গ্রিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ধবলধোলাই স্কটল্যান্ড
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও স্কটল্যান্ডকে পাত্তা দিলো না মিচেল মার্শের দল। ক্যামেরন গ্রিনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ২৩ বল বাকি থাকতে স্কটিশদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অলি হেয়ার্সের উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন জর্জ মুনসে ও ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন। দুজন মিলে ২০ বলে যোগ করেন ৩৪ রান।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুনসেকে ফেরান গ্রিন। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ২৫ রান করেন মুনসে। এরপর রানের চাকা সচল রাখেন ম্যাকমুলেন। তবে অন্যপ্রান্ত থেকে তেমন সহায়তা পাননি তিনি। অল্পতেই ফেরেন রিচি বেরিংটন, ম্যাথু ক্রসরা।
একপ্রান্ত আগলে রেখে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি করেন ম্যাকমুলেন। ১৭তম ওভারে আউট হন তিনি ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৬ রান করে। বাকিদের মধ্যে কেউ বড় স্কোর করতে পারেননি। ২০ এর ঘরেই পা রাখতে পারেননি বাকি আট ব্যাটার।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন গ্রিন। ২টি করে উইকেট নেন অ্যারন হার্ডি ও শন অ্যাবট।
রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারে জেইক ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। রানের খাতা খোলার আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তরুণ ওপেনার। ট্রাভিস হেডও কিছুক্ষণ পর একই পথ ধরেন। আউটের আগে ১২ রান করেন হেড। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১ হাজার রান পূর্ণ করেন এই ওপেনার।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে পাল্টা আক্রমণ করেন মার্শ ও গ্রিন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৩৬ বলে ৬১ রানের জুটি। মার্শ ফেরেন দশম ওভারে। জেইক জার্ভিসের বলে পুল করতে গিয়ে বোল্ড হন ২৩ বলে ৩১ রান করা মার্শ।
এরপর টিম ডেভিডের সঙ্গে আরেকটি দারুণ জুটি গড়েন গ্রিন। জয়ের খুব কাছে গিয়ে আউট হন ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে ২৫ রান করা ডেভিড। পরে অ্যারন হার্ডিকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন গ্রিন। ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৯ বলে ৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
স্কটল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (মুনসে ২৫, হেয়ারস ১২, ম্যাকমুলেন ৫৬)
অস্ট্রেলিয়া: ১৬.১ ওভারে ১৫৩/৪ (হেড ১২, মার্শ ৩১, গ্রিন ৬২*),
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজ ৩-০তে জয়ী অস্ট্রেলিয়া
ম্যান অব দা ম্যাচ: ক্যামেরন গ্রিন
ঢাকা/বিজয়