ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কংক্রিটের উইকেটে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:০৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কংক্রিটের উইকেটে

জাতীয় দৈনিকে কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে লিটন দাশ জানিয়েছেন, মিরপুরের উইকেটে অনুশীলন করে ব্যাটিংয়ে কোনো উন্নতি হয়নি।’ অথচ সারা বছর এই মিরপুরের ২২ গজেই অনুশীলন করতে হয় তাদের।

বিসিবির দেয়া সুযোগ-সুবিধার দিকে লিটন অনেক দেরিতে আঙুল তুললেও স্থানীয় ক্রিকেটাররা বরাবরই অভিযোগ তোলেন। সামনে যখন আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তখন টনক নড়লো বিসিবির। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে বিশ্বকাপ খেলার আগে ক্রিকেটারদের গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে অনুশীলনের সুবিধা দিতে কংক্রিটের উইকেটে শরণাপন্ন বিসিবি।

মিরপুরের একাডেমি মাঠের পূর্ব প্রান্তে দুইটি উইকেটে কংক্রিটের উইকেট বসছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে সেই তোরজোর। ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর মিরপুরের একাডেমিতে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরাম বিশেষ ক্যাম্প করাবেন।  তার আগেই উইকেট দুটি পুরো প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ জানিয়েছেন টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা থেকে তড়িঘড়ি তৈরি করা হচ্ছে উইকেট দুটি। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের কর্মকর্তা ও সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস জানালেন, টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী এই কাজ হাতে নিয়েছেন তারা, গ্রাউন্ডস বিভাগের অধীনে নির্মিত হচ্ছে উইকেট, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দুটা-তিনটা কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাবনা ছিল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে, তখন তারা কিন্তু কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে। আমরা কিন্তু আমাদের জাতীয় দলের বেশ কয়েক বছর ধরে অনুশীলনে দেখছি খেলোয়াড়রা মার্বেল স্লেভের ওপর ব্যাটিং করে। এতে বলের গতি বেশি থাকে এবং ভালো বাউন্সার পাওয়া যায়।’

‘আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি, আর ৫০ শতাংশ দেশের বাইরে। সেখানে আমরা দেখি বেশিরভাগ উইকেটে পেস এবং বাউন্স থাকে। তো ওই পেস বাউন্সটা রেপ্লিকেট করার জন্যই এই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড করবে, বাউন্স করবে। সেক্ষেত্রে আমাদের ব্যাটারদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও ওই ধরনের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ হবে। গ্রাউন্ডস বিভাগ এ দুইটা উইকেট বানাচ্ছে।’

কংক্রিটের উইকেটে প্রস্তুতি নিলে গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে বলে মনে করছেন নাফীস, ‘সাধারণত অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরব আমিরাতেও আমরা দেখেছি উইকেট ফ্ল্যাট থাকে। বল সুন্দর ব্যাটে আসে, সুতরাং এটা ওটাকে রেপ্লিকেট করবে। পরবর্তীতে দুটা অ্যাস্ট্রোটার্ফ  উইকেট করারও পরিকল্পনা আছে, যেটা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের সঙ্গে মিল থাকবে।’

বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। স্বাগতিক দলের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিতব্য প্রতিটি ম্যাচের আগে মিরপুরের উইকেটে অনুশীলন করে বাড়তি সুবিধা পাবে বলেই বিশ্বাস নীতিনির্ধারকদের।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়