প্রত্যাশিত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড
সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড। শিরোপার লড়াইয়ে আরেকধাপ এগিয়ে যেতে তাদের কোনো কষ্টই হয়নি। সেনেগাল দূর্বল ফুটবল খেলায় খুব সহজেই ইংল্যান্ড জয় পায়। হ্যান্ডারসন, কেন ও সাকা দলের হয়ে একটি গোল করেছেন।
প্রি কোয়ার্টারে জয় পেতে কোনো কষ্ট না হলেও ইংল্যান্ডের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। যারা বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে।
অবশ্য ইংল্যান্ডও পিছিয়ে নেই। দুই দলের ম্যাচটা বিশ্বকাপের ফাইনাল বা সেমিফাইনালের ‘ড্রেস রিহার্সাল’ বললে খুব বেশি ভুল কি হবে?
সাকার গোলে উড়ছে ইংল্যান্ড
বিরতির পর ফিরে আবার গোলের দেখা পেল ইংল্যান্ড। গোল করেছেন বুকায়ো সাকা। ৫৭ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ফোডেনের ক্রস থেকে গোল করেন সাকা। গোল রক্ষককে ফাঁকি দল বল হাল্কা উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে সফল হন সাকা।
প্রথমার্ধের শুরুর সময়ে সেনেগাল ম্যাচে থাকলেও প্রথম গোল হজমের পর ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছে। দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছেন কোচ চিসে। কিন্তু কোনো ফায়দা এখন পর্যন্ত হয়নি।
হ্যান্ডারসনের পর কেনের গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড
প্রথমার্ধের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন। এবারের বিশ্বকাপে তার প্রথম গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেল ২-০ গোলে। প্রি কোয়ার্টার ম্যাচে সেনেগালের বিরুদ্ধে দুই গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে লায়ন্সরা। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচের নাটাই নিজেদের কাছে রেখেছে ইংল্যান্ড। সেনেগাল দ্বিতীয়ার্ধে চমক দিয়ে ফিরে আসতে পারে কিনা সেটাই দেখার।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় ইংল্যান্ড। কাউন্টার অ্যাটাকে মধ্য মাঠ থেকে বল পেয়ে ফরোয়ার্ডে বাড়িয়ে দেন হ্যান্ডারসন। বল পান কেন। অপরপ্রান্তে থাকা ফোডেনকে এক পাসে বল বাড়িয়ে দেন ইংলিশ অধিনায়ক। বল নিয়ে একটু ভেতরে ঢুকে ফোডেন আবার ফিরতি পাস দেন কেনকে। কেন এবার বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে স্থির হয়ে ডানপায়ের জোড়ালে শটে ভাঙেন সেনেগালের দূর্গ।
হ্যান্ডারসনের গোলে ইংল্যান্ডের লিড
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে প্রি কোয়ার্টারের ম্যাচে সেনেগালের বিরুদ্ধে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। গোলটি করেছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় জর্ডান হ্যান্ডারসন। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে বলিংহ্যাম এক টাচে ভেতরে ঢুকে যান। ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে ক্রস করেন হ্যান্ডারসনের উদ্দেশ্যে। সেখানে বাঁ পা পায়ের আলতো টোকায় অতি সহজেই গোল পেয়ে যান হ্যান্ডারসন।
ইংল্যান্ডের প্রত্যাশিত জয় নাকি সেনেগালের হাসি
শেষ ষোলোর চতুর্থ ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ চমক জাগানিয়া আফ্রিকান দেশ সেনেগাল। রাত ১টায় ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ হওয়া দল দুটির ম্যাচ শুরু হয়েছে আল খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা দলগুলোর মধ্যে হল্যান্ড ও ইংল্যান্ড বাদে সব দলই এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে হারের স্বাদ পেয়েছে। ইরানকে ৬-২ এবং ওয়েলসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। অন্য ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করে গোলশূন্য ড্র। সেনেগাল নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ২-০ গোলে হেরে গেলেও কাতারকে ৩-১ ও ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে।
হেড টু হেড
কল্পনাতীত হলেও সত্য, আন্তর্জাতিক ফুটবলে আজই প্রথম মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড ও সেনেগাল। এর আগে দুই দল কখনো একে অপরের মুখোমুখি হয়নি।
ইংল্যান্ডের ৫৬ বছরের অপেক্ষা দূর হবে?
১৯৬৬ বিশ্বকাপে শিরোপা জেতা ইংল্যান্ড ২০১৮ সালে সেমিফাইনালে খেলেছিল। গত বছর ইউরোতে ঘরের মাঠে ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে ইংলিশদের। বড় আসরের শিরোপা খরা কাটাতে মরিয়া পুনরুজ্জীবিত দলটি একই ভুল আর করতে চায় না। ৫৬ বছরের অপেক্ষা দূর করতে চায় এবার।
অপরদিকে ২০০২ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা সেনেগাল সর্বশেষ আসরে টিকিটই কাটতে পারেনি। এবার অঘটনের জন্ম দিনে পরবর্তী রাউন্ডগুলোতে পা রাখতে চায়।
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন