: আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। টেস্টে দেখেন সারাদিন বল করার একটা ব্যাপার থাকে, আর টি-টোয়েন্টি হলো শর্টার ফরম্যাট। এখানে মানিয়ে নেওয়ার মতো ব্যাপার হলো বুদ্ধি খাটিয়ে বল করতে হবে, যেহেতু উইকেট ভালো থাকবে, ব্যাটসম্যানরা আগ্রাসী থাকবে। আমার কাছে মনে হয়, পরিকল্পনা করে বল করাটাই মূল বিষয়।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। শেষ ১০ ম্যাচের ৮টিতেই হার। এমন খারাপ সময়ে দলে ডাক পেলেন। দায়িত্বটা অবশ্যই বেশি হয়ে গেলো, নিজের ভালো করা… দলকে জেতানো…
ইবাদত হোসেন: আমি মনে করি, চেষ্টা এক জিনিস আর আমি করে দেখাবো আরেক জিনিস। এখন চেষ্টা করবো, এগুলো বলে লাভ নেই, এখন করে দেখানোর সময়। এখন একটাই কথা, আমি করে দেখাবো। আমরা করবো। আমরা দল হিসেবে ভালো খেলছি না মানে এই না যে আমরা টি-টোয়েন্টি খেলতে পারি না। আমরা অদূর ভবিষ্যতে ভালো দল হয়ে দাঁড়াবো ইনশাআল্লাহ।
দুবাইয়ে প্রচণ্ড গরম থাকবে। আমরা সেসব আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নই। কীভাবে বিষয়টিকে দেখছেন?
ইবাদত হোসেন: গরম কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমাদের দেশেও অনেক গরম। গরম আমার কাছে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। উইকেটটা ওখানে ভালো থাকবে, বুদ্ধি করে বল করতে হবে।
পেস বোলারদের লক্ষ্য কী থাকবে?
ইবাদত হোসেন: আমরা বোলাররা যদি কম রানে আটকে দিতে পারি প্রতিপক্ষকে, তাহলে আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। বাড়তি দায়িত্ব সবারই থাকবে, ব্যাটসম্যান হোক কিংবা বোলার। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করবো।
জিম্বাবুয়েতে শেষ ওয়ানডেতে সিকান্দার রাজাকে আউট করায় বাংলাদেশ সহজেই জিতেছিল। প্রথম বল দিয়েছিলেন ইয়র্কার, তাকে নিয়ে কী আলাদা পরিকল্পনা ছিল?
ইবাদত হোসেন: দেশ থেকে যখন দেখছিলাম, ও (রাজা) দুই ম্যাচে দুটা সেঞ্চুরি করেছে, মনে হচ্ছিল ও খুবই আত্মবিশ্বাসী। খুবই ভালো খেলছে। আমাদের বোলাররা খুব চেষ্টা করছিল। দ্বিতীয় ম্যাচের সময় কোচের সাথে কথা বলছিলাম, কীভাবে কী করা যায়। যেহেতু সে খুব আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলছে এবং তার কন্ডিশন ও উইকেটটা ভালো। কোচের সাথে পরিকল্পনা করেছি। আমারও একটা পরিকল্পনা ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমার শক্তি নিয়ে। এভাবেই সফল হয়েছি।
অধিনায়ক তামিম কী করতে বলেছিলেন?
ইবাদত হোসেন: (তামিম ভাই ) বল বাই বল করতে বলেছেন। ফাস্ট অ্যান্ড অ্যাগ্রেসিভ, যেটা উনি আমার কাছ থেকে চান।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ খুব একটা ভালো খেলে না। এই ফরম্যাটে সামনে টানা খেলা। নিজেদের কোথায় দেখতে চান?
ইবাদত হোসেন: টেস্টে আমরা ভালো করছি সবাই। এখন ওয়ানডেতে ভালো করার চেষ্টা করবো, টি-টোয়েন্টিতে (সুযোগ) আসলে টি-টোয়েন্টিতে চেষ্টা করবো। ভালোর তো শেষ নেই, ভালো করতে থাকবো।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন