১২ বছর পর চট্টগ্রামে ভারত
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ভারতীয় ক্রিকেট দলের পা শেষবার পড়েছিল ১২ বছর আগে। সেখানে ২০১০ সালে খেলেছিল টেস্ট ম্যাচ। সেই দলের সঙ্গে এসেছিলেন দ্য ওয়াল রাহুল দ্রাবিড়। এক যুগ পর আবার দ্রাবিড় চট্টগ্রামে, এবার তার পরিচয় দলের প্রধান কোচ। বিরাট কোহলি, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়ার আইয়াররা এখন চট্টগ্রামে। এখানে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবেন তারা।
ভারতের বর্তমান স্কোয়াডের কেউই এর আগে চট্টগ্রামে খেলেননি। তাদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে এই শহরে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সকালে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। ভারতীয় দল আসে দুপুরে। দুই দলকে রাখা হয়েছে হোটেল রেডিসনে। সেখানে ম্যাচ অফিসিয়ালরাও থাকবেন।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভারত-বাংলাদেশের দেখা হয় দীর্ঘ বিরতির পর। ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্ট খেলার পর ভারত বাংলাদেশে লাল বলের ক্রিকেট খেলেছে সাতটি। সেটাও চারবারের সফরে। এছাড়া চলতি সিরিজসহ এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ১৩টি। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে এখনও কোনও ওয়ানডে খেলা হয়নি ভারতের। ২০০৭ সালের সফরে তৃতীয় ওয়ানডে হওয়ার কথা ছিল এখানে। কিন্তু বৃষ্টিতে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। তবে সেবার চট্টগ্রামে টেস্ট ম্যাচে ড্র করে ভারতকে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ।
২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ জেতে। তিন ম্যাচ সিরিজ তারা জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম ম্যাচ হয়েছিল চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। ম্যাচটাতে হারলেও বাংলাদেশ তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেই ম্যাচের সুখস্মৃতি নিয়ে মাঠে নেমে ঢাকায় ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। সৌরভ গাঙ্গুলির দলকে মাটিতে নামিয়ে আনেন মাশরাফি, হাবিবুল বাশাররা। শেষ ম্যাচ অবশ্য বেশ দাপট দেখিয়ে জিতে নেয় ভারত।
এবার ভারতের চট্টগ্রামের মিশন সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ ওয়ানডে সিরিজ এরই মধ্যে হারিয়ে ফেলেছে তারা। ঢাকায় ২-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ভারতকে হারাতে পারলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করবে। ভারতের লক্ষ্য থাকবে অন্তত একটি জয় নিয়ে মান বাঁচানোর। শনিবার দুই দল শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে। এরপর শুরু হবে টেস্ট ম্যাচ। ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে দুই দলের সাদা পোশাকের লড়াই।
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন