ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অঘটনের মাঝে গোল বন্যায় টিকিটাকার জয়গান 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৪, ২৪ নভেম্বর ২০২২   আপডেট: ০২:১৭, ২৪ নভেম্বর ২০২২
অঘটনের মাঝে গোল বন্যায় টিকিটাকার জয়গান 

২৭ ঘণ্টার মাঝে দুটি বড় অঘটন দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। খর্ব শক্তির দলের কাছে পরাজিত ফুটবলের দুই পরাশক্তি আর্জেন্টিনা-জার্মানি। এর মাঝেই ফেবারিট হিসেবে, ফেবারিটদের মতোই প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করেছে স্পেন।

গ্রুপ ‘ই’র দ্বিতীয় ম্যাচে বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাতে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লুইস এনরিকের দল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে স্প্যানিশদের এটিই সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে সবশেষ ২০১০ সালে পর্তুগাল কোরিয়াকে একই ব্যবধানে হারিয়েছল।

জোড়া গোল করেছেন ফেরান টরেস। বাকি ১টি করে গোল করেছেন ডানি ওলমো, মার্কো অ্যাসেনসিও, গাভি, কার্লোস সোলার ও আলভেরো মোরাতা। 

১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে আলতো করে তুলে দেন গাবি। দারুণ দক্ষতায় বল নিজের দখলে নেন ওলমো। একটু সামনে গিয়ে আলতো শটে কোস্টারিকার গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন ওলমো। এর আগে নিশ্চিত গোল মিস করেছেন, এবার উল্লাসে ভাসিয়েছেন দলকে। ২০০২ বিশ্বকাপ থেকে এই প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পায় স্পেন। 

২১ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে স্পেন। প্রথম গোলের ১০ মিনিট পরেই আবার স্পেনের লিড। আলবার বাম দিক থেকে নেওয়া ক্রস থেকে নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান অ্যাসেনসিও। 

দ্বিতীয় গোলের ১০ মিনিট পর এবার টরেস গোল দেন পেনাল্টি থেকে। ডি বক্সে ২৯ মিনিটে দুয়ার্তে ফাউল করেন আলবাকে। পেনাল্টি পায় স্পেন। টরেস বাঁ দিকে নিচু শটে ফাঁকি দেন নাভাসকে। কোস্টারিকার তারকা গোলরক্ষক ডান দিকে ঝাঁপ দেন।  ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। রেকর্ড গড়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছে স্পেন। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৩-০ গোলে এগিয়ে আছে দলটি। ১৯৩৪ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩ গোল দেয় স্পেন।

৫৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান টরেস। এর আগে প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল দেন এই স্ট্রাইকার। ৪-০ গোলে এগিয়ে স্পেন। গাবির কাটব্যাক খুঁজে নেয় টরেসকে। কোস্টারিকার ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে টরেস খুব কাছে থেকে গোলে শট নেন। খুব কাছে থাকা নাভাদের কিছু করার ছিল না। জাতীয় দলের জার্সিতে টরেসের এটি ১৫তম গোল। 

এর আগের শট নাভাস রুখে দিয়েছিলেন। কিন্তু বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বাঁ দিক থেকে মোরাতা বল ডি বক্সে আলতো শটে তুলে দেন। ৭৪ মিনিটে গাবির শট ডান পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। নাভাস কিংবা কোস্টারিকার ডিফেন্ডাররা কেউই বুঝতে পারেননি।

বাঁ দিক থেকে উলিয়ামস শট নিলে সামনে এসে রুখে দেন নাভাস। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। ডি বক্সে দৌড়ে এসে ৯০ মিনিটে নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন সোলার। ৬-০ গোলে এগিয়ে স্পেন। 

অবশেষে গোলের দেখা পেলেন মোরাতা। যোগ করা সময়ের ২ মিনিটে ওলমোর সহায়তায় গোল করেন মোরাতা। ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।  শেষ পর্যন্ত কোস্টারিকা কোনো গোল শোধ করতে পারেনি। 

পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে খেলছে স্পেন। ৮১ শতাংশ বল ছিল তাদের পায়ে, ১৬টি শটের ৭টিই গোল। তবে বড় কিছু ভুলও ছিল, একবার বারে লেগে ফিরে আসে। নাহয় ব্যবধান আরও বড় হতে পারতো। অন্যদিকে ১টি শটও নিতে পারেন কোস্টারিকা। গতি, নিখুঁত পাস সবকিছু স্প্যানিশদের নিয়ন্ত্রণে। ২০১০ বিশ্বকাপে মাত্র ৭ গোল দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্পেন এবার ১ ম্যাচেই দিয়েছে ৭ গোল! এ যেন টিকিটাকার মাঝে গোল উৎসব। 

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়