ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শেষ ষোলোর গেরো কাটাবে পর্তুগাল নাকি সুইজারল্যান্ড?

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২২  
শেষ ষোলোর গেরো কাটাবে পর্তুগাল নাকি সুইজারল্যান্ড?

লুসাইলের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে হতে যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর অধ্যায়। কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দল কে হবে, চূড়ান্ত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টার পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচ শেষে। যে দল জিতবে, সেটা তাদের জন্য হবে নিঃসন্দেহে দারুণ সাফল্য। কারণ ১৬ বছর হয়ে গেলো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেনি পর্তুগাল, আর সুইজারল্যান্ডের অপেক্ষা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ বছরের।

বিশ্বকাপে পর্তুগাল তাদের সেরা সাফল্য পেয়েছে ১৯৬৬ সালে, তৃতীয় হয়ে। এরপর আর একবার শেষ ষোলোর বাধা টপকেছে। ২০০৬ সালের আসরে চতুর্থ হয়েছিল তারা। এরপর দুইবার শেষ ষোলোতে ছিটকে গেছে, একবার গ্রুপ পর্বেই বিদায়।

অন্যদিকে সুইজারল্যান্ড তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে, সবশেষ ১৯৫৪ সালে। পরের প্রায় সাত দশকে পাঁচবার বিশ্বমঞ্চে খেলে চারবার শেষ ষোলোতে উঠেও আর এগোতে পারেনি। গত দুইবার গ্রুপ পেরোলেও বিদায় নিতে হয়েছে নকআউট থেকে।

দীর্ঘদিন ধরে কোয়ার্টার ফাইনালে না খেললেও দুই দলের মধ্যে পর্তুগালকে ভাবা হচ্ছে ফেভারিট। তারপরও সুইজারল্যান্ড উজ্জীবিত, কারণ চলতি বিশ্বকাপে ফেভারিটের মর্যাদা সুবিধা করতে পারেনি। এই পর্তুগালই তো গ্রুপের শেষ ম্যাচে হেরে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। তাই সুইজারল্যান্ড আত্মবিশ্বাসী।

অবশ্য পর্তুগালের ‘নাড়িনক্ষত্র’ সম্ভবত ভালো করেই জানা সুইজারল্যান্ডের। দুই দলের দেখায় জয়-পরাজয়ে এগিয়ে তারা। পর্তুগিজদের সুইসরা হারিয়েছে ১১ বার, হেরেছে ৯ বার। ড্র হয়েছে পাঁচটি। তাছাড়া সবশেষ দেখায় রয়েছে পর্তুগালের বিপক্ষে জয়ের স্মৃতি। উয়েফা নেশনস লিগে ১-০ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ড। তবে এই বছর দুই দলের প্রথম দেখা হয়েছিল, যেখানে জেতে পর্তুগাল। নেশনস লিগের ম্যাচটিতে ৪-০ গোলে হারে সুইসরা। তাছাড়া এর আগে কেবল একবারই মেজর টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড। ২০০৮ সালে ইউরোতে ২-০ গোলে জিতেছিল সুইসরা।

২০২২ সালে তৃতীয়বার পর্তুগালের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই জেতার আত্মবিশ্বাস সুইজারল্যান্ডের তারকা খেলোয়াড় জারদান শাকিরির কণ্ঠে, ‘আমরা জানি তাদের কীভাবে হারাতে হয়। এটা হতে যাচ্ছে একেবারে ভিন্ন খেলা। দুই দলের ওপরই অনেক বেশি চাপ এবং যারা হারবে বাড়ি চলে যাবে।’

এই ম্যাচে পর্তুগালকে হারাতে পারলে আরেকটি ইতিহাস গড়বে সুইজারল্যান্ড। প্রথমবার কোনও একটি আসরে তারা তিনটি ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়বে।

শাকিরি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারবেন আর একটি গোল করলে। সুইজারল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ৬ গোল করেছিলেন সেপ হুয়েগি, সব গোল ১৯৫৪ সালেই। পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও এক গোল দরকার। তাহলেই পর্তুগালের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ইউসেবিওকে ছোঁবেন তিনি, ১৯৬৬ সালে একাই যিনি করেন ৯ গোল।

পর্তুগালের জন্য সুখবর- গুরুত্বপূর্ণ মিডফিল্ডার ওটাভিও পুরোপুরি ফিট। ঊরুর ইনজুরিতে শেষ দুটি ম্যঅচ খেলেননি। রোববার অনুশীলন করে দলকে উজ্জীবিত করেছেন। পাঁজর ভেঙে যাওয়া সেন্টার হাফ দানিলো পেরেইরাও অনেকটাই সুস্থ। যদিও সুইসদের বিপক্ষে দেখা যাবে না তাকে, তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এবারও থাকবেন ৩৯ বছর বয়সী পেপে। কাতারে দুই গোল করা সুইস স্ট্রাইকার ব্রিল এম্বোলোকে ঠেকানোর দায়িত্ব থাকবে তার কাঁধে।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়